BUDGET 2023: ‘টাকা গেছে, মাথার ছাদও জোটেনি’, নির্মলাকে খোলা চিঠি এক অসহায় ফ্ল্য়াট ক্রেতার

Jan 26, 2023 | 10:03 PM

Union Budget 2023: নয়ডার বাসিন্দা শান্তনু। ডাউন পেমেন্ট করার পর এবং প্রতি মাসে মাসিক কিস্তি দেওয়ার পরেও আমরা ফ্ল্যাটের দখল পাননি তিনি। সেই কথা জানিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে চিঠি লিখলেন তিনি।

Follow Us

মাননীয়া অর্থমন্ত্রী,

নমস্কার, আমি শান্তনু। আমি আমার স্ত্রীর ইচ্ছার মর্যাদা দিতে গিয়ে চরম ফেঁসে গিয়েছি। আমি আমার সমস্ত সঞ্চয় একত্রিত করে একটি ফ্ল্যাট বুক করেছি। কিন্তু ৫ লক্ষ টাকা ডাউন পেমেন্ট করার পর এবং প্রতি মাসে মাসিক কিস্তি দেওয়ার পরেও আমরা ফ্ল্যাটের দখল পাইনি। আমাকে আমার স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকতে হয়। অনেক সময় আমার স্ত্রী আমাকে বাড়ির কিছু জিনিসপত্র কিনতে বললে, আমি বলতাম যে আমি আমাদের নতুন বাড়িতে যাওয়ার পরে কিনব। জানি না এভাবে আর কত দিন চলবে। অনেকবার ভেবেছি ভাল ক্রেতা পেলে ফ্ল্যাট বিক্রি করে দেব। কিন্তু রেডি-টু-মুভ-ইন ফ্ল্যাটের জন্যই ক্রেতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, তখন আমার নির্মাণাধীন বাড়িটি কে কিনবে?

২০১৬ সালে, সরকার RERA নিয়ে আসে। এর ফলে বাড়ির ক্রেতাদের স্বার্থ রক্ষা করা হবে বলে জোর প্রচার হয়েছিল। বিল্ডারদের অপকর্ম রোধ করা যাবে। বাড়ির ক্রেতারা আটকে থাকা ফ্ল্যাটের দখল তাড়াতাড়ি পাবেন। কিন্তু ৬ বছর পরও অবস্থা একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। RERA আইন করা হয়েছিল বটে, তবে একটি বাড়ির মালিক হওয়ার স্বপ্ন এখনও দূরঅস্ত। RERA থেকে প্রত্যাশা এখন হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছে।

নয়ডা এক্সটেনশনে এমন লক্ষ লক্ষ বাড়ির ক্রেতা রয়েছেন যাঁরা এখনও বাড়ির দখল পাননি। তাঁরা যদি দখল পেয়ে থাকেন, তাহলে তাঁরা মালিকানার অধিকার পাননি। কখনও কখনও অন্তত রবিবার দয়া করে নয়ডা এক্সটেনশন পরিদর্শন করুন। প্রতি মোড়ে মোড়ে প্রতিবাদকারীদের পাওয়া যাবে। তবে রবিবার আসবেন। রবিবার আমাদের বিপ্লবী হতে হবে। যেহেতু, এই মুহূর্তে, আমাদের নিজস্ব বাড়ি নেই, খুব শীঘ্রই আমাদের চাকরিও অবশ্য থাকবে না।

যে প্রকল্পে আমি ফ্ল্যাট বুক করেছিলাম সেই প্রকল্পটি এখন ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইব্যুনাল বা এনসিএলটি-তে পৌঁছেছে। কেউ কেউ বলছেন বাড়ি পাওয়ার আশা এখন বাড়ছে, আবার কেউ বলছেন আরও অপেক্ষা করতে হবে। টাকা না থাকার অজুহাতে নির্মাতা নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে আছেন। প্রতিবারই তিনি বাড়ি হস্তান্তরের জন্য নতুন তারিখ দেন। ১০ বছর ধরে আমরা ভাড়া এবং ইএমআই-এর সাঁড়াশি চাপে রয়েছি। সরকারও বাড়ির ক্রেতাদের সমস্যার প্রতি সংবেদনশীল বলে মনে হয় না।

শুনলাম বাজেটের জন্য আপনি সাধারণ মানুষের পরামর্শ চাইছেন। আমার মত লক্ষ লক্ষ বাড়ির ক্রেতাদেরও আপনার কাছে কিছু অনুরোধ রয়েছে। এই ঠান্ডায় আমরা রাজপথে প্রতিবাদ করতে বাধ্য হচ্ছি। আসন্ন বাজেটে আটকে থাকা প্রকল্পগুলো শেষ করতে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে। প্রয়োজনে সরকারি সংস্থার তত্ত্বাবধানে যেসব ঘর আটকে রয়েছে সেগুলির কাজ শেষ করতে হবে, যাতে আমরাও মাথার উপরে ছাদ পেতে পারি।

যাঁদের ত্রুটির ফলে বাড়ির ক্রেতারা অধিকার হারিয়েছেন, সেই সব নির্মাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এই বাজেট যখন টিভিতে দেখব, তখন আমাদের সমস্যারও সমাধান হবে এই আশা জানিয়ে আমি আমার বক্তব্য শেষ করছি।

ইতি
সমস্যাসঙ্কুল বাড়ির ক্রেতা শান্তনু,
নয়ডা এক্সটেনশন

মাননীয়া অর্থমন্ত্রী,

নমস্কার, আমি শান্তনু। আমি আমার স্ত্রীর ইচ্ছার মর্যাদা দিতে গিয়ে চরম ফেঁসে গিয়েছি। আমি আমার সমস্ত সঞ্চয় একত্রিত করে একটি ফ্ল্যাট বুক করেছি। কিন্তু ৫ লক্ষ টাকা ডাউন পেমেন্ট করার পর এবং প্রতি মাসে মাসিক কিস্তি দেওয়ার পরেও আমরা ফ্ল্যাটের দখল পাইনি। আমাকে আমার স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকতে হয়। অনেক সময় আমার স্ত্রী আমাকে বাড়ির কিছু জিনিসপত্র কিনতে বললে, আমি বলতাম যে আমি আমাদের নতুন বাড়িতে যাওয়ার পরে কিনব। জানি না এভাবে আর কত দিন চলবে। অনেকবার ভেবেছি ভাল ক্রেতা পেলে ফ্ল্যাট বিক্রি করে দেব। কিন্তু রেডি-টু-মুভ-ইন ফ্ল্যাটের জন্যই ক্রেতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, তখন আমার নির্মাণাধীন বাড়িটি কে কিনবে?

২০১৬ সালে, সরকার RERA নিয়ে আসে। এর ফলে বাড়ির ক্রেতাদের স্বার্থ রক্ষা করা হবে বলে জোর প্রচার হয়েছিল। বিল্ডারদের অপকর্ম রোধ করা যাবে। বাড়ির ক্রেতারা আটকে থাকা ফ্ল্যাটের দখল তাড়াতাড়ি পাবেন। কিন্তু ৬ বছর পরও অবস্থা একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। RERA আইন করা হয়েছিল বটে, তবে একটি বাড়ির মালিক হওয়ার স্বপ্ন এখনও দূরঅস্ত। RERA থেকে প্রত্যাশা এখন হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছে।

নয়ডা এক্সটেনশনে এমন লক্ষ লক্ষ বাড়ির ক্রেতা রয়েছেন যাঁরা এখনও বাড়ির দখল পাননি। তাঁরা যদি দখল পেয়ে থাকেন, তাহলে তাঁরা মালিকানার অধিকার পাননি। কখনও কখনও অন্তত রবিবার দয়া করে নয়ডা এক্সটেনশন পরিদর্শন করুন। প্রতি মোড়ে মোড়ে প্রতিবাদকারীদের পাওয়া যাবে। তবে রবিবার আসবেন। রবিবার আমাদের বিপ্লবী হতে হবে। যেহেতু, এই মুহূর্তে, আমাদের নিজস্ব বাড়ি নেই, খুব শীঘ্রই আমাদের চাকরিও অবশ্য থাকবে না।

যে প্রকল্পে আমি ফ্ল্যাট বুক করেছিলাম সেই প্রকল্পটি এখন ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইব্যুনাল বা এনসিএলটি-তে পৌঁছেছে। কেউ কেউ বলছেন বাড়ি পাওয়ার আশা এখন বাড়ছে, আবার কেউ বলছেন আরও অপেক্ষা করতে হবে। টাকা না থাকার অজুহাতে নির্মাতা নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে আছেন। প্রতিবারই তিনি বাড়ি হস্তান্তরের জন্য নতুন তারিখ দেন। ১০ বছর ধরে আমরা ভাড়া এবং ইএমআই-এর সাঁড়াশি চাপে রয়েছি। সরকারও বাড়ির ক্রেতাদের সমস্যার প্রতি সংবেদনশীল বলে মনে হয় না।

শুনলাম বাজেটের জন্য আপনি সাধারণ মানুষের পরামর্শ চাইছেন। আমার মত লক্ষ লক্ষ বাড়ির ক্রেতাদেরও আপনার কাছে কিছু অনুরোধ রয়েছে। এই ঠান্ডায় আমরা রাজপথে প্রতিবাদ করতে বাধ্য হচ্ছি। আসন্ন বাজেটে আটকে থাকা প্রকল্পগুলো শেষ করতে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে। প্রয়োজনে সরকারি সংস্থার তত্ত্বাবধানে যেসব ঘর আটকে রয়েছে সেগুলির কাজ শেষ করতে হবে, যাতে আমরাও মাথার উপরে ছাদ পেতে পারি।

যাঁদের ত্রুটির ফলে বাড়ির ক্রেতারা অধিকার হারিয়েছেন, সেই সব নির্মাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এই বাজেট যখন টিভিতে দেখব, তখন আমাদের সমস্যারও সমাধান হবে এই আশা জানিয়ে আমি আমার বক্তব্য শেষ করছি।

ইতি
সমস্যাসঙ্কুল বাড়ির ক্রেতা শান্তনু,
নয়ডা এক্সটেনশন

Next Video