Mig 21 Retirement: ভারতীয় সেনার মিগ-যোগ খতম, এবার আসছে…

| Edited By: সোমনাথ মিত্র

Jul 25, 2025 | 6:55 PM

২০১৭-র ৩০ ডিসেম্বর। হাসিমারা থেকে শেষ উড়ান নিয়েছিল মিগ টোয়েন্টি ওয়ান। ৮ বছর পর, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর চন্ডীগড় থেকে শেষবারের মতো উড়বে মিগ-টোয়েন্টি ওয়ান। এক সময় ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে থাকা সেরা অস্ত্র এই মিগ-টোয়েন্টি ওয়ান। এই মুহূর্তে বায়ুসেনার হাতে দুই স্কোয়াড্রন বা ৩১টি মিগ টোয়েন্টি ওয়ান বিমান রয়েছে। গত চার বছরে মিগ টোয়েন্টি ওয়ানের পুরনো […]

২০১৭-র ৩০ ডিসেম্বর। হাসিমারা থেকে শেষ উড়ান নিয়েছিল মিগ টোয়েন্টি ওয়ান। ৮ বছর পর, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর চন্ডীগড় থেকে শেষবারের মতো উড়বে মিগ-টোয়েন্টি ওয়ান। এক সময় ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে থাকা সেরা অস্ত্র এই মিগ-টোয়েন্টি ওয়ান। এই মুহূর্তে বায়ুসেনার হাতে দুই স্কোয়াড্রন বা ৩১টি মিগ টোয়েন্টি ওয়ান বিমান রয়েছে। গত চার বছরে মিগ টোয়েন্টি ওয়ানের পুরনো দুটি ভার্সনকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রয়েছে শুধু মিগ টোয়েন্টি ওয়ান বাইসন। ১৯৬৩ সালে রাশিয়ার থেকে মিগ টোয়েন্টি ওয়ান হাতে পেয়েছিল ভারত। ২০১৫ সাল পর্যন্ত দশ- বারো ধাপে এই যুদ্ধবিমানগুলির আধুনিকীকরণ হয়েছে। ২০১৯ সালে বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইকের পর মিগ টোয়েন্টি ওয়ান বাইসন নিয়েই পাক বায়ুসেনার এফ-সিক্সটিন যুদ্ধবিমানকে তাড়া করেছিলেন অভিনন্দন বর্তমান। এবং অত্যাধুনিক মার্কিন যুদ্ধবিমানকে ধ্বংসও করেছিলেন। কিন্তু বারবার বিমান ভেঙে পড়া ও দুর্ঘটনা বন্ধ করা যায়নি। তাই এবার পাকাপাকিভাবে মিগ টোয়েন্টি ওয়ান বিদায়। বায়ুসেনার হাতে থাকবে শুধু মিগ টোয়েন্টি নাইন। আগামী তিন বছরে সেগুলোও বসে যাবে। সেই জায়গা নেবে ভারতের নিজস্ব তেজস এমকে ওয়ান এ। বায়ুসেনার হাতে থাকা তেজসের উন্নত ভার্সন।

সুত্রের খবর, সেপ্টেম্বরে মিগ টোয়েন্টি ওয়ান অবসরে যাওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে তেজস এমকে ওয়ান এ’র প্রথম ডিভিশন। হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড বা হ্যাল সূত্রে খবর, দীপাবলির আগেই দুটি তেজস এমকেওয়ান নিয়ে তৈরি ডিভিশন আসবে সেনার হাতে। চলতি মাসের শেষ বা সেপ্টেম্বরের প্রথমেই নাসিক থেকে বেরবো প্রথম তেজস এমকে ওয়ান। নতুন এই যুদ্ধবিমানে কী, কী রয়েছে? এক, ভারতে তৈরি অস্ত্র এবং ইসরায়েলে তৈরি ডার্বি রেডার গাইডেড মিসাইল। দুই, একবার জ্বালানি ভরলে ১ হাজার ৮৫০ কিলোমিটার উড়তে পারে। তিন, ইজরায়েলি AESA রেজার এবং জবরদস্ত এক ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার স্যুট। এর ফলে নিজের লক্ষ্যবস্তুকে দ্রুত ও নিখুঁতভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব। সবচেয়ে বড় কথা, তেজস সিরিজের নতুন যুদ্ধবিমান একটি ব্যাপারে সত্যই ডেডলি। এখান থেকে একই সঙ্গে ব্রহ্মস এবং ডার্বির মতো ভয়ঙ্কর মিসাইল ফায়ার করা সম্ভব। দুটি একেবারে আলাদা ধরণের মিসাইল ফায়ার করার ক্ষমতা খুব যুদ্ধবিমানেরই থাকে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তেজস এমকে ওয়ান এ হাতে পাওয়ায় দেরি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বায়ুসেনা প্রধান। চলতি বছরের শুরুতে এয়ার মার্শাল চিফ এপি সিংয়ের সেই বার্তার পরই তেড়েফুঁড়ে নামে হ্যাল। হ্যাল দাবি করেছিল, আমেরিকা থেকে এফ 404 ইঞ্জিন হাতে পেতে দেরি হওয়ায় ঠিক সময়ে তেজস সেনার হাতে তুলে দেওয়া যায়নি। এই মুহূর্তে মাত্র দুটি এফ 404 ইঞ্জিন হ্যালের হাতে এসেছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, নাল এয়ারবেসে তেজস এমকেওয়ানের প্রথম ডিভিশন তৈরির কাজ চলছে। হ্যাল প্রধান আশ্বাস দিয়েছেন, ২০২৬- এর মার্চের মধ্যে অন্তত ৯টি তেজস এমকেওয়ান এ সেনার হাতে তুলে দেবে সংস্থা। এই ৯টি তেজস নিয়েই তৈরি হবে নতুন ডিভিশন। পাশাপাশি নিজেদের হেলিকপ্টার ডিভিশনকে ঢেলে সাজাতেও ঝাঁপিয়েছে সেনা। আমেরিকা থেকে অ্যাপাশে হেলিকপ্টার হাতে আসায় সেনার কপ্টার ডিভিশনের শক্তি একলাফে অনেকটা বেড়েছে। তবে শুধু অ্যাপাশে নয়, হাতে থাকা সব হেলিকপ্টারকে ঢেলে সাজানোর পথে হাঁটছে বায়ুসেনা।