জীবাশ্মবিদরা একটি করে নতুন নতুন জীবাশ্মের সন্ধান পান, আর সেই সঙ্গে হাজার অজানা তথ্যকে তুলে ধরেন মানুষের কাছে। অবাক করা সব তথ্যকে কেন্দ্র করে উঠে আসে কোটি কোটি বছর আগের ইতিহাস। তেমনই বিজ্ঞানীরা এমন একটি প্রজাতির জীবাশ্ম পেয়েছেন, যাতে কিছু অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য দেখা গিয়েছে। অদ্ভুত এই প্রাণী সম্পর্কে জীবাশ্মবিদরা গবেষণা করতে গিয়ে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। পাখির মতো প্রাণীটির পা ছিল ডাইনোসরের মতো। আবার ডানাও ছিল পাখির মতো। চিনে পাওয়া এই জীবাশ্ম সম্পর্কে গবেষকরা জানাচ্ছেন, প্রাণীটি ডাইনোসর আর পাখির মিশ্রন ছিল। এমনকি প্রাণীটি জুরাসিক যুগের (ভূতাত্ত্বিক যুগ-20 কোটি থেকে 14 কোটি বছর আগে)ছিল। জুরাসিক যুগের এই প্রাণীর জীবাশ্ম আবিষ্কৃত হয়েছে চিনের ফুজিয়ান প্রদেশে। জীবাশ্মবিদরা এই প্রাণীটির নাম দিয়েছেন Fujianvenator Prodigiosus (ফুজিয়ানভেনটর প্রোডিজিওসাস)।
তবে কি এটি একটি পাখি?
আবিষ্কারের পর থেকেই ফুজিয়ানভেনটর কোন প্রজাতির মধ্যে রাখা যায়, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল গবেষকদের মধ্যে। চাইনিজ একাডেমি অফ সায়েন্সেসের অ্যান্ড প্যালিওনথ্রোপলজি ইনস্টিটিউটের জীবাশ্মবিদ, মিন ওয়াং জানান, এটি পাখি নাকি অন্য কোনও প্রজাতি তা সম্পর্কে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
ডাইনোসরের কোনও অজানা প্রজাতি?
মিন ওয়াং জানান, ফুজিয়ানভেনটররা এভিয়ান প্রজাতির মধ্যে পড়ছে। এভিয়ালান্স হল এক বিলুপ্ত প্রজাতির পাখি। এই পাখি 66 মিলিয়ন বছর আগে বিলুপ্তি থেকে বেঁচে ছিল, কিন্তু তারা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে গিয়েছে। এই প্রজাতির প্রাণী ফুজিয়ানভেনটরের থেকে দ্বিগুণ লম্বা ছিল।
ফুজিয়ানভেনটর সম্পর্কে কী জানাচ্ছেন গবেষকরা?
ফুজিয়ানভেনটরের লেজে লম্বা হাড় ছিল। সামনের অংশটি ছিল পাখির ডানার মতো। আঙুলে তিনটি হাড় ছিল, যা পাখিদের মধ্যে দেখা যায় না। তবে ফুজিয়ানভেনেটররা উড়তে পারে কি না তা গবেষণায় এখনও নির্ধারন করা যায়নি। তবে গবেষকদের মতে, লম্বা পায়ের শরীরের গঠন দেখে বলা যেতে পারে যে, ফুজিয়ানভেনটর খুব দ্রুত দৌড়াতে পারত। তবে উড়তে পারতে কি না জানা যাচ্ছে না।