Telecom Licence: ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ-সহ সব ইন্টারনেট কলিং অ্যাপের এবার টেলিকম লাইসেন্স প্রয়োজন, গ্রাহকের খরচ বাড়বে?
Telecom Licence For Internet Calling Apps: WhatsApp, Zoom, Skype-সহ নানাবিধ ইন্টারনেট কলিং অ্যাপগুলির জন্য দুঃসংবাদ। টেলিকমিউনিকেশন বিল 2022-এর খসড়া অনুয়ায়ী, প্রতিটি ইন্টারনেট কলিং অ্যাপকেই ভারতে ব্যবসা করতে এবার থেকে লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে।
Internet Calling Apps: দেশে এই মুহূর্তে জনপ্রিয়তা পেয়েছে একাধিক ইন্টারনেট কলিং অ্যাপ। হোয়াটসঅ্যাপ থেকে শুরু করে জ়ুম, স্কাইপি, এমনকি গুগল ডুয়ো-র মতো অ্যাপগুলি আজকাল অফিসের কাজ তো বটেই, ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হয় বন্ধুবান্ধব বা অন্যান্য ক্ষেত্রের নানাবিধ জরুরি কাজকর্মের জন্য। তবে ভারতের মতো দেশেই এবার হোয়াটসঅ্যাপ, জ়ুম, স্কাইপি, গুগল ডুয়ো-সহ নানাবিধ ইন্টারনেট কলিং অ্যাপগুলির জন্য একটি দুঃসংবাদ এসেছে। টেলিকমিউনিকেশন বিল 2022-এর খসড়া অনুয়ায়ী, প্রতিটি ইন্টারনেট কলিং অ্যাপকেই ভারতে ব্যবসা করতে এবার থেকে লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে।
সেই খসড়া বিলে OTT অ্যাপগুলিকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে টেলিকমিউনিকেশন পরিষেবার অঙ্গ হিসেবে। গত বুধবার সন্ধেবেলায় খসড়া বিলটি রিলিজ় করা হয়েছে, যাতে লেখা হয়েছে, “টেলিযোগাযোগ পরিষেবা এবং নেটওয়ার্কগুলির বিধানের জন্য এন্টিটি বা সত্তাগুলিকে লাইসেন্স পেতে হবে।” টেলিকম ও ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলিকে ফি ও জরিমানা মকুবের বিধানের প্রস্তাবও করা হয়েছে খসড়া বিলটিতে।
টেলিকম বা ইন্টারনেট প্রদানকারী তার লাইসেন্স সমর্পণ করলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক ফি ফেরত দেওয়ার বিধানেরও প্রস্তাব করেছে। “ভারতীয় টেলিকম বিল 2022 খসড়ার বিষয়ে আপনার মতামত জানতে চাচ্ছি,” টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে একটি পোস্টে বলেছেন, যেখানে তিনি খসড়া বিলের লিঙ্কটিও শেয়ার করেছেন। আর এই খসড়ার উপর জনসাধারণের মন্তব্য জানানোর শেষ দিন 20 অক্টোবর।
খসড়া অনুসারে, “টেলিকম নিয়ম অনুসারে, কেন্দ্রীয় সরকার এন্ট্রি ফি, লাইসেন্স ফি, রেজিস্ট্রেশন ফি বা অন্য কোনও ফি বা চার্জ, সুদ, অতিরিক্ত চার্জ বা জরিমানা-সহ যে কোনও লাইসেন্সধারী বা নিবন্ধিত সত্তার জন্য আংশিক বা সম্পূর্ণ যে কোনও ফি মকুব করতে পারে।”
এছাড়াও, বিলটিতে কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারের কাছে স্বীকৃত সংবাদদাতাদের “ভারতে প্রকাশিত প্রেস বার্তাগুলিকে” বাধা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাবও করা হয়েছে। তবে জনসাধারণের জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রে বা ভারতের জননিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা বা নিরাপত্তার স্বার্থে, বিদেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা বা অপরাধের প্ররোচনা রোধ করার জন্য ছাড় দেওয়া হবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই বিলে।