Migrant Worker Death: ফের পরিযায়ীর মৃত্যু,পরিবারে অন্য চিন্তা
গুজরাটে কাজে গিয়ে মহিষাদলের এক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম সুব্রত দাস(৩৭)। তাঁর বাড়ি মহিষাদলের গড়কমলপুর পঞ্চায়েতের মধ্য হিংলি এলাকায়। মাসছয়েক আগে তিনি সুইপারের কাজ পেয়ে গুজরাটে যান। গুজরাটের ভারুচের ফুলবাড়ি এলাকায় মিস্টার ক্লিন সার্ভিস প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থায় ঠিকা চুক্তিতে কাজ করতেন।
গুজরাটে কাজে গিয়ে মহিষাদলের এক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম সুব্রত দাস(৩৭)। তাঁর বাড়ি মহিষাদলের গড়কমলপুর পঞ্চায়েতের মধ্য হিংলি এলাকায়। মাসছয়েক আগে তিনি সুইপারের কাজ পেয়ে গুজরাটে যান। গুজরাটের ভারুচের ফুলবাড়ি এলাকায় মিস্টার ক্লিন সার্ভিস প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থায় ঠিকা চুক্তিতে কাজ করতেন। ওই সংস্থাটি ল্যানএক্সি ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের অধীন একটি ছোট সংস্থা যারা বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সংস্থায় চুক্তির শ্রমিক যোগান দেয়।
সুব্রত মহিষাদলের কাপাস এড়িয়ার কাছে একটি পেট্রল পাম্পে কাজ করতেন। পরে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কাজের সন্ধানে গুজরাটে যান। সেখানে সুইপারের কাজ করে ১৫ হাজার টাকা বেতন পেতেন। তাঁর ৯ বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে, সে ক্লাস ফোরে পড়ে। রবিবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ সুব্রতর পরিবারের কাছে তাঁর মৃত্যু সংবাদ আসে। যে সংস্থায় তিনি কাজ করতেন তার ম্যানেজার ফোন করে মৃত্যু সংবাদ দেন। জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ৮টা নাগাদ সুব্রত অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে ওই কোম্পানির এক চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা করেন। অন্য কর্মীদের সঙ্গে বাসায় ফিরবেন বলে কোম্পানির রেস্ট রুমে বিশ্রাম নেন। ওই সময় তিনি সেখানেই ঘুমিয়ে পড়েন। এদিকে বাড়ি থেকে সুব্রতকে ফোনে না পেয়ে তাঁর স্ত্রী উদ্বিগ্ন হয়ে এক সহকর্মীকে ফোন করেন। ওই সহকর্মী রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ সুব্রতর কর্মস্থলে গিয়ে দেখেন তিনি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে আইসিইউতে তৎক্ষনাৎ ভর্তি করা হয়।
পরে সকালে ওই পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু সংবাদ আসে। প্রথমে কোম্পানির তরফে দেহ মহিষাদলে পাঠানোর কথা বলা হয়। পরে তারা দিনভর যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে বিকেল নাগাদ পরিবারকে নিজেদের খরচে গুজরাট থেকে দেহ নিয়ে আসতে বলে। এজন্য বিরাট খরচ হবে। পরিবার জানিয়েছে, এত টাকা খরচ করার সামর্থ তাদের নেই। ফলে ওই পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ বাড়ি ফেরানো নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় বিধায়ক ও বিডিও এর কাছে বিষয়টি জানানো হয়েছে। মৃতদেহ যাতে বাড়ি ফিরিয়ে আনা যায় তার ব্যবস্থা করছে প্রশাসন।