নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ মহাকাশের অনেক আশ্চর্যজনক ছবি তুলে ধরে। আর সেই টেলিস্কোপের সাহায্যেই জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা নতুন নতুন আবিস্কার করেন। এবার এই টেলিস্কোপে সবথেকে দূরবর্তী একটি নক্ষত্রের ছবি ধরা পড়েছে। তারাটির নাম ইরেন্ডেল। এটির নাম একটি পুরনো ইংরেজি শব্দ থেকে তৈরি হয়েছে, যার অর্থ ‘সকালের তারা’ বা ‘উদীয়মান আলো’। এটি এখনও পর্যন্ত আবিষ্কার হওয়া পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরে অবস্থিত একটি নক্ষত্র। Earendel তারাটি সূর্যের ভারের থেকে অন্তত 50 গুণ বেশি। শুধু তাই নয়, এই নক্ষত্রটি সূর্যের চেয়ে প্রায় এক মিলিয়ন গুণ উজ্জ্বল এবং গরম।
এই নক্ষত্রটি পৃথিবী থেকে কত দূরে রয়েছে?
বিজ্ঞানীরা 2022 সালে প্রথমবারের মতো Earendel দেখতে হাবল স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহার করেন। তারপর থেকে একের পর এক নতুন নক্ষত্র আবিস্কার চলেছে টেলিস্কোপটি। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, নক্ষত্রটি পৃথিবী থেকে কমপক্ষে 12.9 মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে।
পৃথিবীর বিষয়ে নতুন তথ্য দেবে এই নক্ষত্র:
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই নতুন নক্ষত্র নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে দেখেছেন, এতে প্রচুর পরিমানে হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম রয়েছে। আর তা পরবর্তীতে পৃথিবীর জন্য কাজে লাগতে পারে। আবিষ্কার করা নতুন নক্ষত্রটি মহাবিশ্বের অনেক আজানা পর্যায় সামনে আনতে পারে। NASA জানিয়েছে, যে গবেষণা দলটি এই নতুন নক্ষত্র নিয়ে গবেষণা করছে, তারা শীঘ্রই আরও নতুন তথ্য সামনে আসবে।
সর্বশেষ প্রাচীনতম এবং সবচেয়ে দূরবর্তী নক্ষত্র কি তবে এটাই?
Earendel পৃথিবী থেকে 12.9 বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। এই দূরত্ব তাঁরা কীভাবে নির্ধারন করে? জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীতে আলো পৌঁছতে যে সময় লাগে, সেই সময় অনুযায়ী কোনও নক্ষত্রের দূরত্ব মাপা হয়। সেই অনুযায়ী সর্বশেষ প্রাচীনতম এবং সবচেয়ে দূরবর্তী নক্ষত্র এটি নয়। 2018 সালে হাবল স্পেস টেলিস্কোপ দিয়ে এর আগে প্রাচীনতম এবং সবচেয়ে দূরবর্তী নক্ষত্রটি খুঁজে পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। সে সময় নাসা জানিয়েছিল, ইকারাস নামে একটি নক্ষত্রের আলো পৃথিবীতে পৌঁছাতে সময় লেগেছে 900 কোটি বছর।