Quadrantids Meteor Showers: বছরের প্রথম উল্কাবৃষ্টি, কোথায়-কখন দেখা যাবে?
জানা গিয়েছে, যে গ্রহাণু থেকে এই Quadrantids তৈরি হয়েছে তার নাম অ্যাস্টেরয়েড ২০০৩ ইএইচ১। সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে এই গ্রহাণুর সময় লাগে ৫.৫২ বছর।
গত বছরের শেষে ডিসেম্বর মাসে জেমিনিডস মেটিওর শাওয়ার বা জেমিনিড উল্কাবৃষ্টি দেখেছেন বিশ্ববাসী। এবার তাঁরা সাক্ষী থাকবেন আর একটি উজ্জ্বল স্বর্গীয় ইভেন্টের। কারণ নতুন বছরের শুরুতেই আর একটি উল্কাবৃষ্টি হতে চলেছে। ৩ জানুয়ারির Quadrantids উল্কাবৃষ্টি দেখা যাবে। সাধারণ প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে শুরুর দিকেই এই Quadrantids উল্কাবৃষ্টি চূড়ান্ত পর্যায়ে দেখা যায়। অন্যতম উজ্জ্বল উল্কাবৃষ্টি হিসেবে এই Quadrantids- কেই ধরা হয়। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ৩ এবং ৪ ডিসেম্বর রাতে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যাবে। এক ঘণ্টায় ১০০ পর্যন্ত পৌঁছোতে পারে এই উল্কার সংখ্যা।
বেশিরভাগ উল্কাবৃষ্টি দু’দিন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছোয়। তবে Quadrantids উল্কাবৃষ্টি মাত্র কয়েক ঘণ্টা হয়। মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসার মতে, Quadrantids উল্কাবৃষ্টি এত কম সময় হওয়ার কারণ হল উল্কা বর্ষণের সময় ঠাণ্ডা কণার প্রবাহ লক্ষ্যনীয় এবং পৃথিবীর সঙ্গে উল্লম্ব কোণে এই উল্কাবৃষ্টি হয়ে থাকে। উল্কাবৃষ্টির চূড়ান্ত পর্যায়ে ৬০ থেকে ২০০টির মধ্যে Quadrantids উল্কা লক্ষ্য করা যায় প্রতি ঘণ্টায়। তবে এর সবটাই নির্ভর করে ওই রাতের পরিস্থিতি এবং আকাশে কতটা গাঢ় অন্ধকার রয়েছে তার উপর। কারণ আকাশ যত ঘন গাঢ় অন্ধকার থাকবে, তত ভাল দেখা যাবে উল্কাবৃষ্টি। সাধারণত একটি meteor streak গড়ে যতক্ষণ স্থায়ী হয় তার থেকে অনেকটা বেশিই থাকে Quadrantids উল্কাবৃষ্টি। কারণ এই Quadrantids আসলে বৃহত্তর পর্যায়ে আলো এবং রঙয়ের বিস্ফোরণ ঘটায়।
এই Quadrantids উল্কা কোথা থেকে তৈরি হয়?
সাধারণত কোনও গ্রহাণুর অংশবিশেষ ভেঙে গেলে সেই পড়ে থাকা ধূমকেতুকণাকে বলে comet particles বা উল্কা। যখন এই সমস্ত পার্টিকেল সূর্যের কাছাকাছি আসে, তখন তাদের মধ্যে থাকা ধুলো জাতীয় জিনিস ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে ওই সমস্ত পার্টিকেলের অরবিট বা কক্ষপথ বরাবর। নাসা জানিয়েছে, এই ডেব্রিস ট্রেলের পাশ দিয়ে প্রতি বছর ধাবিত হয় পৃথিবী। সেই সময় আমাদের অর্থাৎ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে এই ধুলোর প্রবাহের সংঘর্ষের ফলে আকাশে রঙিন এবং উজ্জ্বল স্ট্রিকস দেখা যায়। একেই বলে উল্কাবৃষ্টি।
জানা গিয়েছে, যে গ্রহাণু থেকে এই Quadrantids তৈরি হয়েছে তার নাম অ্যাস্টেরয়েড ২০০৩ ইএইচ১। সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে এই গ্রহাণুর সময় লাগে ৫.৫২ বছর। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে এই অ্যাস্টেরয়েড ২০০৩ ইএইচ১ আসলে একটি ‘মৃত ধূমকেতু’ কিংবা এমন একটি নতুন ধরনের অবজেক্ট যা ‘রক কমেট’ বা ‘পাথুরে ধূমকেতু’ নামে পরিচিত হবে। ২০০৩ সালে Lowell Observatory Near-Earth Object Search- এর মাধ্যমে এই গ্রহাণু আবিষ্কৃত হয়েছিল। এর ব্যাস প্রায় ৩ কিলোমিটার। লুপ্ত হওয়া নক্ষত্রপুঞ্জ Quadrans Muralis থেকে এসেছিল এই গ্রহাণু। প্রথম দেখা গিয়েছিল ১৮২৫ সালে।