Pale Blue Dot Earth: গত সোমবারই চাঁদে পৌঁছে গিয়েছে নাসার ওরিয়ন ক্যাপসুল। তবে সেই সময় আধ ঘণ্টার যোগাযোগ ব্ল্যাকআউট হয়। তার ফলে হিউস্টনের ফ্লাইট কন্ট্রোলাররা বুঝতে পারছিলেন না যে, ক্যাপসুলটি উপস্থিত হওয়া ইস্তক কোনও ইঞ্জিন ফায়ারিংয়ের মতো ঘটনা ঘটছে কি না। প্রসঙ্গত, 50 বছর আগে নাসার অ্যাপোলো প্রোগ্রামের পর এই প্রথম বারের জন্য একটি ক্যাপসুল চাঁদের পৌঁছল। আর সেই কারণেই গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া 4.1 বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পরীক্ষামূলক ফ্লাইটটি এই কারণেই এত গুরুত্বপূর্ণ।
And @NASA_Orion is back in touch with mission control, showing a view of all of us: Earth ?
The spacecraft’s position and status will now be evaluated to confirm a correct outbound powered flyby.#ForwardToTheMoon #Artemis pic.twitter.com/z0tPTwwgjO
— Human Spaceflight (@esaspaceflight) November 21, 2022
আগের অ্যাপোলো 11, 12 এবং 14 এর অবতরণ স্থানগুলিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ওরিয়ন ক্যাপসুলের যাত্রাপথ, যা মানুষের নাগালের প্রথম তিনটি চন্দ্র স্থান। ক্যাপসুলটি ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে 16 নভেম্বর নাসার সবচেয়ে শক্তিশালী রকেটের উপরে উঠেছিল। চাঁদের আড়াল থেকে ক্যাপসুলটি বেরিয়ে যাওয়ার সঙ্গেই তার ক্যামেরাগুলি পৃথিবীতে একটি ছবি পাঠায়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শুক্রবার আর একটি ‘ইঞ্জিন ফায়ারিং’ করা হবে, যাতে এটিকে ঝুঁকে যাওয়া কক্ষপথে রাখা যায়।
LIVE NOW: The @NASA_Orion spacecraft is performing its first powered lunar flyby.
Orion will make its closest approach to the lunar surface during the #Artemis I mission – approximately 80 miles – at 7:57am ET (12:57 UTC). https://t.co/rO5HBPx0Ec
— NASA (@NASA) November 21, 2022
পৃথিবীতে ফিরে আসার আগে ক্যাপসুলটি প্রায় এক সপ্তাহ চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে। 11 ডিসেম্বর এটি প্রশান্ত মহাসাগরে ফেলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ক্যাপসুলে কোনও ল্যান্ডার নেই এবং এটি চাঁদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করবে না। এই মিশন সফল হলে 2024 সালে চাঁদের চারপাশে নভোচারী পাঠানোর মিশনটি সম্পাদন করবে নাসা। তারপরে 2025 সালে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে একটি যান অবতরণের চেষ্টা করবে স্পেস স্টেশনটি।
পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব 3 লাখ 84 হাজার কিলোমিটার। নাসার লক্ষ্য, মানুষকে আবার চাঁদে নিয়ে যাওয়া। এর জন্য আর্টেমিস মিশন চালানো হচ্ছে। এই মিশনের আওতায় প্রথম নারী ও প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করা হবে। নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে চাঁদে অনুসন্ধান করা হবে। এরপরে নাসার চাঁদ থেকে মঙ্গল গ্রহে প্রথম নভোচারী পাঠানোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে।