Saranya Ghosh: ‘মেধার জোরে প্রমাণ করেছি ট্রান্স মানুষও পারে’, বললেন শরন্যা
জীবনের প্রতিকূলতা জয় করে সাফল্য ছিনিয়ে আনেন যে সব নারীরা তাঁদের স্বীকৃতি দেয় এই টেলিভিশন শো। শুটিংয়ের ফাঁকে শরণ্যা কথা বললেন টিভি নাইন বাংলা ডিজিটালের সঙ্গে। আগে পিছনে অনেকে কটূক্তি করতেন শরণ্যাকে। অনেকে ভাবতেন সে পাগল তার মানসিক রোগ হয়েছে বলছিলেন শরণ্যা। তবে রেজাল্ট বেরোনোর পর এখন পরিস্থিতি অনেকটা বদলেছে। মেধার জোরে শরণ্যা প্রমাণ করতে পেরেছে একজন ট্রান্স মানুষও পারে
আইএএস হবার স্বপ্ন দেখেন শরণ্যা। রূপান্তরকামী শরণ্যা। এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মেধা তালিকায় সপ্তম স্থান অধিকারিণী শরণ্যা ঘোষ। জনাইয়ের মেধাবী এই মেয়ে এসেছিলেন একটি রিয়্যালিটি শোতে অংশগ্রহণ করতে। জীবনের প্রতিকূলতা জয় করে সাফল্য ছিনিয়ে আনেন যে সব নারীরা তাঁদের স্বীকৃতি দেয় এই টেলিভিশন শো। শুটিংয়ের ফাঁকে শরণ্যা কথা বললেন টিভি নাইন বাংলা ডিজিটালের সঙ্গে। আগে পিছনে অনেকে কটূক্তি করতেন শরণ্যাকে। অনেকে ভাবতেন সে পাগল তার মানসিক রোগ হয়েছে বলছিলেন শরণ্যা। তবে রেজাল্ট বেরোনোর পর এখন পরিস্থিতি অনেকটা বদলেছে। মেধার জোরে শরণ্যা প্রমাণ করতে পেরেছে একজন ট্রান্স মানুষও পারে । সে ৫০০এ ৪৯০ পেয়েছি ইতিহাসে ১০০এ ১০০ পেয়েছি। বাড়িতে বাবা মা এবং স্কুলে বন্ধুরা পাশে থেকেছে বরাবর। জুগিয়েছে মনের জোর আর মোটিভেশন। শরণ্যা বলছেন ‘ভালবেসে গল্পের মত করে বই পড়েছি। নিজে নোট বানাতাম, প্রচুর মক টেস্ট দিয়েছি উচ্চ মাধ্যমিকের আগে। যে বিষয় বুঝতে পারতাম না তার জন্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের সাহায্য নিতাম।’ শরণ্যার কথায় ‘অন্তরে যে নারী তাকে পুরুষ হিসাবে থাকতে বলা যে কি যন্ত্রণা আমি জানি। ঈশ্বর আমার মধ্যে নারী সত্ত্বা দিয়েছেন সেটা তো প্রতিষ্ঠা পাবেই।’ রিয়্যালিটি শোয়ের উপস্থাপিকা রচনা ব্যানার্জিও আপ্লুত শরণ্যাকে তাঁর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে। রচনা বলছেন এই মানুষদের বোঝা এবং সমাজকে এদের সম্পর্কে বোঝানোর দায়িত্ব গুরুত্বপূর্ণ।