Trump vs Obama: প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে ‘জেলে ভরলেন’ ট্রাম্প!

| Edited By: সোমনাথ মিত্র

Jul 23, 2025 | 7:25 PM

বর্তমান প্রেসিডেন্ট প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে জেলে ভরে দিচ্ছেন। অপরাধ প্রমাণ হওয়া তো দূরের কথা তদন্তও শুরু হয়নি। তার আগেই। তাও আবার ডিপফেক ভিডিওর সাহায্যে। কে বলে রাজনীতির জগতে বিরোধীদের প্রতি অসৌজন্য নাকি ভারতের মতো দেশেই বেশি দেখা যায়। দেশটার নাম আমেরিকা। যারা বরাবর মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে সারা দুনিয়ার গণতন্ত্রকে পিছন থেকে ছুরি মেরেছে। আর এবার […]

বর্তমান প্রেসিডেন্ট প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে জেলে ভরে দিচ্ছেন। অপরাধ প্রমাণ হওয়া তো দূরের কথা তদন্তও শুরু হয়নি। তার আগেই। তাও আবার ডিপফেক ভিডিওর সাহায্যে। কে বলে রাজনীতির জগতে বিরোধীদের প্রতি অসৌজন্য নাকি ভারতের মতো দেশেই বেশি দেখা যায়। দেশটার নাম আমেরিকা। যারা বরাবর মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে সারা দুনিয়ার গণতন্ত্রকে পিছন থেকে ছুরি মেরেছে। আর এবার তো মসনদে ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে, এসব তো একটু আধটু হবেই।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজের সোশ্যাল মিডিয়া ট্রুথ সোশ্যালে একটা এআই জেনারেটেড ভিডিও পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে এফবিআই ওভাল অফিস থেকে বারাক ওবামাকে গ্রেফতার করছে। তারপরেই দেখা যাচ্ছে কয়েদির কমলা রঙের পোশাকে গরাদের ওপারে ওবামা। ভিডিওর সঙ্গে ট্রাম্প লিখে দিয়েছেন, No one is above the law. কেউ আইনের উর্ধ্বে নন। এই ভিডিওর পিছনে আবার রয়েছেন আমেরিকার Director of National Intelligence Tulsi Gabbard. ২০১৬ সালে হিলারি ক্লিন্টনকে হারিয়ে প্রথমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আপনারা জানেন যে তখন অভিযোগ উঠেছিল, রাশিয়ার সহায়তায় ট্রাম্প ভোটে জিতেছেন। আমেরিকার ভোটে রুশ হ্যাকাররা রিপাবলিকানদের পক্ষে কাজ করেছে। সম্প্রতি তুলসী গাবার্ড কিছু কাগজপত্র সামনে এনেছেন। বলছেন ডিক্লাসিফায়েড ফাইল। তুলসীর অভিযোগ ট্রাম্পের জয়ের পরই হোয়াইট হাউসে জরুরি বৈঠক ডাকেন ওবামা। নির্দেশ দেন, ট্রাম্পকে জিততে পুতিন সাহায্য করেছেন।

এমন অভিযোগ যাতে প্রমাণ করা যায়, সেজন্য ভুয়ো নথি তৈরি করতে হবে। ট্রাম্পের শপথের আগে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট হিসাবে শেষ ২ মাস নাকি ওবামা শুধুমাত্র ট্রাম্পকে ফাঁসানোর চেষ্টাতেই ব্যস্ত ছিলেন। এইসমস্ত কাগজে তার প্রমাণ আছে। এইবারে ওবামাকে ট্রায়াল ফেস করতে হবে। এসব তুলসী বলেছেন। আর তারপরই তুলসীকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। কয়েকদিন আগে এই তুলসী গাবার্ডই বলেছিলেন যে ইরান পরমাণু
বোমা তৈরির দিকে যাচ্ছে এমন কোনও প্রমাণ নেই। তখন ট্রাম্প কার্যত তাঁকে প্রকাশ্যে অপদার্থ বলেছিলেন। আর এখন ওবামার বিরুদ্ধে কোট আনকোট প্রমাণ পেশ করায় তাঁকে একেবারে মাথায় তুলে নাচ শুরু করেছেন। গ্রেট জব, গ্রেট জব – বলেই চলেছেন। আমেরিকার আইনি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমনিতে এক্স প্রেসিডেন্টকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে কোনও বাধা নেই। তবে, এক্ষেত্রে ওবামার বিরুদ্ধে ট্রায়াল শুরু হবে কি হবে না, এটা নিয়েই লম্বা আইনি লড়াইয়ের সম্ভাবনা। ফলে, হাতে হাতকড়া অত সহজ নয়।