ছবির নাম মুন্নাভাই এমবিবিএস। স্টেশনে পকেটমারকে হাতে নাতে ধরে জনতার গনধোলাই থেকে বাঁচিয়েছিলেন মুন্নাভাইয়ের বাবা। বাঁচানার সময় সুনীল দত্তের চরিত্র যে সংলাপ গুলো বলছিল, সেগুলি কী একটাও মিথ্যে? না মিথ্যে নয়। কারণ গণধোলাইয়ের সুযোগ পেলে হাত গরম করতে কেউই বাদ যাচ্ছেন না আজকাল। তা সে পুরুষ হোক আর মহিলা। সিনেমায় পকেটমারির ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু সিনেমার পর্দার বাইরে বাস্তব জীবনে যত গণধোলাইয়ের ঘটনা ঘটছে, তার ভেতরে তলিয়ে দেখেছেন কখনও? কারও গায়ে হাত তোলার আগে সেই ব্যক্তি বা মহিলাকে অপরাধ করতে দেখেছেন? শুধুমাত্র সন্দেহের বসে আর লোকের মুখে শুনে নিজেও একটা অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে ফেলছেন না তো? বেশি দূরে যেতে হবে না। চলতি সপ্তাহে বিরাটি স্টেশনে যে ঘটনা ঘটছে, ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে দেখুন। এক মহিলা বাচ্চা চোর সন্দেহে মারা হল। বাচ্চা কোল থেকে কেড়ে নেওয়া হল। বিদ্যুতের গতিতে ভাইলার হয়ে গেল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সবাই কমেন্ট করতে শুরু করলেন। শাস্তি চাইলেন। বাচ্চা দ্রুত মায়ের কোলে ফিরে যাক, এমন আশাও করলেন। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কী সামনে এল? যাকে চোর সন্দেহে পেটানো হল, সেই বাচ্চার আসল মা। যারা সেদিন বাচ্চা চোরের ধোঁয়া তুলে একজন নিরপরাধ মহিলাকে পেটালেন। তারা আজ কী বলবেন? তাদের অতি উত্সাহের ফল কী হয়েছে জানেন, ওই পরিবার চক্কর কেটে যাচ্ছে। অথচ বাচ্চাকে নিজের কোলে ফিরে পাচ্ছে না তার মা। মায়ের কোল ছাড়া চাইল্ড কেয়ার পরে আছে ফুটফুটে শিশু। বাচ্চা চোরকে সাজা দিতে গিয়ে, একটা বাচ্চাকে তার মায়ের কোল থেকে কেড়ে নেওয়ার যে অপরাধটা করা হল তার কী সাজা হবে? সেই উত্তর দেবে কোন জনে? অপরাধ আসলে কে করলেন, যে নিজের বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছিলেন সে, নাকি যারা তাকে চোর সাজিয়ে তার কোল থেকে বাচ্চা কেড়ে নিলেন তারা?
ছবির নাম মুন্নাভাই এমবিবিএস। স্টেশনে পকেটমারকে হাতে নাতে ধরে জনতার গনধোলাই থেকে বাঁচিয়েছিলেন মুন্নাভাইয়ের বাবা। বাঁচানার সময় সুনীল দত্তের চরিত্র যে সংলাপ গুলো বলছিল, সেগুলি কী একটাও মিথ্যে? না মিথ্যে নয়। কারণ গণধোলাইয়ের সুযোগ পেলে হাত গরম করতে কেউই বাদ যাচ্ছেন না আজকাল। তা সে পুরুষ হোক আর মহিলা। সিনেমায় পকেটমারির ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু সিনেমার পর্দার বাইরে বাস্তব জীবনে যত গণধোলাইয়ের ঘটনা ঘটছে, তার ভেতরে তলিয়ে দেখেছেন কখনও? কারও গায়ে হাত তোলার আগে সেই ব্যক্তি বা মহিলাকে অপরাধ করতে দেখেছেন? শুধুমাত্র সন্দেহের বসে আর লোকের মুখে শুনে নিজেও একটা অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে ফেলছেন না তো? বেশি দূরে যেতে হবে না। চলতি সপ্তাহে বিরাটি স্টেশনে যে ঘটনা ঘটছে, ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে দেখুন। এক মহিলা বাচ্চা চোর সন্দেহে মারা হল। বাচ্চা কোল থেকে কেড়ে নেওয়া হল। বিদ্যুতের গতিতে ভাইলার হয়ে গেল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সবাই কমেন্ট করতে শুরু করলেন। শাস্তি চাইলেন। বাচ্চা দ্রুত মায়ের কোলে ফিরে যাক, এমন আশাও করলেন। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কী সামনে এল? যাকে চোর সন্দেহে পেটানো হল, সেই বাচ্চার আসল মা। যারা সেদিন বাচ্চা চোরের ধোঁয়া তুলে একজন নিরপরাধ মহিলাকে পেটালেন। তারা আজ কী বলবেন? তাদের অতি উত্সাহের ফল কী হয়েছে জানেন, ওই পরিবার চক্কর কেটে যাচ্ছে। অথচ বাচ্চাকে নিজের কোলে ফিরে পাচ্ছে না তার মা। মায়ের কোল ছাড়া চাইল্ড কেয়ার পরে আছে ফুটফুটে শিশু। বাচ্চা চোরকে সাজা দিতে গিয়ে, একটা বাচ্চাকে তার মায়ের কোল থেকে কেড়ে নেওয়ার যে অপরাধটা করা হল তার কী সাজা হবে? সেই উত্তর দেবে কোন জনে? অপরাধ আসলে কে করলেন, যে নিজের বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছিলেন সে, নাকি যারা তাকে চোর সাজিয়ে তার কোল থেকে বাচ্চা কেড়ে নিলেন তারা?