OSIRIS-REx Mission: 7 বছরের সফর শেষ, দূরের গ্রহাণু থেকে খনিজ নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসছে NASA-র মহাকাশযান

NASA's OSIRIS-REx Mission: প্রথম থেকেই ‘ওসিরিস-রেক্স’-এর টার্গেট ছিল বেন্নু। সেই টার্গেট সফল হয়েছে। ওই গ্রহাণু থেকে এক টুকরো পাথর তুলে নিয়েছে যানটি। তবে তা এখন নয়। সালটা ছিল 2020। তখনই সে এই কাজ করে ফেলেছে। তবে এবার ফেরার পালা।

OSIRIS-REx Mission: 7 বছরের সফর শেষ, দূরের গ্রহাণু থেকে খনিজ নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসছে NASA-র মহাকাশযান

| Edited By: অন্বেষা বিশ্বাস

Sep 22, 2023 | 5:49 PM

গ্রহাণু থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আমেরিকার মাটিতে ফেরত আসার জন্য প্রস্তুত নাসার মহাকাশযান। 2016 সালে মার্কিন স্পেস এজেন্সি এটিকে মহাশূন্যে পাঠিয়েছিল। একেবারে গভীর স্পেসে। সেই মহাকাশযানই অবশেষে ফিরছে পৃথিবীতে। তাও আবার এক গুচ্ছ খনিজ নিয়ে। নাসার (NASA) মহাকাশযান ‘ওসিরিস-রেক্স’ (OSIRIS-REx mission), মহাকাশে যাওয়ার পর থেকেই বেন্নু (Bennu)-কে ঘিরে ছিল। এবার আপনার মনে প্রশ্ন আসাই স্বাভাবিক যে, কী এই বেন্নু? বেন্নু হল একটি গ্রহাণু। আর সেখান থেকেই ‘খনিজের ভাণ্ডার’ তুলে আনছে নাসার (NASA) মহাকাশযান ‘ওসিরিস-রেক্স’। পৃথিবীর সবথেকে কাছে থাকা একটি গ্রহাণু বেন্নু। ব্যাস পাঁচশো মিটার। এর সবচেয়ে অবাক ব্যপার হল এটি প্রতি ছ’বছরে একবার পৃথিবীর কক্ষপথে ঢুকে পড়ে। আর পৃথিবীর একদম কাছ ঘেঁষে চলে যায়।

কেন শুরু করেছিল এই মিশন?

প্রথম থেকেই ‘ওসিরিস-রেক্স’-এর টার্গেট ছিল বেন্নু। সেই টার্গেট সফল হয়েছে। ওই গ্রহাণু থেকে এক টুকরো পাথর তুলে নিয়েছে যানটি। তবে তা এখন নয়। সালটা ছিল 2020। তখনই সে এই কাজ করে ফেলেছে। তবে এবার ফেরার পালা। তার কাজ সে দায়িত্ব নিয়ে সম্পন্ন করেছে। এবার সব নমুনা সংগ্রহ করে 7 বছরের সফর শেষ করবে 24 সেপ্টেম্বরেই। আর সেই নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই মহাকাশবিজ্ঞানীদের আগ্রহ তুঙ্গে। এবার প্রশ্ন আসে, কেন মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি এই অভিযান করেছিল? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

‘ওসিরিস-রেক্স’-কে কেন পাঠানো হয়েছিল বেন্নুর কাছে?

NASA-র মহাকাশবিজ্ঞানীরা মনে করেছিলেন,আগামী 2175 থেকে 2196 সালের মধ্যে পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়তে পারে বেন্নু। অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় দেড়শ-পৌনে দু’শো বছর পর। আর এই বিরাট গ্রহাণু একবার আছড়ে পড়লে পৃথিবীতে তা দেড় হাজার মিটার গভীর ক্ষত সৃষ্টি করবে। তাই এই গ্রহাণুকে নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে মার্কিন মহাকাশবিজ্ঞানীরা তাকে বেন্নুর কাছে পাঠিয়েছিল।

পৃথিবীর মাটিতে কীভাবে পা রাখবে?

নাসার মতে, চূড়ান্ত টাচডাউনের সময় হল 13 মিনিট। এই 13 মিনিট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মহাকাশযানটি প্রায় 27,000 মাইল (43,000 কিলোমিটার) প্রতি ঘণ্টা বেগে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে। সর্বোচ্চ 5,000 ডিগ্রি ফারেনহাইট (2,800 ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপমাত্রায় পৌঁছাবে। সবকিছু ঠিক থাকলে সফট ল্যান্ডিং সম্ভব।

অবতরণ করার পরে কী কাজ মহাকাশবিজ্ঞানীদের?

মাটিতে অবতরণ করার পরে, একটি দল প্রথমে এটির অবস্থা পরীক্ষা করবে। সেটিকে একটি হেলিকপ্টারে তুলে একটি পরিষ্কার জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে। পরের দিন, নমুনাটি পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। বিজ্ঞানীরা কয়েকদিনের মধ্যে পাথর ও ধুলোর টুকরো আলাদা করবেন। তারপরেই শুরু হবে আসল কাজ।