ক্যান্সার চিকিৎসায় এক যুগান্তকারী আবিষ্কার

TV9 Bangla Digital | Edited By: Tapasi Dutta

Jul 04, 2024 | 11:24 PM

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে বিতর্ক চলছেই। আর শুধু ডিপ ফেক কেন। মানুষকে ধনে-প্রাণে মারতেও আজকাল এআই ব্যবহার করছে ফ্রডস্টাররা। এআই খাচ্ছে চাকরিও। এইবার সেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকেই কাজে লাগিয়ে এক জীবনদায়ী চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করলেন একদল গবেষক। এআই-এর মাধ্যমে অন্তত ১৩ রকমের ক্যান্সার প্রায় নিখুঁতভাবে সনাক্ত করার রাস্তা দেখালেন তাঁরা। যা কিনা ক্যান্সার গবেষণা ও চিকিৎসায় যুগান্তকারী হয়ে উঠতে পারে।

Follow Us

ভারতের হাতে এখন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী বোমা। ভুল শুনছেন না। ঠিকই শুনছেন। এটা পরমাণু বোমা নয়। দুনিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী অ-পরমাণু বোমার ফরমুলা এখন দেশের হাতের মুঠোয়। প্রথমেই আমি একটা কথা পরিষ্কার করে দিই। পরমাণু বোমা হল শেষ অস্ত্র। এখনও পর্যন্ত একবারই হিরোসিমা এবং নাগাসাকিতে এ বোমার ব্যবহার হয়েছে। পরমাণু বোমার ব্যবহার মানে সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সামিল। কোনও সভ্য দেশই এদিকে এগোনোর আগে হাজারবার ভাববে। আর আমাদের দেশ ভারত তো কখনই পরমাণু বোমার অভিশাপ গায়ে নিতে চাইবে না। তবে, দরকারে চিন-পাকিস্তানের জন্য কিছু তো রাখতেই হবে। সেটাই হল সেবেক্স-টু। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী বিস্ফোরক। নাগপুরের সংস্থা ইকনমিক এক্সপ্লোসিভস লিমিটেড এই বিস্ফোরক তৈরি করেছে। প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে দেশের যে উদ্যোগ। তার আওতাতেই তৈরি হয়েছে এই সেবেক্স-টু। নৌ-বাহিনীও এই বিস্ফোরক পরীক্ষা ও ব্যবহার করে সার্টিফিকেট দিয়ে দিয়েছে। কেন একে বলা হচ্ছে দুনিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী বিস্ফোরক, সেটা এইবার বলি। দেখুন কোন এক্সপ্লোসিভের ক্ষমতা কতটা, সেটা সচরাচর টিএনটি বা ট্রাইনাইট্রোটলুইনের সঙ্গে তুলনা করে মাপা হয়। ১৯০২ সালে প্রথম জার্মান সেনা টিএনটি ব্যবহার শুরু করে। আস্তে আস্তে সমস্ত দেশই এই পথে হাঁটে। প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে এখন বাজারে চলে এসেছে টিএনটি-র তুলনায় আরও বেশি ধ্বংসাত্মক বিস্ফোরক। সেগুলোর শক্তি সাধারণত টিএনটি-র তুলনায় ১.৩ গুণ। ভারতের সেবেক্স-টু-র শক্তি টিএনটি-র তুলনায় ২.১ গুণ বেশি। নাগপুরের সংস্থাটি জানিয়েছে টিএনটি-র তুলনায় ২.৩ গুণ বেশি ক্ষমতার বিস্ফোরকও তারা খুব তাড়াতাড়ি সেনার হাতে তুলে দেবে। এতক্ষণে নিশ্চই বুঝতে পারছেন যে আমি কেন বলছিলাম, ভারতের হাতে চলে এসে দুনিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী বোমা। যা কিনা পরমাণু বোমা নয়। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সেবেক্স-টু হতে চলেছে গেম চেঞ্জার। চিন ও পাকিস্তান ভয় তো পাবেই। সামরিক ক্ষেত্রে দুনিয়ার প্রথম সারির দেশগুলোও এবার ভারতকে সমঝে চলতে বাধ্য হবে। আর এই অস্ত্রে জঙ্গিদের ডেরা তো খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দিতে পারবে ভারতীয় সেনা। আরেকটা ভালো খবর হল যে নতুন এই বিস্ফোরক ওজনে হাল্কা। ফলে এখন যে পরিকাঠামো রয়েছে, তার মাধ্যমেই এটি ব্যবহার করা যাবে। আকাশ থেকে বোমা। কামান থেকে গোলা। বা মিসাইলের ওয়ার হেড। সবেতেই ইউজ করা যাবে সেবেক্স-টু। পরমাণু বোমার মতো মারণাস্ত্র ব্যবহার না করেও সহজেই শত্রুকে ঘায়েল করা যাবে। যতোটা খবর পাচ্ছি, এই বিস্ফোরক, বন্ধু দেশে রফতানি করার ভাবনাচিন্তাও চলছে। সেবেক্স-টু-র সাহায্যে আগামীদিনে ভারতের নিজস্ব মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমও আর বেশি শক্তিশালী হবে। যার কাজ এখন চলছে পুরোদমে।

ডিপ ফেক বিতর্ক মনে আছে তো? আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে বিতর্ক চলছেই। আর শুধু ডিপ ফেক কেন। মানুষকে ধনে-প্রাণে মারতেও আজকাল এআই ব্যবহার করছে ফ্রডস্টাররা। এআই খাচ্ছে চাকরিও। এইবার সেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকেই কাজে লাগিয়ে এক জীবনদায়ী চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করলেন একদল গবেষক। এআই-এর মাধ্যমে অন্তত ১৩ রকমের ক্যান্সার প্রায় নিখুঁতভাবে সনাক্ত করার রাস্তা দেখালেন তাঁরা। যা কিনা ক্যান্সার গবেষণা ও চিকিৎসায় যুগান্তকারী হয়ে উঠতে পারে।

১৯৩৬ সালে নিউইয়র্কে মুক্তি পেয়েছিল মর্ডান টাইমস। ছবিতে চ্যাপলিন দেখিয়েছিলেন যন্ত্রসভ্যতা। অতিরিক্ত মাত্রায় যন্ত্রের ব্যবহার। যন্ত্রের ওপর নির্ভরতা। কীভাবে মানুষকে শেষ করে দেয়। মর্ডান টাইমস তো আমরা সকলেই দেখেছি। রবার্ট নিকোলাস উইলিয়ামসের নাম শুনেছেন কি। নিউইয়র্ক থেকে আটশো মাইল দূরে মিশিগানে ফোর্ডের গাড়ি কারখানার কর্মী ছিলেন তিনি। মর্ডান টাইমসের মুক্তির ৪৩ বছর পর ১৯৭৯ সালের জানুয়ারির এক সকাল। ফোর্ড কারখানায় যে বিভাগে ২৫ বছরের উইলিয়ামস কাজ করতেন। সেখানে গুদাম থেকে গাড়ির যন্ত্রাংশ বয়ে আনার কাজ করত একটা রোবট। সেদিন আচমকা রোবটটা থেমে যায়। সুপারভাইজার উইলিয়ামসকে বলেন রোবটের কাছে গিয়ে ওইসব পার্টস নিয়ে আসতে। উইলিয়ামস কাছে যেতেই আচমকা রোবটটি চালু হয়ে যায়। রোবটের এক টন ওজনের যান্ত্রিক হাত তাঁর মাথায় সজোরে আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গেই মারা যান উইলিয়ামস। বলতে পারেন তিনিই বিশ্বে প্রথম যন্ত্রসভ্যতার শহিদ। রোবটের হাতে খুন হওয়া প্রথম মানুষ। তারপরে রোবটের হাতে মানুষের মারা যাওয়ার ঘটনা অনেক ঘটেছে। আমাদের হরিয়ানার মানেসরের গাড়ি কারখানাতেই কিছুদিন আগে এক কর্মীর পেটে লোহার ধারালো পাত ঢুকিয়ে দেয় একটা রোবট। তবে যা এতদিন শোনা যায়নি। সেটা এবার শোনা গেল। রোবটের আত্মহত্যার খবর। প্রবল কাজের চাপ সামলাতে না পেরে মানুষের আত্মহত্যার ঘটনা নতুন নয়। কিন্তু তাই বলে কাজের চাপে রোবটের আত্মহত্যা। আশ্চর্য এই ঘটনার কথা শোনা গেছে দক্ষিণ কোরিয়ার। সেখানকার গুমি নামে এক শহরে সরকারি অফিসে কাজ করত এই রোবট। সম্প্রতি রোবটটি নিজে থেকে আচমকা সিঁড়ি থেকে ঝাঁপ দেয়। নীচে পড়ে ভেঙেচুরে গিয়ে বিকল হয়ে যায়। ওই অফিসে তখন যাঁরা কাজ করছিলেন, তাঁরা জানিয়েছেন ঝাঁপ দেওয়ার আগে ঘরের মধ্যে রোবটটা বারবার গোল হয়ে ঘুরছিল। তাকে দেখে প্রবল অস্থির বলে মনে হচ্ছিল। কেন রোবটটি এমন করল, তা জানতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। আপাতত জানা গেছে ক্যালিফোর্নিয়ার এক সংস্থা ওই রোবটটি তৈরি করে। গত আগস্ট মাস থেকে সেটি দক্ষিণ কোরিয়ার ওই অফিসে কাজ করছিল। কর্মী হিসেবে তার আইডেন্টিটি কার্ডও ছিল। নানা কাগজপত্র নিয়ে যাওয়ার সঙ্গেই তথ্য দেওয়ার কাজও করত ওই রোবট। কাজ না থাকলে নিজে থেকেই অফিসে ঘুরে বেড়াত। যাইহোক না কেন এই ঘটনার পর নানা জল্পনা, বিতর্ক, শোরগোল শুরু হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা আত্মহত্যার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁরা বলছেন যে যন্ত্রের কোনও অনুভূতি থাকে না। যন্ত্র নিজে থেকে ভাবতেও পারে না। ফলে আত্মহত্যার প্রশ্নও নেই। সম্ভবত রোবটের সেন্সরে কোনও সমস্যা হয়েছিল। ঠিক কী হয়েছে, তা জানতে ক্যালিফোর্নিয়ার ওই সংস্থা রোবটের ভেঙে যাওয়া যন্ত্রাংশ পরীক্ষা করছে। দক্ষিণ কোরিয়ার এই রোবটটি ছিল পুরনো ধাঁচের। তবে এখন এআই এনেবেলড হিউম্যানয়েড রোবট বাজারে এসে গেছে। তারা সচেতনভাবে খুন বা আত্মহত্যা কোনওটাই করতে পারে কিনা বলতে পারব না। আমি বরং এই অবসরে আপনাদের সঙ্গে সোফিয়ার আলাপ করিয়ে দিই।

রাত জেগে ইউরো দেখছেন। কোপার সমস্ত ম্যাচের খবর রাখছেন। মনে মনে আফসোস হয় না, ভারত কবে ওয়ার্ল্ড কাপ খেলবে। অলিম্পিকের মঞ্চে মাথা তুলে দাঁড়াবে আমাদের ফুটবল। আজ এসব আকাশকুসুম বলে মনে হলেও একদিন তো আমরা পারতাম। ছাপ্পান্নর মেলবোর্ন অলিম্পিকে বদ্রু ব্যানার্জির ক্যাপ্টেনসিতে ভারত সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল। বাষট্টির এশিয়ান গেমসে দেশকে সোনা এনে দিয়েছিলেন চুনী-পিকে-বলরাম। দেশে ফুটবলের সেই স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে নিয়ে আসতে উদ্যোগী হয়েছে টিভি নাইন। লক্ষ্য ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোর সহযোগিতায় খুঁজে বের করা ফুটবলে নতুন প্রতিভা৷ যার মাধ্যমে স্বপ্নপূরণের সুযোগ পাচ্ছে দেশের লক্ষ লক্ষ স্কুল পড়ুয়া। ফুটবল ট্যালেন্ট হান্ট-ইন্ডিয়ান টাইগারস অ্যান্ড টাইগ্রেস।

ভারতের হাতে এখন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী বোমা। ভুল শুনছেন না। ঠিকই শুনছেন। এটা পরমাণু বোমা নয়। দুনিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী অ-পরমাণু বোমার ফরমুলা এখন দেশের হাতের মুঠোয়। প্রথমেই আমি একটা কথা পরিষ্কার করে দিই। পরমাণু বোমা হল শেষ অস্ত্র। এখনও পর্যন্ত একবারই হিরোসিমা এবং নাগাসাকিতে এ বোমার ব্যবহার হয়েছে। পরমাণু বোমার ব্যবহার মানে সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সামিল। কোনও সভ্য দেশই এদিকে এগোনোর আগে হাজারবার ভাববে। আর আমাদের দেশ ভারত তো কখনই পরমাণু বোমার অভিশাপ গায়ে নিতে চাইবে না। তবে, দরকারে চিন-পাকিস্তানের জন্য কিছু তো রাখতেই হবে। সেটাই হল সেবেক্স-টু। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী বিস্ফোরক। নাগপুরের সংস্থা ইকনমিক এক্সপ্লোসিভস লিমিটেড এই বিস্ফোরক তৈরি করেছে। প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে দেশের যে উদ্যোগ। তার আওতাতেই তৈরি হয়েছে এই সেবেক্স-টু। নৌ-বাহিনীও এই বিস্ফোরক পরীক্ষা ও ব্যবহার করে সার্টিফিকেট দিয়ে দিয়েছে। কেন একে বলা হচ্ছে দুনিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী বিস্ফোরক, সেটা এইবার বলি। দেখুন কোন এক্সপ্লোসিভের ক্ষমতা কতটা, সেটা সচরাচর টিএনটি বা ট্রাইনাইট্রোটলুইনের সঙ্গে তুলনা করে মাপা হয়। ১৯০২ সালে প্রথম জার্মান সেনা টিএনটি ব্যবহার শুরু করে। আস্তে আস্তে সমস্ত দেশই এই পথে হাঁটে। প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে এখন বাজারে চলে এসেছে টিএনটি-র তুলনায় আরও বেশি ধ্বংসাত্মক বিস্ফোরক। সেগুলোর শক্তি সাধারণত টিএনটি-র তুলনায় ১.৩ গুণ। ভারতের সেবেক্স-টু-র শক্তি টিএনটি-র তুলনায় ২.১ গুণ বেশি। নাগপুরের সংস্থাটি জানিয়েছে টিএনটি-র তুলনায় ২.৩ গুণ বেশি ক্ষমতার বিস্ফোরকও তারা খুব তাড়াতাড়ি সেনার হাতে তুলে দেবে। এতক্ষণে নিশ্চই বুঝতে পারছেন যে আমি কেন বলছিলাম, ভারতের হাতে চলে এসে দুনিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী বোমা। যা কিনা পরমাণু বোমা নয়। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সেবেক্স-টু হতে চলেছে গেম চেঞ্জার। চিন ও পাকিস্তান ভয় তো পাবেই। সামরিক ক্ষেত্রে দুনিয়ার প্রথম সারির দেশগুলোও এবার ভারতকে সমঝে চলতে বাধ্য হবে। আর এই অস্ত্রে জঙ্গিদের ডেরা তো খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দিতে পারবে ভারতীয় সেনা। আরেকটা ভালো খবর হল যে নতুন এই বিস্ফোরক ওজনে হাল্কা। ফলে এখন যে পরিকাঠামো রয়েছে, তার মাধ্যমেই এটি ব্যবহার করা যাবে। আকাশ থেকে বোমা। কামান থেকে গোলা। বা মিসাইলের ওয়ার হেড। সবেতেই ইউজ করা যাবে সেবেক্স-টু। পরমাণু বোমার মতো মারণাস্ত্র ব্যবহার না করেও সহজেই শত্রুকে ঘায়েল করা যাবে। যতোটা খবর পাচ্ছি, এই বিস্ফোরক, বন্ধু দেশে রফতানি করার ভাবনাচিন্তাও চলছে। সেবেক্স-টু-র সাহায্যে আগামীদিনে ভারতের নিজস্ব মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমও আর বেশি শক্তিশালী হবে। যার কাজ এখন চলছে পুরোদমে।

ডিপ ফেক বিতর্ক মনে আছে তো? আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে বিতর্ক চলছেই। আর শুধু ডিপ ফেক কেন। মানুষকে ধনে-প্রাণে মারতেও আজকাল এআই ব্যবহার করছে ফ্রডস্টাররা। এআই খাচ্ছে চাকরিও। এইবার সেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকেই কাজে লাগিয়ে এক জীবনদায়ী চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করলেন একদল গবেষক। এআই-এর মাধ্যমে অন্তত ১৩ রকমের ক্যান্সার প্রায় নিখুঁতভাবে সনাক্ত করার রাস্তা দেখালেন তাঁরা। যা কিনা ক্যান্সার গবেষণা ও চিকিৎসায় যুগান্তকারী হয়ে উঠতে পারে।

১৯৩৬ সালে নিউইয়র্কে মুক্তি পেয়েছিল মর্ডান টাইমস। ছবিতে চ্যাপলিন দেখিয়েছিলেন যন্ত্রসভ্যতা। অতিরিক্ত মাত্রায় যন্ত্রের ব্যবহার। যন্ত্রের ওপর নির্ভরতা। কীভাবে মানুষকে শেষ করে দেয়। মর্ডান টাইমস তো আমরা সকলেই দেখেছি। রবার্ট নিকোলাস উইলিয়ামসের নাম শুনেছেন কি। নিউইয়র্ক থেকে আটশো মাইল দূরে মিশিগানে ফোর্ডের গাড়ি কারখানার কর্মী ছিলেন তিনি। মর্ডান টাইমসের মুক্তির ৪৩ বছর পর ১৯৭৯ সালের জানুয়ারির এক সকাল। ফোর্ড কারখানায় যে বিভাগে ২৫ বছরের উইলিয়ামস কাজ করতেন। সেখানে গুদাম থেকে গাড়ির যন্ত্রাংশ বয়ে আনার কাজ করত একটা রোবট। সেদিন আচমকা রোবটটা থেমে যায়। সুপারভাইজার উইলিয়ামসকে বলেন রোবটের কাছে গিয়ে ওইসব পার্টস নিয়ে আসতে। উইলিয়ামস কাছে যেতেই আচমকা রোবটটি চালু হয়ে যায়। রোবটের এক টন ওজনের যান্ত্রিক হাত তাঁর মাথায় সজোরে আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গেই মারা যান উইলিয়ামস। বলতে পারেন তিনিই বিশ্বে প্রথম যন্ত্রসভ্যতার শহিদ। রোবটের হাতে খুন হওয়া প্রথম মানুষ। তারপরে রোবটের হাতে মানুষের মারা যাওয়ার ঘটনা অনেক ঘটেছে। আমাদের হরিয়ানার মানেসরের গাড়ি কারখানাতেই কিছুদিন আগে এক কর্মীর পেটে লোহার ধারালো পাত ঢুকিয়ে দেয় একটা রোবট। তবে যা এতদিন শোনা যায়নি। সেটা এবার শোনা গেল। রোবটের আত্মহত্যার খবর। প্রবল কাজের চাপ সামলাতে না পেরে মানুষের আত্মহত্যার ঘটনা নতুন নয়। কিন্তু তাই বলে কাজের চাপে রোবটের আত্মহত্যা। আশ্চর্য এই ঘটনার কথা শোনা গেছে দক্ষিণ কোরিয়ার। সেখানকার গুমি নামে এক শহরে সরকারি অফিসে কাজ করত এই রোবট। সম্প্রতি রোবটটি নিজে থেকে আচমকা সিঁড়ি থেকে ঝাঁপ দেয়। নীচে পড়ে ভেঙেচুরে গিয়ে বিকল হয়ে যায়। ওই অফিসে তখন যাঁরা কাজ করছিলেন, তাঁরা জানিয়েছেন ঝাঁপ দেওয়ার আগে ঘরের মধ্যে রোবটটা বারবার গোল হয়ে ঘুরছিল। তাকে দেখে প্রবল অস্থির বলে মনে হচ্ছিল। কেন রোবটটি এমন করল, তা জানতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। আপাতত জানা গেছে ক্যালিফোর্নিয়ার এক সংস্থা ওই রোবটটি তৈরি করে। গত আগস্ট মাস থেকে সেটি দক্ষিণ কোরিয়ার ওই অফিসে কাজ করছিল। কর্মী হিসেবে তার আইডেন্টিটি কার্ডও ছিল। নানা কাগজপত্র নিয়ে যাওয়ার সঙ্গেই তথ্য দেওয়ার কাজও করত ওই রোবট। কাজ না থাকলে নিজে থেকেই অফিসে ঘুরে বেড়াত। যাইহোক না কেন এই ঘটনার পর নানা জল্পনা, বিতর্ক, শোরগোল শুরু হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা আত্মহত্যার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁরা বলছেন যে যন্ত্রের কোনও অনুভূতি থাকে না। যন্ত্র নিজে থেকে ভাবতেও পারে না। ফলে আত্মহত্যার প্রশ্নও নেই। সম্ভবত রোবটের সেন্সরে কোনও সমস্যা হয়েছিল। ঠিক কী হয়েছে, তা জানতে ক্যালিফোর্নিয়ার ওই সংস্থা রোবটের ভেঙে যাওয়া যন্ত্রাংশ পরীক্ষা করছে। দক্ষিণ কোরিয়ার এই রোবটটি ছিল পুরনো ধাঁচের। তবে এখন এআই এনেবেলড হিউম্যানয়েড রোবট বাজারে এসে গেছে। তারা সচেতনভাবে খুন বা আত্মহত্যা কোনওটাই করতে পারে কিনা বলতে পারব না। আমি বরং এই অবসরে আপনাদের সঙ্গে সোফিয়ার আলাপ করিয়ে দিই।

রাত জেগে ইউরো দেখছেন। কোপার সমস্ত ম্যাচের খবর রাখছেন। মনে মনে আফসোস হয় না, ভারত কবে ওয়ার্ল্ড কাপ খেলবে। অলিম্পিকের মঞ্চে মাথা তুলে দাঁড়াবে আমাদের ফুটবল। আজ এসব আকাশকুসুম বলে মনে হলেও একদিন তো আমরা পারতাম। ছাপ্পান্নর মেলবোর্ন অলিম্পিকে বদ্রু ব্যানার্জির ক্যাপ্টেনসিতে ভারত সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল। বাষট্টির এশিয়ান গেমসে দেশকে সোনা এনে দিয়েছিলেন চুনী-পিকে-বলরাম। দেশে ফুটবলের সেই স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে নিয়ে আসতে উদ্যোগী হয়েছে টিভি নাইন। লক্ষ্য ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোর সহযোগিতায় খুঁজে বের করা ফুটবলে নতুন প্রতিভা৷ যার মাধ্যমে স্বপ্নপূরণের সুযোগ পাচ্ছে দেশের লক্ষ লক্ষ স্কুল পড়ুয়া। ফুটবল ট্যালেন্ট হান্ট-ইন্ডিয়ান টাইগারস অ্যান্ড টাইগ্রেস।

Next Video