Astronauts In Space: মহাকাশে পৌঁছনোর পর মহাকাশচারীদের অবস্থা ঠিক কেমন হয়? মহাশূন্যে ভেসে থাকার সময় তাঁরা কীভাবে কী করে, কী খায়- তা অনেকেই জানেন না। অনেক সময় সেই সব ভিডিয়োও বিভিন্ন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা শেয়ার করে। তারপরেও তাঁদের মহাশূন্যে জীবনযাপন ঘিরে সাধারণ মানুষের প্রশ্নের শেষ থাকে না। তার মধ্যেই এক অবাক করা বিষয় জানা গেল। মহাকাশচারীরা মহাকাশে পৌঁছানোর পর চুল কাটেন কীভাবে? সবই তো ভাসেন মহাশূন্যে! তবে কীভাবে সম্ভব হয় চুল-দাড়ি কাটা? আর এই সব প্রশ্ন আরও বেশি করে উঠে এল যখন সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর মহাকাশচারী সুলতান আলনিয়াদি মহাকাশে পা দিলেন। প্রায় চার মাস ধরে তিনি মহাকাশে রয়েছেন। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সেখানে বহু প্রশ্ন উঠে আসে। মহাশূন্যে কীভাবে দৈনন্দিন জীবন কাটানো যায়, সেই সংক্রান্ত প্রশ্নও তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন মানুষজন। সেখানে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি এমন অনেক অজানা তথ্য দেন, যা শুনলে আপনি অবাক হবেন।
পৃথিবীতে মানুষ যেভাবে থাকে, মহাকাশে থাকাটা অনেকটাই কঠিন। ফলে তিনি মহাকাশে কীভাবে বসবাস করছেন, সে সম্পর্কে জানিয়েছেন। তিনি এই সম্পর্কিত একটি ভিডিয়োও প্রকাশ করেছেন, তাতে তিনি জানিয়েছেন, মহাকাশে কীভাবে চুল এবং দাড়ি কাটা হয়।
الكثير منكم يتساءل عن الحلاقة في محطة الفضاء الدولية..
??♂
طبعا ما في حلاقين.. نحن نقص شعرنا ونحلق بأنفسنا أو بمساعدة الرواد الآخرين.. شو رأيكم في الحلاقة الفضائية؟ pic.twitter.com/hySgZKuNJn— Sultan AlNeyadi (@Astro_Alneyadi) July 14, 2023
42 বছর বয়সী আলনিয়াদির টুইটার অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। তাতে তিনি জানিয়েছেন, সমস্ত নভোচারীর আলাদা আলাদা একটি ব্যক্তিগত হাইজিন কিট (Hygiene Kit) থাকে। তিনি লিখেছেন, “অনেকে প্রশ্ন করছিলেন মহাকাশে চুল কীভাবে কাটা হয়? স্পষ্টতই এখানে কোনও সেলুন নেই। তাই বাধ্য হয়ে নিজেদেরই চুল কাটতে হয়। সহকর্মী নভোচারীরা আমাদের সাহায্য করে। ছয় মিনিটের ভিডিয়োতে তিনি ট্রিমার দিয়ে চুল ও দাড়ি কেটেছেন। এই ট্রিমারে একটি সাকশন ডিভাইস (যা কোনও কিছুকে ছড়িয়ে যেতে দেয় না, নিজের দিকে টেনে নেয়) ছিল, যা চুলকে এদিক ওদিক ছড়িয়ে যেতে দেয়নি।”
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে মাধ্যাকর্ষণ প্রায় নেই। এই কারণে এখানে নভোচারী-সহ সবকিছুই ভাসতে থাকে। নাসার তরফে জানানো হয়েছে, “যদি সাকশন ডিভাইস ছাড়াই চুল কাটা হয়, তা স্পেস স্টেশনের যন্ত্রগুলিতে গিয়ে আটকে যেতে পারে। তারা এয়ার ফিল্টারে গিয়েও জমা হতে পারে। এমনকি অন্যান্য নভোচারীদের চোখেও ঢুকে যেতে পারে। প্রথমে মহাকাশে পাঠানোর আগে নভোচারীদের চুলের বৃদ্ধি নিয়ে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। 2016 সালে, 10 জন নভোচারীর চুলের উপর একটি গবেষণা করা হয়েছিল, যারা ছয় মাস ধরে মহাকাশে বাস করেছিল। তাই নভোচারীদের কাছে সমস্ত ব্যবস্থা থাকে।”