অনুব্রত মণ্ডল

অনুব্রত মণ্ডল

অনুব্রত মণ্ডল। তৃণমূলের একাংশ বলেন, ‘বীরভূমের বাঘ’। দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘কেষ্ট’ বলে থাকেন। অনুব্রত মণ্ডল শাসকদলের দক্ষ সংগঠক। মাছ বিক্রেতা থেকে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি হয়ে উঠেছিলেন বেতাজ বাদশা। বোলপুর শহরের নিচুপট্টি এলাকার নীল রঙা বাড়িতে বসেই তৈরি করতেন কোনও নির্বাচন ‘মহারণের’ রূপরেখা। প্রতিবারই নিয়ম করে ভোটের আগে ‘কেষ্ট-উবাচ’ চর্চার বিষয় হয়ে উঠত বাংলায়। সে চড়াম-চড়ামই হোক কিংবা রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে। ২০২২ সালের ১১ অগস্ট থেকে বদলে গিয়েছে সবটা। বীরভূমের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তো বটেই। গরু-কয়লা পাচার মামলায় রাখির দিন গ্রেফতার হন অনুব্রত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কেষ্টর হিসাব বহির্ভূত প্রচুর সম্পত্তির হদিশ পায়। তদন্তকারীদের দাবি, সেগুলি সমস্তটাই গরু পাচারের টাকায়। এই মামলা বর্তমানে বিচারাধীন। আর কেষ্ট বন্দি তিহাড়েই।

Read More

Anubrata Mondal: কয়েক কিমির ব্যবধানে দুই মঞ্চে দুই নেতা, অনুব্রত-কাজলের ঠান্ডা লড়াই বাড়ছে?

Anubrata Mondal: সোমবার সিউড়ি এক নম্বর ব্লকের বেণীমাধব স্কুলের মাঠে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে থাকবেন অনুব্রত মণ্ডল। একই দিনে ১০ কিলোমিটার দূরে সিউড়ি দু'নম্বর ব্লকে থাকবেন কাজল শেখ। সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি নুরুল ইসলাম সেই বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেছেন।

Anubrata Mondal: ‘আমি নেতা নই…’, হঠাৎ কী হল কেষ্টর? মাথা নিচু করে মাইক হাতে বলে দিলেন সবটা

Anubrata Mondal: অনুব্রত মণ্ডল বলেন, "জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্প আছে। উন্নয়ন চরম পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন তিনি। আমি আপনাদের মতোই একজন কর্মী। বুথ কর্মীরাই দল বাঁচিয়ে রেখেছেন। আমি নেতা নই।"

Anubrata Mondal: বিজয়াতেই ‘কামব্যাক’! আবারও স্বমহিমায় অনুব্রত মণ্ডল

Anubrata Mondal: বীরভূমের জেলা রাজনীতিতে ইতিমধ্যে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে তাঁর পদ অর্থাৎ জেলা সভাপতি পদ পাননি অন্য কেউ। দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড়ে দেওয়া 'কোর কমিটি'ই চালিয়েছে বীরভূম জেলার কাজ।

Cattle smuggling case: কেষ্টর পর এবার তাঁর দেহরক্ষী, গরুপাচার মামলায় জামিন পেলেন সায়গল

Cattle smuggling case: ২০২২ সালের ৯ জুন গরুপাচার মামলায় সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। পরে ওই বছরেরই ৭ অক্টোবর জেলবন্দি সায়গলকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বর্তমানে তিহাড় জেলে রয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী। এদিন বিচারপতি বলেন, এই মামলায় নথির পরিমাণ বহু। ফলে বিচার প্রক্রিয়া শেষ হতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে।

Anubrata Mondal: ‘সেই’ শক্তিগড়, থামল অনুব্রতর গাড়ি, খেলেন চা-মুড়ি

Anubrata Mondal: ২০২৩ সালের মার্চে শক্তিগড়ে রেস্তরাঁয় কচুরি খেয়েছিলেন অনুব্রত। আর রবিবার গাড়ি থামিয়ে প্রথমে চা খান তিনি। তারপর শশা দিয়ে মুড়ি খেলেন। এবার আর গাড়ি থেকে নামেননি। গাড়িতে বসেই খাবার খেলেন।

Anubrata Mondal: ‘মা ডেকেছেন তাই…’, সুকন্যার হাত ধরে স্ত্রী ও মেয়ের পাশাপাশি মমতা-অভিষেকের নামেও কালীকে পুজো দিলেন কেষ্ট

Birbhum: রবিবার ডাক্তার দেখানোর জন্য কলকাতায় যাওয়ার কথা রয়েছে কেষ্টর। প্রায় তিরিশ কেজি ওজন ঝরেছে তাঁর। তবে মেডিক্যাল চেকআপের জন্য কলকাতায় যেতে পারেন আজই। পায়ের ব্যথা, শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্যই কলকাতায় যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।

Partha Chatterjee: ‘অনুব্রত আমার থেকে বেশি ক্ষমতাবান’, হাইকোর্টে সওয়াল পার্থর

Anubrata Mondal: পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য সহ একাধিক অভিযুক্তের জামিনের মামলা চলছে হাইকোর্টে। সেই মামলায় এদিন সিবিআই-এর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে হাইকোর্টে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকায় কার্যত ক্ষুব্ধ আদালত।

Anubrata Mondal: আর্থিক অবস্থা ভাল নেই, পুজোয় আর গোটা গ্রামে খাওয়াতে পারবেন না অনুব্রত

Anubrata Mondal: গ্রেফতারির পর পুজোয় প্রতিবারের চেনা ছবিটা বদলে গিয়েছিল শেষ দু’বছরে। প্রতি পুজোতেই গোটা গ্রামের মানুষকে পাত পেড়ে খাওয়াতেন। কিন্তু, এবার আর সেই ছবি দেখা যাবে না। তাহলে পুজোর প্ল্যানটা ঠিক কিরকম?

Anubrata Mondal: ‘আমি নিশ্চয়ই কোনও পাপ করেছিলাম, শাস্তি পেয়েছি’, আবেগতাড়িত অনুব্রত

Anubrata Mondal: এদিনও অতি সন্তর্পণে অনুব্রত এড়িয়ে গিয়েছেন, গ্রেফতারি প্রসঙ্গ। কোথাও কোনও ষড়যন্ত্র হয়েছে কি না প্রশ্ন করা হলে কেষ্টকে হাত জোড় করে বলতে শোনা যায়, "আইনকে সম্মান করি। আইনকে ভালবাসি। ওই ব্য়াপারে আমি কিছু বলব না। আমি কোনও বিতর্কে যাব না।"

Anubrata Mondal: কলকাতায় আসছেন অনুব্রত, আবারও মুখ্যমন্ত্রী-সাক্ষাতের জল্পনা শুরু

Anubrata Mondal: তবে গত দু'বছরে বারবার কেষ্টর পাশে দাঁড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বারবারই বলেছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে এই গ্রেফতারি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এও বলেছিলেন, জেল থেকে ছাড়া পেলে বীরের সম্মান দিয়ে ফেরাতে হবে অনুব্রতকে। তবে গত দু'বছরেনয়, কেষ্টর প্রতি মমতার স্নেহের প্রকাশ গত কয়েক বছরে একাধিকবার দেখেছেন বাংলার মানুষ। কেষ্টর অসুস্থতা হোক বা মাথায় অক্সিজেন কম পৌঁছনো, মমতা প্রকাশ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।