NCRB Reports: ১৮-র আগেই হাতে-হাত, বাল্যবিবাহে বিরাট লাফ

TV9 Bangla Digital | Edited By: আসাদ মল্লিক

Jul 18, 2024 | 8:49 PM

NCRB: Child Marriage Free India নামে ওই এনজিও-র রিপোর্ট বলছে, গত ২ বছরে অসমে বাল্যবিবাহ ৮০ শতাংশ কমেছে। পুলিশ ধরপাকড়ে প্রায় ৩ হাজার গ্রেফতার। বলতেই হবে ভয় পেয়ে কিছুটা হলেও কাজের কাজ হয়েছে। আপনাদের মনে করিয়ে দিই, সারা দেশেই মেয়েদের বিয়ের লিগ্যাল এজ, ছেলেদের মতোই আঠারো থেকে বাড়িয়ে একুশ করতে লোকসভায় বিল পেশ করেছিল সরকার।

Follow Us

আপনাদের মধ্যে কেউ হয়তো ভাবতেই পারেন, ও সব তো এখন অনেক কমে গেছে। তথ্য বলছে আমাদের দেশে প্রতি মিনিটে ৩ জন মেয়ের ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগেই বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। রোজ সারা দেশে প্রায় সাড়ে চার হাজার নাবালিকার বিয়ে হচ্ছে। সেখানে প্রতিদিন থানায় অভিযোগ জমা পড়ছে গড়ে মাত্র তিনটে। সেন্সাস ডেটা। National Crime Records Bureau ও National Family Health Survey-র ডেটা খতিয়ে দেখে Child Marriage Free India নামে একটা এনজিও এই রিপোর্ট তৈরি করেছে। তারা বলছে, বাল্যবিবাহ অপরাধ হলেও আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার সংখ্যা আমাদের দেশে নগণ্য। খুব বেশি হলে ১০ শতাংশ। ফলে, এই প্রবণতায় লাগাম দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। হিসেব কষে দেখা যাচ্ছে ২০২২ সাল পর্যন্ত বাল্যবিবাহের অভিযোগে আদালতে যত মামলা হয়েছে। তার নিষ্পত্তি হতে লেগে যাবে আগামী ২০ বছর। আরও কী জানেন। ১৮ বছরের নীচে যত মেয়েদের বিয়ে হচ্ছে, তার মধ্যে ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে ছেলেটির বয়সও একুশের কম। আর আমরা যদি দেশ ছেড়ে শুধু আমাদের রাজ্যের দিকে তাকাই। তাহলে কিন্তু মাথা হেঁট হয়ে যাবে আরও।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেল্থ সার্ভে বলছে মেয়েদের আঠারোর বছরের আগেই বিয়ে, সারা দেশের হিসাবে সাতাশ শতাংশ থেকে কমে তেইশ শতাংশ হয়েছে। ছেলেদের ক্ষেত্রে তা কুড়ি শতাংশ থেকে কমে আঠারো শতাংশ হয়েছে। দুই ক্ষেত্রেই জাতীয় গড়ের তুলনায় বাংলায় বাল্যবিবাহের সংখ্যা বেশি। এই অসুখ সারাতে ইউনিসেফের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে এরাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ দফতর। কিছুদিন আগেই রিপোর্টে দেখা গেছে বাল্যবিবাহে দেশে এক নম্বরে পশ্চিমবঙ্গ। দু’নম্বরে বিহার। রাজ্য সরকারের যুক্তি, বাংলায় সব তথ্য রিপোর্ট করা হয়। অন্যান্য রাজ্যে সব তথ্য সঠিক ভাবে নথিভুক্ত করা হয় না। তাই, বাল্যবিবাহের হার বাংলায় বেশি দেখাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের অনেকের মতে আবার বাংলার ছেলেমেয়েরা বেশি স্বাধীনচেতা। তাই বিয়ের বয়স হওয়ার আগে পালিয়ে গিয়ে বিয়ের ঘটনাও এ রাজ্যে তুলনায় বেশি। যুক্তি ঠিক না ভুল। আমি সে তর্কে যাবো না। আমি শুধু এটা বলতে পারি, শেষপর্যন্ত যে পরিসংখ্যান সামনে আসছে, সেটা পাল্টাতে না পারলে আমরা শুধু দুর্ভাগ্যকেই ডেকে আনবো। আরেকটা কথাও বলে রাখি। এই অবস্থার মধ্যেই কিছুটা বলেও আশার আলো দেখাচ্ছে অসম। Child Marriage Free India নামে ওই এনজিও-র রিপোর্ট বলছে, গত ২ বছরে অসমে বাল্যবিবাহ ৮০ শতাংশ কমেছে। পুলিশ ধরপাকড়ে প্রায় ৩ হাজার গ্রেফতার। বলতেই হবে ভয় পেয়ে কিছুটা হলেও কাজের কাজ হয়েছে। আপনাদের মনে করিয়ে দিই, সারা দেশেই মেয়েদের বিয়ের লিগ্যাল এজ, ছেলেদের মতোই আঠারো থেকে বাড়িয়ে একুশ করতে লোকসভায় বিল পেশ করেছিল সরকার। সেই বিল সরকারের দ্বিতীয় দফার মেয়াদে পেশ হয়ে সংসদীয় কমিটির কাছে চলে যায়। তারপর আর কাজ এগোয়নি। মেয়েদের বিয়ের বয়স একুশ হয়ে গেলে অঙ্কের নিয়মেই বাল্যবিবাহের সংখ্যাটা আরও বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা। যদি না তার আগে এই দেশটা সত্যিই নতুন হয়ে যায়!

 

আপনাদের মধ্যে কেউ হয়তো ভাবতেই পারেন, ও সব তো এখন অনেক কমে গেছে। তথ্য বলছে আমাদের দেশে প্রতি মিনিটে ৩ জন মেয়ের ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগেই বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। রোজ সারা দেশে প্রায় সাড়ে চার হাজার নাবালিকার বিয়ে হচ্ছে। সেখানে প্রতিদিন থানায় অভিযোগ জমা পড়ছে গড়ে মাত্র তিনটে। সেন্সাস ডেটা। National Crime Records Bureau ও National Family Health Survey-র ডেটা খতিয়ে দেখে Child Marriage Free India নামে একটা এনজিও এই রিপোর্ট তৈরি করেছে। তারা বলছে, বাল্যবিবাহ অপরাধ হলেও আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার সংখ্যা আমাদের দেশে নগণ্য। খুব বেশি হলে ১০ শতাংশ। ফলে, এই প্রবণতায় লাগাম দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। হিসেব কষে দেখা যাচ্ছে ২০২২ সাল পর্যন্ত বাল্যবিবাহের অভিযোগে আদালতে যত মামলা হয়েছে। তার নিষ্পত্তি হতে লেগে যাবে আগামী ২০ বছর। আরও কী জানেন। ১৮ বছরের নীচে যত মেয়েদের বিয়ে হচ্ছে, তার মধ্যে ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে ছেলেটির বয়সও একুশের কম। আর আমরা যদি দেশ ছেড়ে শুধু আমাদের রাজ্যের দিকে তাকাই। তাহলে কিন্তু মাথা হেঁট হয়ে যাবে আরও।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেল্থ সার্ভে বলছে মেয়েদের আঠারোর বছরের আগেই বিয়ে, সারা দেশের হিসাবে সাতাশ শতাংশ থেকে কমে তেইশ শতাংশ হয়েছে। ছেলেদের ক্ষেত্রে তা কুড়ি শতাংশ থেকে কমে আঠারো শতাংশ হয়েছে। দুই ক্ষেত্রেই জাতীয় গড়ের তুলনায় বাংলায় বাল্যবিবাহের সংখ্যা বেশি। এই অসুখ সারাতে ইউনিসেফের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে এরাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ দফতর। কিছুদিন আগেই রিপোর্টে দেখা গেছে বাল্যবিবাহে দেশে এক নম্বরে পশ্চিমবঙ্গ। দু’নম্বরে বিহার। রাজ্য সরকারের যুক্তি, বাংলায় সব তথ্য রিপোর্ট করা হয়। অন্যান্য রাজ্যে সব তথ্য সঠিক ভাবে নথিভুক্ত করা হয় না। তাই, বাল্যবিবাহের হার বাংলায় বেশি দেখাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের অনেকের মতে আবার বাংলার ছেলেমেয়েরা বেশি স্বাধীনচেতা। তাই বিয়ের বয়স হওয়ার আগে পালিয়ে গিয়ে বিয়ের ঘটনাও এ রাজ্যে তুলনায় বেশি। যুক্তি ঠিক না ভুল। আমি সে তর্কে যাবো না। আমি শুধু এটা বলতে পারি, শেষপর্যন্ত যে পরিসংখ্যান সামনে আসছে, সেটা পাল্টাতে না পারলে আমরা শুধু দুর্ভাগ্যকেই ডেকে আনবো। আরেকটা কথাও বলে রাখি। এই অবস্থার মধ্যেই কিছুটা বলেও আশার আলো দেখাচ্ছে অসম। Child Marriage Free India নামে ওই এনজিও-র রিপোর্ট বলছে, গত ২ বছরে অসমে বাল্যবিবাহ ৮০ শতাংশ কমেছে। পুলিশ ধরপাকড়ে প্রায় ৩ হাজার গ্রেফতার। বলতেই হবে ভয় পেয়ে কিছুটা হলেও কাজের কাজ হয়েছে। আপনাদের মনে করিয়ে দিই, সারা দেশেই মেয়েদের বিয়ের লিগ্যাল এজ, ছেলেদের মতোই আঠারো থেকে বাড়িয়ে একুশ করতে লোকসভায় বিল পেশ করেছিল সরকার। সেই বিল সরকারের দ্বিতীয় দফার মেয়াদে পেশ হয়ে সংসদীয় কমিটির কাছে চলে যায়। তারপর আর কাজ এগোয়নি। মেয়েদের বিয়ের বয়স একুশ হয়ে গেলে অঙ্কের নিয়মেই বাল্যবিবাহের সংখ্যাটা আরও বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা। যদি না তার আগে এই দেশটা সত্যিই নতুন হয়ে যায়!

 

Next Video