Budget 2023: ‘আপনার কাছ থেকে কিছু প্রত্যাশা করা আমাদের অধিকার’, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে ক্ষুদ্র শিল্পদ্যোগীর চিঠি

TV9 Bangla Digital | Edited By: Moumita Das

Jan 14, 2023 | 12:57 PM

গত এক মাসে আমি একটা খুবই নিষ্ঠুর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। এই সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে আমার চোখে জল এসে গেছিল। কারখানা থেকে ২৫ জন কর্মী ছাঁটাই করতে হয়েছিল আমাকে। কারখানার কর্মীরা আমার কাছে সন্তানের মতো। কিন্তু কাজ না থাকলে কী করব?

Follow Us

মাননীয় নির্মলাজী,

আমি দেব কুমার, গাজিয়াবাদে থাকি। ট্রনিকা সিটিতে আমার একটি ব্যাগ তৈরির কারখানা আছে। আমি দমকল দফতরের অফিসের বাইরে একটি চেয়ারে বসে আছি। খুবই নিরাশ লাগছে। অফিসাররা আমাকে অযথা হয়রানি করছেন। স্যর লাঞ্চের জন্য বাইরে গিয়েছেন। তিনি যতক্ষণ না ফেরেন ততক্ষণ আমাকে ফাইল নিয়ে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। আমার মনে হয়েছে চিঠি লিখে আপনাকে গোটা বিষয়টা জানাই। এই চিঠিটা মোবাইল ফোনে লিখছি।

মাননীয় অর্থমন্ত্রী, সাধারণ দিনে দুপুর ২টোয় আমার কারখানায় অফিসার আর কর্মচারীরা সবাই একসঙ্গে খাবার খান। কিন্তু আজ আমাকে দমকল দপ্তরের অফিস থেকে সরাসরি শ্রম দপ্তরে যেতে হবে। তাদের অফিসে অনেক দিন ধরে আমাদের একটি আবেদন পড়ে আছে। এটা আমাদের জন্য নতুন নয়। মাসের অর্ধেক সময় কেটে যায় সরকারি অফিসের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে ঘুরে। কখনও EPFO অফিস, কখনও দূষণ বিভাগ, কখনও ESI-এর অফিস, কখনও দমকল বিভাগ — এমন ৩০টিরও বেশি দফতর আছে যেখানে আমরা নথিভুক্ত আছি। সিঙ্গেল উইন্ডো স্কিম বা ব্যবসা করার সহজ পদ্ধতি, এই সব কথা সরকারি অফিসের ফাইলেই সীমাবদ্ধ। আজকাল অবস্থা তো আরও খারাপ। এসব সরকারি অফিসে গিয়ে যদি বা কিছু সময় বাঁচে, তাহলে বাকি সময়টাতো ব্যাঙ্ক ম্যানেজারদের সামনেই কাটে।

অর্থমন্ত্রী, তাহলে সত্যিটাই বলি। গত এক মাসে আমি একটা খুবই নিষ্ঠুর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। এই সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে আমার চোখে জল এসে গেছিল। কারখানা থেকে ২৫ জন কর্মী ছাঁটাই করতে হয়েছিল আমাকে। কারখানার কর্মীরা আমার কাছে সন্তানের মতো। কিন্তু কাজ না থাকলে কী করব? কী করতে পারি আমি? আমি যদি তাদের সরিয়ে না দিতাম, তাহলে সব শ্রমিক বেকার হয়ে যেত!

আপনি বলে থাকেন যে সব ঠিক আছে। কিন্তু চাহিদা বাড়ার কোনও লক্ষণ নেই। আর আমাদের খরচ জানতে চান। সুদ এখন এতই চড়া যে ঋণ নিতে আর সাহস হয় না। বিশ্বাস করুন! আমরা যদি কোনো ত্রাণ পাই, আমরা অভাবীদের খাওয়াই।

নির্মলা ম্যাডাম, আমরা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পদ্যোগী, কিন্তু বড় হওয়ার চেষ্টা করছি। এক কথায় আমরা ছোট শহর এবং শহরের অর্থনীতি চালাই। আপনি আপনার অফিসে বড় শিল্পপতিদের স্বাগত জানান আর আমরা সরকারি দফতরের সিঁড়িতে বসে অফিসারদের করুণার জন্য অপেক্ষা করি।

মাননীয় অর্থমন্ত্রী, আমাদের ব্যবসা কেমন চলছে জিজ্ঞেস করবেন না। যদি বাজেট আমাদের খরচ কমাতে সাহায্য করে, আমাদের খুবই উপকার হবে। আপনি সরকার, আপনার কাছ থেকে কিছু প্রত্যাশা করা আমাদের অধিকার। আপনি একজন মন্ত্রী, দয়া করে এখন কিছু করুন!

আপনার অনুগত,
দেব কুমার

মাননীয় নির্মলাজী,

আমি দেব কুমার, গাজিয়াবাদে থাকি। ট্রনিকা সিটিতে আমার একটি ব্যাগ তৈরির কারখানা আছে। আমি দমকল দফতরের অফিসের বাইরে একটি চেয়ারে বসে আছি। খুবই নিরাশ লাগছে। অফিসাররা আমাকে অযথা হয়রানি করছেন। স্যর লাঞ্চের জন্য বাইরে গিয়েছেন। তিনি যতক্ষণ না ফেরেন ততক্ষণ আমাকে ফাইল নিয়ে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। আমার মনে হয়েছে চিঠি লিখে আপনাকে গোটা বিষয়টা জানাই। এই চিঠিটা মোবাইল ফোনে লিখছি।

মাননীয় অর্থমন্ত্রী, সাধারণ দিনে দুপুর ২টোয় আমার কারখানায় অফিসার আর কর্মচারীরা সবাই একসঙ্গে খাবার খান। কিন্তু আজ আমাকে দমকল দপ্তরের অফিস থেকে সরাসরি শ্রম দপ্তরে যেতে হবে। তাদের অফিসে অনেক দিন ধরে আমাদের একটি আবেদন পড়ে আছে। এটা আমাদের জন্য নতুন নয়। মাসের অর্ধেক সময় কেটে যায় সরকারি অফিসের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে ঘুরে। কখনও EPFO অফিস, কখনও দূষণ বিভাগ, কখনও ESI-এর অফিস, কখনও দমকল বিভাগ — এমন ৩০টিরও বেশি দফতর আছে যেখানে আমরা নথিভুক্ত আছি। সিঙ্গেল উইন্ডো স্কিম বা ব্যবসা করার সহজ পদ্ধতি, এই সব কথা সরকারি অফিসের ফাইলেই সীমাবদ্ধ। আজকাল অবস্থা তো আরও খারাপ। এসব সরকারি অফিসে গিয়ে যদি বা কিছু সময় বাঁচে, তাহলে বাকি সময়টাতো ব্যাঙ্ক ম্যানেজারদের সামনেই কাটে।

অর্থমন্ত্রী, তাহলে সত্যিটাই বলি। গত এক মাসে আমি একটা খুবই নিষ্ঠুর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। এই সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে আমার চোখে জল এসে গেছিল। কারখানা থেকে ২৫ জন কর্মী ছাঁটাই করতে হয়েছিল আমাকে। কারখানার কর্মীরা আমার কাছে সন্তানের মতো। কিন্তু কাজ না থাকলে কী করব? কী করতে পারি আমি? আমি যদি তাদের সরিয়ে না দিতাম, তাহলে সব শ্রমিক বেকার হয়ে যেত!

আপনি বলে থাকেন যে সব ঠিক আছে। কিন্তু চাহিদা বাড়ার কোনও লক্ষণ নেই। আর আমাদের খরচ জানতে চান। সুদ এখন এতই চড়া যে ঋণ নিতে আর সাহস হয় না। বিশ্বাস করুন! আমরা যদি কোনো ত্রাণ পাই, আমরা অভাবীদের খাওয়াই।

নির্মলা ম্যাডাম, আমরা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পদ্যোগী, কিন্তু বড় হওয়ার চেষ্টা করছি। এক কথায় আমরা ছোট শহর এবং শহরের অর্থনীতি চালাই। আপনি আপনার অফিসে বড় শিল্পপতিদের স্বাগত জানান আর আমরা সরকারি দফতরের সিঁড়িতে বসে অফিসারদের করুণার জন্য অপেক্ষা করি।

মাননীয় অর্থমন্ত্রী, আমাদের ব্যবসা কেমন চলছে জিজ্ঞেস করবেন না। যদি বাজেট আমাদের খরচ কমাতে সাহায্য করে, আমাদের খুবই উপকার হবে। আপনি সরকার, আপনার কাছ থেকে কিছু প্রত্যাশা করা আমাদের অধিকার। আপনি একজন মন্ত্রী, দয়া করে এখন কিছু করুন!

আপনার অনুগত,
দেব কুমার

Next Video