Haunted Place: দার্জিলিঙের কাছে ‘ভূতুড়ে জায়গা’
দার্জিলিং,কার্শিয়াংয়ের বিভিন্ন পাহাড়ি গ্রাম এখন বাঙালির অফবিট ডেস্টিনেশন। কিন্তু ডাউ হিলের বিকল্প এখনও পর্যটকেরা খুঁজে পাননি। বরং, ডাউ হিলের গল্পে এখনও শিউরে ওঠেন অনেকে।
দার্জিলিং,কার্শিয়াংয়ের বিভিন্ন পাহাড়ি গ্রাম এখন বাঙালির অফবিট ডেস্টিনেশন। কিন্তু ডাউ হিলের বিকল্প এখনও পর্যটকেরা খুঁজে পাননি। বরং,ডাউ হিলের গল্পে এখনও শিউরে ওঠেন অনেকে। দার্জিলিং থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই হিল স্টেশন। ডাউ হিলের কোনও একটি অংশ ভূতুরে নয়। বরং,এই হিল স্টেশন জুড়ে রয়েছে নানা কাহিনি। কার্শিয়াংয়ের অন্যান্য পাহাড়ি গ্রামের মতোই সুন্দর ডাউ হিল। এই হিল স্টেশনের রাস্তা মৃত্যুর দিকে ঢেলে নিয়ে যায়,ঘুরে বেড়ায় মুণ্ডহীন দেহ,স্কুলজুড়ে ভূতুড়ে কাণ্ড ঘটে চলে। এমন অগণিত ভূতুড়ে গল্প শোনা যায় ডাউ হিলকে ঘিরে। ডাউ হিল রোড এবং জঙ্গলের মধ্য দিয়ে যে রাস্তা চলে গিয়েছে যা ‘মৃত্যুর রাস্তা’ বা ‘ডেথ রোড’ নামে পরিচিত। স্থানীয় বাসিন্দারা যাঁরা প্রায়শই জঙ্গলের মধ্যে কাজ করতে যান,তাঁদের দাবি মুণ্ডহীন দেহ ঘুরে বেড়ায়। এক ছেলের মুণ্ডহীন দেহ দেখা দিয়েই অদৃশ্য হয়ে যায়। ধূসর পোশাকে অশরীরীকেও ঘুরতে দেখা যায় এই রাস্তায়। লাল চোখে তাকিয়ে থাকে। যাঁরা এই ধরনের ঘটনা নিজে চোখে দেখেছেন তাঁরা আত্মহত্যা করেছেন কিংবা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। ডাউ হিলকে ঘিরে যে সব ভূতুড়ে ঘটনার শোনা যায়,তার মধ্যে অন্যতম ভিক্টোরিয়া বয়েজ হাই স্কুল। ডাউ হিলের ঘন জঙ্গলের অবস্থিত ১০০ বছরের পুরনো স্কুল। শীতের ছুটিতে স্কুল বন্ধ থাকলেও এর ভিতর প্যারানর্মাল ক্রিয়াকলাপ চলতে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দারা স্কুলের ভিতর থেকে উচ্চস্বরে মানুষের চেঁচানোর আওয়াজ এবং পায়ের শব্দ শুনেছে। যদিও এই স্কুলে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে অনেক। কিন্তু আজও অবধি কেউ স্কুলে সচক্ষে ভূত দেখেনি।