Climate Change: মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে ঈশ্বরের আপন দেশ, এসি চালাতে হচ্ছে কাশ্মীরেও!

Jul 31, 2024 | 8:47 PM

মন ভালো করা পাহাড়ের ঢাল, আর তা বেয়ে নেমে গেছে সবুজ চা-বাগান আর জঙ্গল। সঙ্গে কুয়াশা-ঢাকা উপত্যকা। কেরলের ওয়েনাড়কে এভাবেই চেনে দেশ। কিন্তু সোমবার গভীর রাত থেকে যে প্রবল বৃষ্টি এবং ধস নামা শুরু হল তাতেই ওয়েনাড়ই পরিণত হল কাদামাটি ঢাকা বধ্যভূমিতে।

Follow Us

রাস্তায় কোমর সমান কাদা জল। কোনও কোনও বাড়ির অর্ধেকেরও বেশি জলের তলায়। কিছু বোঝার আগেই সব শেষ! মৃত্যুমিছিল! ভয়ঙ্কর ধসে ঈশ্বরের আপন দেশে এখন শুধু লাশের স্তূপ, কান্না ও স্বজন হারানোর আর্তনাদ! যা মনে করিয়ে দিল ২০১৮-র ভয়ঙ্কর বন্যার কথা। আবার প্রকৃতির রুদ্ররূপ, পরপর বেঘোরে মৃত্যু।

মন ভালো করা পাহাড়ের ঢাল, আর তা বেয়ে নেমে গেছে সবুজ চা-বাগান আর জঙ্গল। সঙ্গে কুয়াশা-ঢাকা উপত্যকা। কেরলের ওয়েনাড়কে এভাবেই চেনে দেশ। কিন্তু সোমবার গভীর রাত থেকে যে প্রবল বৃষ্টি এবং ধস নামা শুরু হল তাতেই ওয়েনাড়ই পরিণত হল কাদামাটি ঢাকা বধ্যভূমিতে।

রবিবার থেকে টানা বৃষ্টি চলছে কেরলে। ভারী বৃষ্টিতে মঙ্গলবার ওয়েনাড় জেলার একাধিক এলাকায় পরপর ধস নামে। প্রায় কাদায় মিশে যায়। ঘুমের মধ্যেই মৃত্যু হয় বহু মানুষের। কিছু বুঝে ওঠার আগেই কাদামাটিতে চাপা পড়েন বাসিন্দারা। খোঁজ নেই অসংখ্য মানুষের।

কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পরপর ধসে ওয়েনাড়ের চেনা পাহাড়ি এলাকা এখন লন্ডভন্ড। জোরকদমে চলেছে উদ্ধারকাজ। বাড়িঘর, দোকানের নীচে চাপা পড়ে থাকা বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকারী দল ও সেনা। সেনার হেলিকপ্টারে এয়ারলিফট করা হচ্ছে। টানা ধসের কারণে ওয়েনাড়ের শোচনীয় অবস্থা। বেশিরভাগ জায়গায় রাস্তা বলে আর কিছু নেই!

ভারী বৃষ্টি ও ধসের জন্য কেরলের সব স্কুল-কলেজ বন্ধ। পরিস্থিতি না বদলালে বৃহস্পতিবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকতে পারে। রাজ্যে দু’দিনের শোক পালনের ডাক দিয়েছে পিনারাই বিজয়নের সরকার। ওয়েনাড়ের বিপর্যয় উঠেছে সংসদেও। রাহুল গান্ধী ওয়েনাড়ের সাংসদ পদ ছাড়ায় আপাততহীন সাংসদহীন ওয়েনাড়। বুধবার রাহুল ও প্রিয়াঙ্কার ওয়েনাড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করলেও, খারাপ আবহাওয়ার জন্য তাঁরা যেতে পারেননি।

তবে এখনই ওয়েনাড়ের ফাঁড়া কাটছে না। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ওয়েনাড় এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা। সেই সঙ্গে ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে ওয়েনাড়ের উপর দিয়ে। কোথাও কোথাও তা আরও বাড়তে পারে। বিপদ পিছু ছাড়ছে না ঈশ্বরের আপন দেশের!

তাপপ্রবাহের কবলে জম্মু-কাশ্মীর। শুধু কি উপত্যকা? অচেনা গরম নাভিশ্বাস লাদাখবাসীও। একে উচ্চতা, তার উপর গরমের ছ্যাঁকা। লেহ বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামাই বন্ধ হয়ে গেছে! ওয়েনাড় ভয়ঙ্কর ধস, আর গরমে নাজেহাল ভূস্বর্গ। যেখানে বরফের খোঁজে ছোটে বাঙালি, সেখানে বনবন করে ঘুরছে ফ্যান। একেবারে নাভিশ্বাস অবস্থা। পরিস্থিতি এমন যে বাচ্চাদের স্কুলে ছুটি দিতে হয়েছে। ২৫ বছর পর এমন গরমের মুখে পড়ল জম্মু-কাশ্মীর। শুকিয়ে গেছে নদী। টান পড়েছে পানীয় জলের জোগানে। উষ্ণ জুলাইয়ে তেতে পুড়ে উঠেছে লাদাখও।

জম্মু-কাশ্মীরের মতো ভ্রমণপ্রেমীদের অন্যতম পছন্দের জায়গা লেহ। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ হাজার ৭০০ ফুট উঁচুতে লেহ পাহাড়- মরুভূমি ঢাকা। কিন্তু সেই লেহর আবহাওয়া হঠাত্‍ বদলে গেছে। আচমকা বেড়ে গেছে গরম। পরিস্থিতি এমন যাওয়া গেছে যে পারদ চড়ে যাওয়ায় বিঘ্ন হচ্ছে লেহ বিমানবন্দরের উড়ান পরিষেবা। গত কয়েক দিনে একাধিক উড়ান সংস্থা লেহ থেকে বিমান পরিষেবা বাতিল হয়েছে।

লেহর মতো উচ্চতায় বাতাসের ঘনত্ব কম থাকে। এর সঙ্গে যদি তাপমাত্রার পারদও চড়তে থাকে, সে ক্ষেত্রে বিমান চলাচল করা আরও কঠিন হয়ে যায়। শুধু কি বিমান পরিষেবা, অচেনা গরমে নাজেহাল লেহর বাসিন্দারা। টান পড়েছে জলে। চাষবাসের বারোটা বাজার অবস্থা!

কাশ্মীরে তাপপ্রবাহ, লেহর অবস্থা যখন সঙ্গীন, তখন মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে ভাসছথে হিমাচল প্রদেশ। হড়পা বানে বিপর্যস্ত কুলু। জলের তোড়ে খড়কুটোর মতো ভেসে গিয়েছে ফুটব্রিজ, পরপর অস্থায়ী ছাউনি।

রাস্তায় কোমর সমান কাদা জল। কোনও কোনও বাড়ির অর্ধেকেরও বেশি জলের তলায়। কিছু বোঝার আগেই সব শেষ! মৃত্যুমিছিল! ভয়ঙ্কর ধসে ঈশ্বরের আপন দেশে এখন শুধু লাশের স্তূপ, কান্না ও স্বজন হারানোর আর্তনাদ! যা মনে করিয়ে দিল ২০১৮-র ভয়ঙ্কর বন্যার কথা। আবার প্রকৃতির রুদ্ররূপ, পরপর বেঘোরে মৃত্যু।

মন ভালো করা পাহাড়ের ঢাল, আর তা বেয়ে নেমে গেছে সবুজ চা-বাগান আর জঙ্গল। সঙ্গে কুয়াশা-ঢাকা উপত্যকা। কেরলের ওয়েনাড়কে এভাবেই চেনে দেশ। কিন্তু সোমবার গভীর রাত থেকে যে প্রবল বৃষ্টি এবং ধস নামা শুরু হল তাতেই ওয়েনাড়ই পরিণত হল কাদামাটি ঢাকা বধ্যভূমিতে।

রবিবার থেকে টানা বৃষ্টি চলছে কেরলে। ভারী বৃষ্টিতে মঙ্গলবার ওয়েনাড় জেলার একাধিক এলাকায় পরপর ধস নামে। প্রায় কাদায় মিশে যায়। ঘুমের মধ্যেই মৃত্যু হয় বহু মানুষের। কিছু বুঝে ওঠার আগেই কাদামাটিতে চাপা পড়েন বাসিন্দারা। খোঁজ নেই অসংখ্য মানুষের।

কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পরপর ধসে ওয়েনাড়ের চেনা পাহাড়ি এলাকা এখন লন্ডভন্ড। জোরকদমে চলেছে উদ্ধারকাজ। বাড়িঘর, দোকানের নীচে চাপা পড়ে থাকা বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকারী দল ও সেনা। সেনার হেলিকপ্টারে এয়ারলিফট করা হচ্ছে। টানা ধসের কারণে ওয়েনাড়ের শোচনীয় অবস্থা। বেশিরভাগ জায়গায় রাস্তা বলে আর কিছু নেই!

ভারী বৃষ্টি ও ধসের জন্য কেরলের সব স্কুল-কলেজ বন্ধ। পরিস্থিতি না বদলালে বৃহস্পতিবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকতে পারে। রাজ্যে দু’দিনের শোক পালনের ডাক দিয়েছে পিনারাই বিজয়নের সরকার। ওয়েনাড়ের বিপর্যয় উঠেছে সংসদেও। রাহুল গান্ধী ওয়েনাড়ের সাংসদ পদ ছাড়ায় আপাততহীন সাংসদহীন ওয়েনাড়। বুধবার রাহুল ও প্রিয়াঙ্কার ওয়েনাড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করলেও, খারাপ আবহাওয়ার জন্য তাঁরা যেতে পারেননি।

তবে এখনই ওয়েনাড়ের ফাঁড়া কাটছে না। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ওয়েনাড় এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা। সেই সঙ্গে ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে ওয়েনাড়ের উপর দিয়ে। কোথাও কোথাও তা আরও বাড়তে পারে। বিপদ পিছু ছাড়ছে না ঈশ্বরের আপন দেশের!

তাপপ্রবাহের কবলে জম্মু-কাশ্মীর। শুধু কি উপত্যকা? অচেনা গরম নাভিশ্বাস লাদাখবাসীও। একে উচ্চতা, তার উপর গরমের ছ্যাঁকা। লেহ বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামাই বন্ধ হয়ে গেছে! ওয়েনাড় ভয়ঙ্কর ধস, আর গরমে নাজেহাল ভূস্বর্গ। যেখানে বরফের খোঁজে ছোটে বাঙালি, সেখানে বনবন করে ঘুরছে ফ্যান। একেবারে নাভিশ্বাস অবস্থা। পরিস্থিতি এমন যে বাচ্চাদের স্কুলে ছুটি দিতে হয়েছে। ২৫ বছর পর এমন গরমের মুখে পড়ল জম্মু-কাশ্মীর। শুকিয়ে গেছে নদী। টান পড়েছে পানীয় জলের জোগানে। উষ্ণ জুলাইয়ে তেতে পুড়ে উঠেছে লাদাখও।

জম্মু-কাশ্মীরের মতো ভ্রমণপ্রেমীদের অন্যতম পছন্দের জায়গা লেহ। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ হাজার ৭০০ ফুট উঁচুতে লেহ পাহাড়- মরুভূমি ঢাকা। কিন্তু সেই লেহর আবহাওয়া হঠাত্‍ বদলে গেছে। আচমকা বেড়ে গেছে গরম। পরিস্থিতি এমন যাওয়া গেছে যে পারদ চড়ে যাওয়ায় বিঘ্ন হচ্ছে লেহ বিমানবন্দরের উড়ান পরিষেবা। গত কয়েক দিনে একাধিক উড়ান সংস্থা লেহ থেকে বিমান পরিষেবা বাতিল হয়েছে।

লেহর মতো উচ্চতায় বাতাসের ঘনত্ব কম থাকে। এর সঙ্গে যদি তাপমাত্রার পারদও চড়তে থাকে, সে ক্ষেত্রে বিমান চলাচল করা আরও কঠিন হয়ে যায়। শুধু কি বিমান পরিষেবা, অচেনা গরমে নাজেহাল লেহর বাসিন্দারা। টান পড়েছে জলে। চাষবাসের বারোটা বাজার অবস্থা!

কাশ্মীরে তাপপ্রবাহ, লেহর অবস্থা যখন সঙ্গীন, তখন মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে ভাসছথে হিমাচল প্রদেশ। হড়পা বানে বিপর্যস্ত কুলু। জলের তোড়ে খড়কুটোর মতো ভেসে গিয়েছে ফুটব্রিজ, পরপর অস্থায়ী ছাউনি।

Next Video