Sheikh Hasina congratulates Donald Trump: ট্রাম্প জিততেই সোজা ফোন করে অভিনন্দন বার্তা হাসিনার?
Donald Trump: রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প বাংলাদেশ নিয়ে কতটা কী করবেন, সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে ট্রাম্পের জয়ে ভারতে থাকা শেখ হাসিনা যে অক্সিজেন পেয়েছেন, তাতে সন্দেহ নেই। একইসঙ্গে তিনি যে দ্রুত বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরতে ইচ্ছুক, চিঠিতে সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন। ট্রাম্পকে জয়ের বার্তা পাঠিয়েও খুব একটা নিশ্চিন্ত থাকতে পারছে না ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তী সরকার।
‘কনগ্র্যাচুলেশনস মিঃ ডোনাল্ড ট্রাম্প, আমি শেখ হাসিনা, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলছি’, বুধবার ভারতীয় সময় গভীর রাতে এমন একটা ফোন কী দিল্লি থেকে নিউইয়র্কে গিয়েছিল? আমেরিকা মানছে না। ভারত টুঁ শব্দ করছে না। বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারও চুপ। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ এক রিপাবলিকান নেতা এক টিভি চ্যানেলকে বলেছেন, হ্যাঁ, ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ফোন এসেছিল। কথা হয়েছে। গতকাল ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পরই তাঁকে চিঠি লিখে অভিনন্দন জানান শেখ হাসিনা। সেই চিঠি ই-মেলে ট্রাম্পের দফতরে পাঠানো হয়। চিঠিতে হাসিনা লিখেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বাংলাদেশের মানুষের তরফে আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। পরে আওয়ামী লিগের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেটি পোস্ট করা হয়। গতকাল বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারও ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প বাংলাদেশ নিয়ে কতটা কী করবেন, সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে ট্রাম্পের জয়ে ভারতে থাকা শেখ হাসিনা যে অক্সিজেন পেয়েছেন, তাতে সন্দেহ নেই। একইসঙ্গে তিনি যে দ্রুত বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরতে ইচ্ছুক, চিঠিতে সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন। ট্রাম্পকে জয়ের বার্তা পাঠিয়েও খুব একটা নিশ্চিন্ত থাকতে পারছে না ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তী সরকার। ট্রাম্পের জয় নিশ্চিত হওয়ার পর, বুধবার রাত ১০টা নাগাদ জরুরি বৈঠকে বসেন অন্তবর্তী সরকারের সদস্যরা। সেখানে এক মহম্মদ ইউনুস ছাড়া সরকারের সব মাথাই ছিলেন। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, ডিসেম্বরেই আমেরিকায় গিয়ে ট্রাম্প শিবিরের সঙ্গে কথা বলবে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিদল। পরে, বিদায়ী বাইডেন সরকারের সঙ্গেও আলোচনা করবেন সরকারের উপদেষ্টারা। প্রেসিডেন্ট পদে বসার আগেই ট্রাম্পের সঙ্গে কথাবার্তা সেরে রাখতে চান ইউনুসরা।