Nasa: সৌরজগতে পৃথিবীর সবথেকে কাছের গ্রহ মঙ্গল। আর তাই মঙ্গল গ্রহে প্রাণের সম্ভাবনা খুঁজতে বহু বছর ধরে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। মঙ্গলে জল আছে কিনা, থাকলেও কী অবস্থায় আছে, জলবায়ু কীভাবে পরিবর্তন হয়- সেসব নিয়ে বিস্তর গবেষণা চালাচ্ছেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা। তাঁদের পর্যবেক্ষণ জানাচ্ছে, মঙ্গল গ্রহ পৃথিবীর চেয়েও ঠাণ্ডা। আবহাওয়ার পরিস্থিতিও কঠিন। সাধারণত সেখানে তাপমাত্রা মাইনাস 60 ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে। এই তাপমাত্রা পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে রাশিয়ার কাছাকাছি আর্কটিক অঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায়, তাও সেটা শীতকালে। মঙ্গল গ্রহ সূর্যের থেকে অনেক দূরে। তাই সূর্যের তাপ কম পৌঁছায়। মঙ্গল গ্রহের একটি পাতলা বায়ুমণ্ডল রয়েছে, যার মধ্যে কার্বন ডাই অক্সাইড রয়েছে ৯৫ শতাংশ। মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর তুলনায় 100 গুণ পাতলা। এরকম নানা কারণে মঙ্গল গ্রহের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের এত নীচে থাকে। কখনও কখনও তাপমাত্রা মাইনাস 128 ডিগ্রি সেলসিয়াসেও পৌঁছে যায়।
নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি (JPL) নতুন একটি ভিডিওতে দেখিয়েছে, কীভাবে মঙ্গলে বরফ এবং ঠাণ্ডা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। নাসা আকর্ষণীয় ভিডিওটি অ্যানিমেশনের মাধ্যমে তৈরি করেছে। জেপিএল-এ মঙ্গল গ্রহ নিয়ে গবেষণা করছেন বিজ্ঞানী সিলভাইন পিকাক্স। তিনি এই ভিডিওতে বলেছেন যে, পৃথিবীতে যে বরফ দেখা যায়, মঙ্গল গ্রহে তা কিছুটা আলাদা। 2008 সালে যখন নাসার ফিনিক্স মার্স ল্যান্ডারটি মঙ্গল গ্রহের মাটি পর্যবেক্ষণ করেছিল, তখন ভূমিভাগের নীচে জলের বরফ খুঁজে পেয়েছিল। অর্থাৎ, পৃথিবীপৃষ্ঠের উপরে বরফ পাওয়া যায়, মঙ্গল গ্রহে ভূমির নীচে।
মঙ্গলে কার্বন ডাই অক্সাইড যুক্ত বরফ পাওয়া যায়, যার তাপমাত্রা প্রায় -190 ডিগ্রি ফারেনহাইট। কার্বন ডাই অক্সাইড যুক্ত বরফ গলে না, এটি সরাসরি কঠিন থেকে গ্যাস হয়ে বায়ুমণ্ডলে ফিরে যায়। ভিডিওটি থেকে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, পৃথিবীর মতো মঙ্গল গ্রহেও বরফের স্ফটিক পড়ে। ফিনিক্স মার্স ল্যান্ডারও এটি পর্যবেক্ষণ করেছিল। ল্যান্ডারটি মঙ্গল গ্রহের আকাশে একটি লেজার লাইট দিয়ে বরফের স্ফটিক পড়তে দেখেছিল। কিছু কিছু জায়গায় হিমও পড়ে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। মঙ্গল গ্রহের কোনও এলাকায় কয়েক ফুটের বেশি তুষারপাত হয় না। শুধুমাত্র সমতল এলাকায় তুষার পড়ে। এমনই দাবি নাসার মঙ্গল গ্রহ গবেষকদের। বরফ ছাড়াও মঙ্গল গ্রহের মাটিতে আরও অবাক করা সব জিনিস দেখতে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। মাকড়সা, পাখা, গিজ়ার, ভাজা ডিমের মতো দেখতে নানা বস্তুর দেখা মিলেছে। যদিও আদতে সেগুলি কী, তা বোঝা সত্যিই কঠিন। তবে সেগুলির জন্যই মঙ্গল গ্রহের ভূমিভাগ বিজ্ঞানীদের কাছে আলাদা করে আকর্ষণের জায়গা করে নিয়েছে।
Nasa: সৌরজগতে পৃথিবীর সবথেকে কাছের গ্রহ মঙ্গল। আর তাই মঙ্গল গ্রহে প্রাণের সম্ভাবনা খুঁজতে বহু বছর ধরে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। মঙ্গলে জল আছে কিনা, থাকলেও কী অবস্থায় আছে, জলবায়ু কীভাবে পরিবর্তন হয়- সেসব নিয়ে বিস্তর গবেষণা চালাচ্ছেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা। তাঁদের পর্যবেক্ষণ জানাচ্ছে, মঙ্গল গ্রহ পৃথিবীর চেয়েও ঠাণ্ডা। আবহাওয়ার পরিস্থিতিও কঠিন। সাধারণত সেখানে তাপমাত্রা মাইনাস 60 ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে। এই তাপমাত্রা পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে রাশিয়ার কাছাকাছি আর্কটিক অঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায়, তাও সেটা শীতকালে। মঙ্গল গ্রহ সূর্যের থেকে অনেক দূরে। তাই সূর্যের তাপ কম পৌঁছায়। মঙ্গল গ্রহের একটি পাতলা বায়ুমণ্ডল রয়েছে, যার মধ্যে কার্বন ডাই অক্সাইড রয়েছে ৯৫ শতাংশ। মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর তুলনায় 100 গুণ পাতলা। এরকম নানা কারণে মঙ্গল গ্রহের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের এত নীচে থাকে। কখনও কখনও তাপমাত্রা মাইনাস 128 ডিগ্রি সেলসিয়াসেও পৌঁছে যায়।
নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি (JPL) নতুন একটি ভিডিওতে দেখিয়েছে, কীভাবে মঙ্গলে বরফ এবং ঠাণ্ডা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। নাসা আকর্ষণীয় ভিডিওটি অ্যানিমেশনের মাধ্যমে তৈরি করেছে। জেপিএল-এ মঙ্গল গ্রহ নিয়ে গবেষণা করছেন বিজ্ঞানী সিলভাইন পিকাক্স। তিনি এই ভিডিওতে বলেছেন যে, পৃথিবীতে যে বরফ দেখা যায়, মঙ্গল গ্রহে তা কিছুটা আলাদা। 2008 সালে যখন নাসার ফিনিক্স মার্স ল্যান্ডারটি মঙ্গল গ্রহের মাটি পর্যবেক্ষণ করেছিল, তখন ভূমিভাগের নীচে জলের বরফ খুঁজে পেয়েছিল। অর্থাৎ, পৃথিবীপৃষ্ঠের উপরে বরফ পাওয়া যায়, মঙ্গল গ্রহে ভূমির নীচে।
মঙ্গলে কার্বন ডাই অক্সাইড যুক্ত বরফ পাওয়া যায়, যার তাপমাত্রা প্রায় -190 ডিগ্রি ফারেনহাইট। কার্বন ডাই অক্সাইড যুক্ত বরফ গলে না, এটি সরাসরি কঠিন থেকে গ্যাস হয়ে বায়ুমণ্ডলে ফিরে যায়। ভিডিওটি থেকে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, পৃথিবীর মতো মঙ্গল গ্রহেও বরফের স্ফটিক পড়ে। ফিনিক্স মার্স ল্যান্ডারও এটি পর্যবেক্ষণ করেছিল। ল্যান্ডারটি মঙ্গল গ্রহের আকাশে একটি লেজার লাইট দিয়ে বরফের স্ফটিক পড়তে দেখেছিল। কিছু কিছু জায়গায় হিমও পড়ে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। মঙ্গল গ্রহের কোনও এলাকায় কয়েক ফুটের বেশি তুষারপাত হয় না। শুধুমাত্র সমতল এলাকায় তুষার পড়ে। এমনই দাবি নাসার মঙ্গল গ্রহ গবেষকদের। বরফ ছাড়াও মঙ্গল গ্রহের মাটিতে আরও অবাক করা সব জিনিস দেখতে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। মাকড়সা, পাখা, গিজ়ার, ভাজা ডিমের মতো দেখতে নানা বস্তুর দেখা মিলেছে। যদিও আদতে সেগুলি কী, তা বোঝা সত্যিই কঠিন। তবে সেগুলির জন্যই মঙ্গল গ্রহের ভূমিভাগ বিজ্ঞানীদের কাছে আলাদা করে আকর্ষণের জায়গা করে নিয়েছে।