Gaganyaan Mission: গগনযানের ফাইনাল কাউন্টডাউন, শেষধাপের প্রস্তুতিতে কী চ্যালেঞ্জ?
মিশন গগনযানের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেল। বছরের গোড়ায় ৪ অভিযাত্রীর নাম ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সবকিছু ঠিকঠাক চললে পুজোর আগেই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যাচ্ছেন তাঁদের মধ্যে একজন। সেটা হলে রাকেশ শর্মার পর এই প্রথম স্পেস স্টেশনে কোনও ভারতীয়রা পা পড়বে।
মিশন গগনযানের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেল। বছরের গোড়ায় ৪ অভিযাত্রীর নাম ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সবকিছু ঠিকঠাক চললে পুজোর আগেই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যাচ্ছেন তাঁদের মধ্যে একজন। সেটা হলে রাকেশ শর্মার পর এই প্রথম স্পেস স্টেশনে কোনও ভারতীয়রা পা পড়বে। এটা ধরে নিতে পারেন, বিশ্বকাপ শুরুর আগে প্রস্তুতি ম্যাচ। মহাকাশ মিশনের জন্য যে চারজনকে বাছা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে একজনকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে নিয়ে যাবে নাসা। মূল অভিযানের সময় যাতে সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো যায়, তাই এই উদ্যোগ। গগনযান ভারত থেকে মহাকাশের কোথায় যাবে, কী করবে, তাও মোটামুটি চূড়ান্ত। পৃথিবীর বাইরে মহাকাশে ৪০০ কিলোমিটার কক্ষপথে গিয়ে আবার পৃথিবীতে ফিরবে গগনযান। মাঝে একাধিক পরীক্ষা-নীরিক্ষা চালাতে চায় ইসরো। এইবার অভিযানের শেষ তিনটে ধাপের কথায় আসি। মহাকাশে যাওয়ার আগে এখন তৃতীয় ও শেষ ধাপের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ভারতীয় অভিযাত্রীরা। দু-দুবার সফলভাবে টেস্ট ফ্লাইটও শেষ করেছে ইসরো। ইঞ্জিনের পরীক্ষাও সফল। দ্বিতীয় ধাপে রোবট ব্যোমমিত্রকে নিয়ে মহাকাশে যাবে ইসরোর মহাকাশযান। এর আগে মানবহীন যান মহকাশে পাঠিয়ে ফেরত আনার পরীক্ষা সফল হয়েছে। তৃতীয় ও শেষ ধাপে ইসরোর যানে মহাকাশ অভিযান। তিন থেকে চার দিন মহাকাশে থেকে গবেষণা চালানোর জন্যই মিশন গগনযান। ইসরো সূত্রে যতটা খবর পাচ্ছি, তাতে গগনযানের ক্ষেত্রে এলভিএমথ্রি রকেটের উপরই ভরসা রাখছে তারা। ৬৪০ টনের এই রকেটের সাফল্যের হার বেশি। চন্দ্রযান থ্রি-র ক্ষেত্রেও সফলভাবে মিশন শেষ করেছিলেন এলভিএমথ্রি। তাই ইসরোর ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন মিশনেও এই রকেটের উপরই ভরসা রাখা হচ্ছে। এর সিইও-টোয়েন্টি ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন মহাকাশে অভিযানের কথা ভেবেই তৈরি। ওই ইঞ্জিন দীর্ঘসময় ধরে মহাকাশচারীদের শক্তি জোগাবে। মহাকাশে থাকার একটা পর্যায়ে যখন প্রবল চাপে যন্ত্রপাতি কাজ করা বন্ধ করে দেয়, তখন ইঞ্জিনটি কাজে লাগবে বলে জানাচ্ছে ইসরো। এর সবটাই হচ্ছে পুরোপুরি ভারতীয় প্রযুক্তিতে। গগনযানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইসরোর এক বিজ্ঞানী সংবাদসংস্থাকে বলেছেন, প্রশিক্ষণ, স্পেস স্যুট ও মডিউলিং ছাড়া গগনযান মিশনে আর কোনও বিদেশি সাহায্যের প্রয়োজন হচ্ছে না। তাই এই প্রকল্পকে সমস্ত অর্থেই মহাকাশে মেড ইন ইন্ডিয়া বলা যেতে পারে। আসলে ইসরোর সামনে এখন একটাই চ্যালেঞ্জ, একটাই লক্ষ্য। মহাকাশচারীদের নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে একশো শতাংশ নিশ্চিত হওয়া।