Budget 2023: ‘ম্যাডাম, পুরানো পেনশন স্কিম পুনরুদ্ধার করুন’, নির্মলাকে খোলা চিঠি এক সরকারি কর্মীর

Jan 16, 2023 | 5:06 PM

Union Budget 2023: উত্তরপ্রদেশের রাজস্ব দফতরে কর্মরত দীনেশ কুমার। তাঁর মতে, বেতন বৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতির হার নিয়ে সমস্যায় পড়েন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির সরকারি কর্মীরা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে খোলা চিঠি লিখলেন তিনি।

Follow Us

মাননীয় অর্থমন্ত্রী,

নমস্কার! আমি দীনেশ কুমার। আমি উত্তরপ্রদেশের রাজস্ব দফতরে কর্মরত। অনেক সাহস নিয়ে আপনাকে চিঠি লিখছি। আমার অনুরোধ, দয়া করে এই চিঠির কথা গোপন রাখবেন। শ্রদ্ধেয়া ম্যাডাম, আমরা বছরে দুইবার বোনাস পাই। বোনাসে পাওয়া অর্থের পরিমাণখুব বেশি নয় কিন্তু বোনাস পেতে ভাল লাগে। আমাকে এর ৬৫ শতাংশ বিনিয়োগ করতে হয়। ফলে হাতে থাকে মাত্র ৩৫ শতাংশ।

শুধু তাই নয়, প্রতি বছর আমাদের বেতন ৩ থেকে ৪ শতাংশ বাড়ে। আপনি জানেন যে মুদ্রাস্ফীতির হার এর থেকে অনেক বেশি। এই পরিমাণ বেতন বৃদ্ধির ফলে আমার সংসার চালানো খুবই কষ্টের হয়ে পড়ে। হয়ত অফিসারদের কোনও সমস্যা হয় না, কিন্তু তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা কী করবে?

কোনও বিভাগে বছরে দু’বার বেতন বাড়ে, কিন্তু আমাদের রাজস্ব বিভাগের ভাগ্যে কী কাজের চাপ দেখুন। আমাদের প্রতিটি সরকারী কাজে গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়। এমনকি নির্বাচনের দায়িত্বও আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়, কিন্তু আমাদের নির্বাচনী কর্মী হিসেবে গণ্য করা হয় না। এমন কাজের জন্য আমরা কিছু সাম্মানিকও পাই না। জনগণনার কাজেও আমাদের দায়িত্ব থাকে। আমরা কিষাণ সম্মান যোজনার জন্যও কাজ করি। এই প্রকল্পের জন্য আমরা পুরো তথ্য প্রস্তুত করেছিলাম কিন্তু এই কাজের সমস্ত কৃতিত্ব পায় কৃষি বিভাগ।

বেতনের নামে হাতে আসে ৩০ হাজার টাকা। হাউস রেন্ট অ্যালাওয়েন্স মাত্র ৮০০ টাকা। এই টাকা দিয়ে কি বাড়ি ভাড়া করা যায়? তাছাড়া পেট্রোলের মাসিক খরচ হিসাবে দেওয়া হয় মাত্র ১০০ টাকা। ১০০ টাকা পাই স্টেশনারি খরচের জন্য। আপনি কি মাসে মাত্র ১০০ টাকা খরচ করে বাইক চালাতে পারবেন? এক লিটার পেট্রোলের দামও কমবেশি ১০০ টাকা। সরকার কি এই সব জানে না?

আমাদের কোনও ক্যান্টিনের সুবিধা নেই বা আমাদের কোন বিশেষ চিকিৎসার বন্দবস্তও নেই। হ্যাঁ, চিকিৎসায় আমার যদি বিপুল খরচ হয়, তাহলে আমরা ৪০ শতাংশ পর্যন্ত রিইম্বারসমেন্ট পেতে পারি। চাকরিরত অবস্থায় কোনো সরকারি কর্মীর মৃত্যু হলে পরিবার একটি চাকরি ছাড়া আর কিছুই পায় না।

ম্যাডাম, আমি আমার বাচ্চাদের লেখাপড়ার খরচ বহন করছি। কিন্তু একটি ভালো কেরিয়ারের খরচ অনেক। সরকারি চাকরিতে পদোন্নতির সঠিক ব্যবস্থা বা অন্য কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। অনেক ক্ষেত্রেই এখন ভালো বেসরকারি চাকরি আছে। ম্যাডাম, সত্যি কথা বলতে, সিস্টেমে থেকেও আমরা সিস্টেমের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। আমাদের জন্য কিছু দয়া করুন! ম্যাডাম, পুরানো পেনশন স্কিম পুনরুদ্ধারের বিষয়ে কিছুটা নমনীয়তা দেখান। অন্তত আমার পেনশন নিশ্চিত হবে। আমি অনেক আশা নিয়ে বাজেটের দিকে তাকিয়ে আছি।

আপনার একান্ত অনুগত,

দীনেশ কুমার

মাননীয় অর্থমন্ত্রী,

নমস্কার! আমি দীনেশ কুমার। আমি উত্তরপ্রদেশের রাজস্ব দফতরে কর্মরত। অনেক সাহস নিয়ে আপনাকে চিঠি লিখছি। আমার অনুরোধ, দয়া করে এই চিঠির কথা গোপন রাখবেন। শ্রদ্ধেয়া ম্যাডাম, আমরা বছরে দুইবার বোনাস পাই। বোনাসে পাওয়া অর্থের পরিমাণখুব বেশি নয় কিন্তু বোনাস পেতে ভাল লাগে। আমাকে এর ৬৫ শতাংশ বিনিয়োগ করতে হয়। ফলে হাতে থাকে মাত্র ৩৫ শতাংশ।

শুধু তাই নয়, প্রতি বছর আমাদের বেতন ৩ থেকে ৪ শতাংশ বাড়ে। আপনি জানেন যে মুদ্রাস্ফীতির হার এর থেকে অনেক বেশি। এই পরিমাণ বেতন বৃদ্ধির ফলে আমার সংসার চালানো খুবই কষ্টের হয়ে পড়ে। হয়ত অফিসারদের কোনও সমস্যা হয় না, কিন্তু তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা কী করবে?

কোনও বিভাগে বছরে দু’বার বেতন বাড়ে, কিন্তু আমাদের রাজস্ব বিভাগের ভাগ্যে কী কাজের চাপ দেখুন। আমাদের প্রতিটি সরকারী কাজে গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়। এমনকি নির্বাচনের দায়িত্বও আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়, কিন্তু আমাদের নির্বাচনী কর্মী হিসেবে গণ্য করা হয় না। এমন কাজের জন্য আমরা কিছু সাম্মানিকও পাই না। জনগণনার কাজেও আমাদের দায়িত্ব থাকে। আমরা কিষাণ সম্মান যোজনার জন্যও কাজ করি। এই প্রকল্পের জন্য আমরা পুরো তথ্য প্রস্তুত করেছিলাম কিন্তু এই কাজের সমস্ত কৃতিত্ব পায় কৃষি বিভাগ।

বেতনের নামে হাতে আসে ৩০ হাজার টাকা। হাউস রেন্ট অ্যালাওয়েন্স মাত্র ৮০০ টাকা। এই টাকা দিয়ে কি বাড়ি ভাড়া করা যায়? তাছাড়া পেট্রোলের মাসিক খরচ হিসাবে দেওয়া হয় মাত্র ১০০ টাকা। ১০০ টাকা পাই স্টেশনারি খরচের জন্য। আপনি কি মাসে মাত্র ১০০ টাকা খরচ করে বাইক চালাতে পারবেন? এক লিটার পেট্রোলের দামও কমবেশি ১০০ টাকা। সরকার কি এই সব জানে না?

আমাদের কোনও ক্যান্টিনের সুবিধা নেই বা আমাদের কোন বিশেষ চিকিৎসার বন্দবস্তও নেই। হ্যাঁ, চিকিৎসায় আমার যদি বিপুল খরচ হয়, তাহলে আমরা ৪০ শতাংশ পর্যন্ত রিইম্বারসমেন্ট পেতে পারি। চাকরিরত অবস্থায় কোনো সরকারি কর্মীর মৃত্যু হলে পরিবার একটি চাকরি ছাড়া আর কিছুই পায় না।

ম্যাডাম, আমি আমার বাচ্চাদের লেখাপড়ার খরচ বহন করছি। কিন্তু একটি ভালো কেরিয়ারের খরচ অনেক। সরকারি চাকরিতে পদোন্নতির সঠিক ব্যবস্থা বা অন্য কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। অনেক ক্ষেত্রেই এখন ভালো বেসরকারি চাকরি আছে। ম্যাডাম, সত্যি কথা বলতে, সিস্টেমে থেকেও আমরা সিস্টেমের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। আমাদের জন্য কিছু দয়া করুন! ম্যাডাম, পুরানো পেনশন স্কিম পুনরুদ্ধারের বিষয়ে কিছুটা নমনীয়তা দেখান। অন্তত আমার পেনশন নিশ্চিত হবে। আমি অনেক আশা নিয়ে বাজেটের দিকে তাকিয়ে আছি।

আপনার একান্ত অনুগত,

দীনেশ কুমার

Next Video