Diwali 2021: টালির চাল থেকে গোটা একটা ইন্ডাস্ট্রির জননী, বাজিশিল্পের পথিকৃৎ. — বুড়ীমা
অন্নপূর্ণা দাস নামটার সঙ্গে অনেকের পরিচয় না থাকলেও 'বুড়ীমা' এই নামটার সঙ্গে সকলেরই পরিচয় আছে। বাংলাদেশ থেকে এসে বেলুড়ের একটি ছোট্ট দোকান ঘরে সন্তানদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি।
সালটা ১৯৪০। চার সন্তানকে কোলে নিয়ে কাঁটা তারের বেড়া পেরিয়ে এদেশে চলে এসেছিলেন। তিনি অন্নপূর্ণা দাস। হাতে ছিল যৎসামান্য টাকা। অন্নপূর্ণা দাস নামটার সঙ্গে অনেকের পরিচয় না থাকলেও ‘বুড়ীমা’ এই নামটার সঙ্গে সকলেরই পরিচয় আছে। বাংলাদেশ থেকে এসে বেলুড়ের একটি ছোট্ট দোকান ঘরে সন্তানদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। বিড়ি বাঁধা দিয়েই শুরু অন্নপূর্ণার যাত্রা। বিনা চিকিৎসায় হারিয়েছিলেন নিজের স্বামীকে। সন্তানদেরকে নিয়ে নতুনভাবে বাঁচার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বুড়ীমা নামে যেমন অন্নপূর্ণা, কাজেও ঠিক তেমনই। বিড়ি বাঁধা থেকে বুড়ীমার আতসবাজি। তৈরি করেন এক বিশাল সাম্রাজ্য। এই বুড়ীমাই কর্মসংস্থান করেন প্রচুর মানুষের। বাজি তৈরি করতে যে লাইসেন্স দরকার, সেই আন্দাজটুকুও ছিল না তাঁর। কিন্তু তারপর? বাকিটা তো ইতিহাস। দেশ থেকে বিদেশ বাজির বাজারে বুড়ীমার যেন একচ্ছত্র অধিকার। এত বছর ধরে তিল তিল করে গড়ে তোলা বুড়ীমার এই বাজির ব্যবসা এখন ঠিক কী অবস্থায়? খোঁজ নিল TV9 বাংলা। বর্তমানে এই ব্যবসার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন তাঁর নাতি। করোনাকালে ব্যবসার প্রতিপত্তি কিছুটা কমলেও, বাজির কোয়ালিটি কিন্তু একই রয়েছে। সততাতই তাঁদের ব্যবসার মূলমন্ত্র। TV9 বাংলার ক্যামেরার সামনে ঠাকুমার গল্প শোনালেন নাতি।