Bangladesh Crisis: টাকা ব্যাঙ্কে রাখবেন নাকি তুলে নেবেন, বুঝতে পারছে না বাংলাদেশিরা…

Aug 20, 2024 | 10:49 PM

Bangladesh Bank Notes: সোজা কথায় বাংলাদেশে শেখ মুজিব ও মুক্তিযুদ্ধের সমস্ত স্মৃতি মুছে দেওয়ার কাজ চলছে। যাঁরা এই উদ্যোগে সামিল, তাঁরাও এখন চিন্তায় পড়ে গেছেন। কারণ, পেটের চিন্তা তো সবারই আছে। মুজিবকে যদি সব জায়গা থেকে সরিয়ে দিতে হয়, তাহলে নোটের কী হবে?

Follow Us

বাংলাদেশে সাধারণ মানুষ এখন মহাচিন্তায়। ব্যাঙ্কে টাকা রাখবেন নাকি ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে নেবেন, ঠিক করতে পারছেন না। একেবারে শাঁখের করাতের মতো অবস্থা। এদিকেও সমস্যা, ওদিকেও সমস্যা। এমন কারণে ভুগেছি আমরাও। মুজিবর রহমানের মূর্তি ভাঙার ছবি আমরা দেখেছি। ধানমন্ডির যে বাড়িতে মুজিব-সহ তাঁর পরিবারের অন্যদের হত্যা করা হয়। সে বাড়িতে ছিল সংগ্রহশালা। সেই বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল। জাতীয় শোক দিবস হিসাবে দিনটায় এতদিন বাংলাদেশে ছুটি থাকতো। সেই শোক দিবসটাও বাতিল করা হয়েছে। আর অন্তর্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে মহম্মদ ইউনুস দায়িত্ব নেওয়ার পরও কি পরিস্থিতি বদলেছে? লক্ষণ তো তেমন নয়।

গতকালই রাজনৈতিক দল হিসাবে আওয়ামি লিগের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার জন্য আদালতে আবেদন জমা পড়েছে। ঠিক যেমন পাকিস্তানে শাহবাজ শরিফের কলকাঠিতে ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়েছিল। আমাদের দেশে ভাবতে পারেন কংগ্রেস বা বিজেপি যে কেউ ক্ষমতায় এসে অন্যের ভোটে লড়ার অধিকারই কেড়ে নিতে চাইছে। যাই হোক বাংলাদেশে এখন এসবই হচ্ছে। আওয়ামি লিগ নেতাদের ধরপাকড়ও চলছে। গতকালই একটা খুনের মামলায় নাম জড়িয়ে এক সময়ে হাসিনা সরকারের বিদেশমন্ত্রী দীপু মণিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোজা কথায় বাংলাদেশে শেখ মুজিব ও মুক্তিযুদ্ধের সমস্ত স্মৃতি মুছে দেওয়ার কাজ চলছে। যাঁরা এই উদ্যোগে সামিল, তাঁরাও এখন চিন্তায় পড়ে গেছেন। কারণ, পেটের চিন্তা তো সবারই আছে। মুজিবকে যদি সব জায়গা থেকে সরিয়ে দিতে হয়, তাহলে নোটের কী হবে? বাংলাদেশের টাকাতেও তো বঙ্গবন্ধুর ছবি। ফলে, ও দেশে নোট বাতিলের একটা প্রবল আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

ডামাডোলের বাজারে মানুষ দেশের অর্থনীতি নিয়ে চিন্তায়। ফলে, আমরা বাংলাদেশের ব্যাঙ্কে টাকা তোলার জন্য ভিড় দেখেছি। কিন্তু, টাকা তুলে নেওয়ার পর সে টাকা যদি বাতিল হয়ে যায়, তাহলে তো আরও বিপদ। তাহলে তো আবার টাকা ব্যাঙ্কে থাকাই ভালো। এই কারণেই বলছিলাম ব্যাঙ্কে টাকা রাখবেন। নাকি ব্যাঙ্ক থেকে সব টাকা তুলে নেবেন। ঠিক করতে পারছেন না বাংলাদেশের মানুষ। ২০১৬ সালের ৮ই নভেম্বর এবং তার পরের দিনগুলোর কথা মনে করুন। পাঁচশো ও হাজার টাকার নোট বাতিলের পর আমরা সকলেই কী নিদারুণ দুর্ভোগে পড়েছিলাম। তাও তো সেগুলো ছিল বড় অঙ্কের নোট। আর বাংলাদেশে তো ১০, ২০, ৫০, ১০০, ৫০০, ১০০০ – সব নোটেই মুজিবের ছবি।

ছোট অঙ্কের নোটও যদি বাতিল হয়ে যায় তাহলে পরিস্থিতি কী হবে ভাবুন। আর সাধারণ মানুষের এই আতঙ্কের প্রভাব পড়ছে সীমান্ত বাণিজ্যেও। কারণ, সীমান্তে যাঁরা মানি এক্সচেঞ্জের ব্যবসা করেন, তাঁরা এখন আর বাংলাদেশের টাকা মজুত করছেন না। যেমন ধরুন শুধু পেট্রাপোল সীমান্তেই ২৫০-এরও বেশি মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্র রয়েছে। তাতে প্রায় ৫০০ পরিবার যুক্ত। এখন যাত্রীদের যাতায়াত কম থাকায় এই দোকানগুলো এমনিতেই লোকসানে চলছে। যাঁরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসেন, তাঁরা এই ডিলারদের কাছে বাংলাদেশি টাকা দিয়ে ভারতীয় রুপি কেনেন। আবার যাঁরা ভারত থেকে বাংলাদেশে যান, তাঁরা এই ডিলারদেরই রুপি দিয়ে বাংলাদেশি টাকা কেনেন। এতদিন কমবেশি সকলেই লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশি টাকা কিনে মজুত করে রাখতেন। কিন্তু, এখন আর কেউ সেই ভরসা পাচ্ছেন না। কারণ বাংলাদেশে নোট বাতিল হয়ে গেলে তো ওই টাকা অচল হয়ে যাবে। তখন তো এই মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীদের পুরোটাই লোকসান। আর বাংলাদেশে অশান্ত পরিস্থিতির জেরে বাংলাদেশি মুদ্রার দামও গত ১ মাসে প্রায় ৫ টাকা পড়ে গিয়েছে। আগে, বাংলাদেশের ১০০ টাকা দিলে ভারতীয় মুদ্রায় ৭২-৭৩ টাকা পাওয়া যেতো। এখন মিলছে ৬৭-৬৮ টাকা।

নোট বাতিলের আশঙ্কায় ব্যাঙ্কে টাকা ফেলে রাখলেও বিপদ। বাংলাদেশের মুদ্রার দাম পড়ছে তো বললাম। এর ওপর দেশটা ঘাড়ে এখন ১৮ লক্ষ কোটি টাকার বিদেশি ঋণের বোঝা। আগামী ৬ মাসের মধ্যে এই ঋণের ৩টে কিস্তি শোধ করতে হবে। সেজন্য টাকা কোথা থেকে আসবে কেউ জানে না। পদ্মাপারের অর্থনীতিতে এখন ঘোর সঙ্কট।

বাংলাদেশে সাধারণ মানুষ এখন মহাচিন্তায়। ব্যাঙ্কে টাকা রাখবেন নাকি ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে নেবেন, ঠিক করতে পারছেন না। একেবারে শাঁখের করাতের মতো অবস্থা। এদিকেও সমস্যা, ওদিকেও সমস্যা। এমন কারণে ভুগেছি আমরাও। মুজিবর রহমানের মূর্তি ভাঙার ছবি আমরা দেখেছি। ধানমন্ডির যে বাড়িতে মুজিব-সহ তাঁর পরিবারের অন্যদের হত্যা করা হয়। সে বাড়িতে ছিল সংগ্রহশালা। সেই বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল। জাতীয় শোক দিবস হিসাবে দিনটায় এতদিন বাংলাদেশে ছুটি থাকতো। সেই শোক দিবসটাও বাতিল করা হয়েছে। আর অন্তর্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে মহম্মদ ইউনুস দায়িত্ব নেওয়ার পরও কি পরিস্থিতি বদলেছে? লক্ষণ তো তেমন নয়।

গতকালই রাজনৈতিক দল হিসাবে আওয়ামি লিগের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার জন্য আদালতে আবেদন জমা পড়েছে। ঠিক যেমন পাকিস্তানে শাহবাজ শরিফের কলকাঠিতে ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়েছিল। আমাদের দেশে ভাবতে পারেন কংগ্রেস বা বিজেপি যে কেউ ক্ষমতায় এসে অন্যের ভোটে লড়ার অধিকারই কেড়ে নিতে চাইছে। যাই হোক বাংলাদেশে এখন এসবই হচ্ছে। আওয়ামি লিগ নেতাদের ধরপাকড়ও চলছে। গতকালই একটা খুনের মামলায় নাম জড়িয়ে এক সময়ে হাসিনা সরকারের বিদেশমন্ত্রী দীপু মণিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোজা কথায় বাংলাদেশে শেখ মুজিব ও মুক্তিযুদ্ধের সমস্ত স্মৃতি মুছে দেওয়ার কাজ চলছে। যাঁরা এই উদ্যোগে সামিল, তাঁরাও এখন চিন্তায় পড়ে গেছেন। কারণ, পেটের চিন্তা তো সবারই আছে। মুজিবকে যদি সব জায়গা থেকে সরিয়ে দিতে হয়, তাহলে নোটের কী হবে? বাংলাদেশের টাকাতেও তো বঙ্গবন্ধুর ছবি। ফলে, ও দেশে নোট বাতিলের একটা প্রবল আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

ডামাডোলের বাজারে মানুষ দেশের অর্থনীতি নিয়ে চিন্তায়। ফলে, আমরা বাংলাদেশের ব্যাঙ্কে টাকা তোলার জন্য ভিড় দেখেছি। কিন্তু, টাকা তুলে নেওয়ার পর সে টাকা যদি বাতিল হয়ে যায়, তাহলে তো আরও বিপদ। তাহলে তো আবার টাকা ব্যাঙ্কে থাকাই ভালো। এই কারণেই বলছিলাম ব্যাঙ্কে টাকা রাখবেন। নাকি ব্যাঙ্ক থেকে সব টাকা তুলে নেবেন। ঠিক করতে পারছেন না বাংলাদেশের মানুষ। ২০১৬ সালের ৮ই নভেম্বর এবং তার পরের দিনগুলোর কথা মনে করুন। পাঁচশো ও হাজার টাকার নোট বাতিলের পর আমরা সকলেই কী নিদারুণ দুর্ভোগে পড়েছিলাম। তাও তো সেগুলো ছিল বড় অঙ্কের নোট। আর বাংলাদেশে তো ১০, ২০, ৫০, ১০০, ৫০০, ১০০০ – সব নোটেই মুজিবের ছবি।

ছোট অঙ্কের নোটও যদি বাতিল হয়ে যায় তাহলে পরিস্থিতি কী হবে ভাবুন। আর সাধারণ মানুষের এই আতঙ্কের প্রভাব পড়ছে সীমান্ত বাণিজ্যেও। কারণ, সীমান্তে যাঁরা মানি এক্সচেঞ্জের ব্যবসা করেন, তাঁরা এখন আর বাংলাদেশের টাকা মজুত করছেন না। যেমন ধরুন শুধু পেট্রাপোল সীমান্তেই ২৫০-এরও বেশি মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্র রয়েছে। তাতে প্রায় ৫০০ পরিবার যুক্ত। এখন যাত্রীদের যাতায়াত কম থাকায় এই দোকানগুলো এমনিতেই লোকসানে চলছে। যাঁরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসেন, তাঁরা এই ডিলারদের কাছে বাংলাদেশি টাকা দিয়ে ভারতীয় রুপি কেনেন। আবার যাঁরা ভারত থেকে বাংলাদেশে যান, তাঁরা এই ডিলারদেরই রুপি দিয়ে বাংলাদেশি টাকা কেনেন। এতদিন কমবেশি সকলেই লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশি টাকা কিনে মজুত করে রাখতেন। কিন্তু, এখন আর কেউ সেই ভরসা পাচ্ছেন না। কারণ বাংলাদেশে নোট বাতিল হয়ে গেলে তো ওই টাকা অচল হয়ে যাবে। তখন তো এই মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীদের পুরোটাই লোকসান। আর বাংলাদেশে অশান্ত পরিস্থিতির জেরে বাংলাদেশি মুদ্রার দামও গত ১ মাসে প্রায় ৫ টাকা পড়ে গিয়েছে। আগে, বাংলাদেশের ১০০ টাকা দিলে ভারতীয় মুদ্রায় ৭২-৭৩ টাকা পাওয়া যেতো। এখন মিলছে ৬৭-৬৮ টাকা।

নোট বাতিলের আশঙ্কায় ব্যাঙ্কে টাকা ফেলে রাখলেও বিপদ। বাংলাদেশের মুদ্রার দাম পড়ছে তো বললাম। এর ওপর দেশটা ঘাড়ে এখন ১৮ লক্ষ কোটি টাকার বিদেশি ঋণের বোঝা। আগামী ৬ মাসের মধ্যে এই ঋণের ৩টে কিস্তি শোধ করতে হবে। সেজন্য টাকা কোথা থেকে আসবে কেউ জানে না। পদ্মাপারের অর্থনীতিতে এখন ঘোর সঙ্কট।

Next Video