BUDGET 2023: ‘যে কদিন বাঁচব, একটু নিশ্চিন্তে যেন থাকতে পারি’, নির্মলাকে চিঠি এক পেনশনভোগীর

Jan 30, 2023 | 3:39 PM

Union Budget 2023: গাজিয়াবাদের প্রমোদ কুমার, যাঁর বয়স ৬৬ বছর। তাঁর পেনশনের সব টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। তিনি তাঁর মতো অসহায় পেনশনভোগীদের জন্য বেশ কিছু সুবিধা চেয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন তিনি।

Follow Us

মাননীয়া অর্থমন্ত্রী,

আমি প্রমোদ কুমার। আমার বয়স ৬৬ বছর। ছ’বছর আগে আমি অবসর নিয়েছি। আমি রুপুরের একটি টেক্সটাইল মিলের ম্যানেজার ছিলাম। অবসরের পরে যা টাকা পেয়েছি তা মেয়ের বিয়েতেই খরচ হয়ে গিয়েছে। এখন আমি আমার ছেলের সঙ্গে গাজিয়াবাদে থাকি। সে এখানে কর্মরত। ম্যাডাম, বাজেটের আগে পেনশনভোগীরাও নিজেদের কথা বলতে চান। তাঁদের কষ্ট আমি আপনার সঙ্গে শেয়ার করছি।

মাননীয়া অর্থমন্ত্রী, আমি মাসে ২৫০০ টাকা পেনশন পাই। আপনারাই নিয়ম নীতি তৈরি করেন। আপনি অবশ্যই জানেন যে আমরা প্রভিডেন্ট থেকে ঠিক কেমন পেনশন পাই। আজকাল ওই টাকায় কী হয়, বলুন? আমি এখন আমার সন্তানদের বোঝা। আমি আমার সন্তানদের শিক্ষিত করেছি। কিন্তু আমি এখন তাদের জন্য বড় দায়। আমার পেনশনের টাকা দিয়ে শুধুমাত্র আমি আমার ও আমার স্ত্রীর জন্য এক মাসের ওষুধ কিনতে পারি।

আমাকে যদি অন্য কোনও খরচ মেটাতে হয়, তবে তা আমার জন্য বেশ কঠিন হয়ে যায়। সারাজীবন পরিশ্রম করেছি, ভেবেছিলাম যখন আমার দায়িত্ব শেষ হবে, তখন অবাধে তীর্থে করব।

কিন্তু অবসরের পর দেখলাম ইচ্ছাপূরণ করার রাস্তা আমার নেই। অর্থমন্ত্রী, পুরনো সরকারি চাকুরিজীবীরা উপযুক্ত পেনশন পেতেন। আমার কাকা ছিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তিনি ৪০ হাজার টাকা পেনশন পান। কিন্তু সরকারি চাকরি কতজনই বা করেন? আমরা সারাজীবন ধরে পরিশ্রম করি আর সেই পরিশ্রমের উপার্জনের ওপর করও দিই। কিন্তু তারপরেও সরকারের সব প্রকল্পের সুবিধা আমরা পাই না। আমার ছেলে বলছিল, ইউরোপ এবং আমেরিকার মতো দেশগুলি বয়স্কদের খুব যত্ন নেয়।কিন্তু এদেশে আমরা সরকারি সাহায্যও পাই না। আমাদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ওষুধের ব্যবস্থা নিজেদেরই করতে হয়। বৃদ্ধ বয়সে এটাই সবচেয়ে বড় খরচ। রেলে যে ছাড় পাওয়া যেত, তা এখন আর মেলে না। তীর্থ করাও এখন ব্যয়বহুল হয়ে গিয়েছে। আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে নানা কাজে বা কয়েকদিন অবসর কাটাতেও যাওয়াও এখন অত্যন্ত খরচসাপেক্ষ।

আর যে কদিন বাঁচব, সে’কদিন যাতে একটু নিশ্চিন্তে থাকতে পারি, তার জন্য দয়া করে কিছু করুন। আমরা কিন্তু সততার সঙ্গে কর পরিশোধ করেছি ম্যাডাম। এই বাজেটে আমাদের মত পেনশনভোগীদের কথাও একটু ভাবুন!

আপনার,
প্রমোদ

মাননীয়া অর্থমন্ত্রী,

আমি প্রমোদ কুমার। আমার বয়স ৬৬ বছর। ছ’বছর আগে আমি অবসর নিয়েছি। আমি রুপুরের একটি টেক্সটাইল মিলের ম্যানেজার ছিলাম। অবসরের পরে যা টাকা পেয়েছি তা মেয়ের বিয়েতেই খরচ হয়ে গিয়েছে। এখন আমি আমার ছেলের সঙ্গে গাজিয়াবাদে থাকি। সে এখানে কর্মরত। ম্যাডাম, বাজেটের আগে পেনশনভোগীরাও নিজেদের কথা বলতে চান। তাঁদের কষ্ট আমি আপনার সঙ্গে শেয়ার করছি।

মাননীয়া অর্থমন্ত্রী, আমি মাসে ২৫০০ টাকা পেনশন পাই। আপনারাই নিয়ম নীতি তৈরি করেন। আপনি অবশ্যই জানেন যে আমরা প্রভিডেন্ট থেকে ঠিক কেমন পেনশন পাই। আজকাল ওই টাকায় কী হয়, বলুন? আমি এখন আমার সন্তানদের বোঝা। আমি আমার সন্তানদের শিক্ষিত করেছি। কিন্তু আমি এখন তাদের জন্য বড় দায়। আমার পেনশনের টাকা দিয়ে শুধুমাত্র আমি আমার ও আমার স্ত্রীর জন্য এক মাসের ওষুধ কিনতে পারি।

আমাকে যদি অন্য কোনও খরচ মেটাতে হয়, তবে তা আমার জন্য বেশ কঠিন হয়ে যায়। সারাজীবন পরিশ্রম করেছি, ভেবেছিলাম যখন আমার দায়িত্ব শেষ হবে, তখন অবাধে তীর্থে করব।

কিন্তু অবসরের পর দেখলাম ইচ্ছাপূরণ করার রাস্তা আমার নেই। অর্থমন্ত্রী, পুরনো সরকারি চাকুরিজীবীরা উপযুক্ত পেনশন পেতেন। আমার কাকা ছিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তিনি ৪০ হাজার টাকা পেনশন পান। কিন্তু সরকারি চাকরি কতজনই বা করেন? আমরা সারাজীবন ধরে পরিশ্রম করি আর সেই পরিশ্রমের উপার্জনের ওপর করও দিই। কিন্তু তারপরেও সরকারের সব প্রকল্পের সুবিধা আমরা পাই না। আমার ছেলে বলছিল, ইউরোপ এবং আমেরিকার মতো দেশগুলি বয়স্কদের খুব যত্ন নেয়।কিন্তু এদেশে আমরা সরকারি সাহায্যও পাই না। আমাদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ওষুধের ব্যবস্থা নিজেদেরই করতে হয়। বৃদ্ধ বয়সে এটাই সবচেয়ে বড় খরচ। রেলে যে ছাড় পাওয়া যেত, তা এখন আর মেলে না। তীর্থ করাও এখন ব্যয়বহুল হয়ে গিয়েছে। আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে নানা কাজে বা কয়েকদিন অবসর কাটাতেও যাওয়াও এখন অত্যন্ত খরচসাপেক্ষ।

আর যে কদিন বাঁচব, সে’কদিন যাতে একটু নিশ্চিন্তে থাকতে পারি, তার জন্য দয়া করে কিছু করুন। আমরা কিন্তু সততার সঙ্গে কর পরিশোধ করেছি ম্যাডাম। এই বাজেটে আমাদের মত পেনশনভোগীদের কথাও একটু ভাবুন!

আপনার,
প্রমোদ

Next Video