ডায়নোসদের (dinosaur) নিয়ে কত তথ্যই না আবিষ্কার হয়েছে বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে। সম্প্রতি গবেষকরা এক অদ্ভুত প্রজাতির ডায়নোসরের (new dinosaur species) আংশিক মাথার খুলি খুঁজে পেয়েছেন। আর তা পাওয়া গিয়েছে সুদূর আর্জেন্টিনায়। নতুন প্রজাতির এই ডায়নোসর ‘আর্মলেস’ বা হাত ছাড়া ডায়নোসরের প্রজাতির খুব কাছাকাছি রয়েছে। অর্থাৎ এই দু’ধরনের ডায়নোসরের প্রজাতির মধ্যে বেশ মিল রয়েছে। তবে হাত ছাড়া ওই ডায়নোসরদের মূলত বসবাস ছিল দক্ষিণ গোলার্ধে। গবেষকরা জানিয়েছেন, এই নতুন প্রজাতির ডায়নোসরের নাম Guemesia ochoai। ক্রিটেশাস যুগের শেষ পর্যায়ে, আজ থেকে প্রায় ৭০ মিলিয়ন বছর আগে একদম অন্য ধরনের যাকে বলে ইউনিক ইকোসিস্টেম ছিল। তারই প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে এই নতুন প্রজাতির ডায়নোসরের জীবাশ্ম থেকে।
বলা হচ্ছে, এই Guemesia ochoai ডায়নোসর আসলে Abelisauridae- মাংসাশী ডায়োনোসদের দলের সদস্য। বর্তমানের আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা এবং ভারতে ঘুরে বেড়াত এরা। গবেষকরা বলেছেন, নতুন যে ডায়নোসরের প্রজাতি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে তারা হয়তো এই Abelisauridae দলের পূর্বপুরুষদের বেশ নিকট আত্মীয় হতে পারে। তবে Guemesia ochoai- এর সঙ্গে abelisaurid- দের দুটো পার্থক্য রয়েছে। এক হচ্ছে Guemesia ochoai- দের কোনও হর্ন বা শিং নেই। দ্বিতীয় হল এরা উত্তর আর্জেন্টিনায় থাকত। সেখানেই ওই মাথার খুলি আবিষ্কার হয়েছে। অন্যদিকে abelisaurid- দের বেশিরভাগই খুঁজে পাওয়া গিয়েছে দক্ষিণ ভাগে। তবে এই দ্বিতীয় তথ্য থেকে একটা ব্যাপার অনুমান করা হয়েছে যে সম্ভবত Guemesia ochoai ডায়নোসররা আসলে বিভিন্ন ধরনের ইকোসিস্টেমে থাকতে পারে।
Journal of Vertebrate Palaeontology- এই জার্নালে গবেষকরা তাঁদের আবিষ্কার করা বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করেছেন। এখনকার নিরিখে দেখলে মনে হবে আবিশ্বাস্য। কারণ একই সঙ্গে কোনও প্রাণী কীভাবে আমেরিকা, আফ্রিকা এবং ভারতে বিচরণ করতে পারে? যদিও কয়েকশো লক্ষ লক্ষ বছর আগে সমস্ত মহাদেশ একসঙ্গেই যুক্ত ছিল, সুপারকন্টিনেন্ট Pangaea হিসেবে। ফলে তখন এমনটা সম্ভব ছিল। পরবর্তী কালে টেকটনিক প্লেটের স্থানান্তরের কারণে ওই বিশাল ভূখণ্ড ভেঙে Gondwana এবং Laurasia তৈরি হয়েছিল। এখন থেকে প্রায় ১৮০ মিলিয়ন বছর আগে এই Gondwana এবং Laurasia অংশও নিজেরা ভাঙতে শুরু করেছিল। কিন্তু সেই ভাঙনের গতি ছিল খুবই কম। ফলে প্রাণীরা এক জায়গা থেকে অন্যত্র যাতায়াত করতে পারত।
আরও পড়ুন- Planets: ৬০টি গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে! বলছেন একদল ভারতীয় গবেষক