Balurghat Migrant Workers: নিখোঁজ পরিযায়ী শ্রমিক
ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়ার পথে নিখোঁজ বালুরঘাট শহরের পরিযায়ী শ্রমিক যুবক। নিখোঁজ ছেলের খোঁজ পেতে গত কয়েক দিন ধরে বালুরঘাট থানায় ঘুরছেন বাবা সহ গোটা পরিবার। গত পাঁচদিন দিন আগে নিখোঁজ হলেও এখনো ছেলের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছেম। বর্তমানে ছেলে কোথাও কি অবস্থায় রয়েছে সে নিয়ে উদ্বেগ ও উৎকন্ঠায় রয়েছে পরিবার।
ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়ার পথে নিখোঁজ বালুরঘাট শহরের পরিযায়ী শ্রমিক যুবক। নিখোঁজ ছেলের খোঁজ পেতে গত কয়েক দিন ধরে বালুরঘাট থানায় ঘুরছেন বাবা সহ গোটা পরিবার। গত পাঁচদিন দিন আগে নিখোঁজ হলেও এখনো ছেলের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছেম। বর্তমানে ছেলে কোথাও কি অবস্থায় রয়েছে সে নিয়ে উদ্বেগ ও উৎকন্ঠায় রয়েছে পরিবার। কি করে ছেলের খোঁজ পাবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ পেতেই পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বালুরঘাট থানার পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি ওই যুবকের।
জানা গেছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরের সাত নম্বর ওয়ার্ডের মঙ্গলপুর মাস্টারপাড়ার বাসিন্দা মিলন সরকার(৩৬)। আগে ভ্যান রিক্সা চালাতেন৷ বাড়িতে বাবা মা স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। পরিবারের আর্থিক অনটনের জন্য স্থির করে ভিন রাজ্যে কাজের জন্য যাবেন। সেই মত গত ১৫ তারিখ পাশের হোসেনপুরের এক ঠিকাদারের সঙ্গে কাজ করতে সেকেন্দ্রাবাদের উদ্দেশ্যে যান। বালুরঘাট থেকে মোট চারজন যান। গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর আগেই ট্রেন থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ওই যুবক। এদিকে নিখোঁজের সময় ওই যুবকের ফোন সহ ব্যাগ ও অন্যান্য জিনিস সঙ্গে থাকা সহকর্মীদের কাছেই রয়ে গেছে। ঠিকাদার মারফত জানতে পারেন মিলন নিখোঁজ হয়েছে। এদিকে নিখোঁজের দিন রাতের বেলাতেও কথা হয় পরিবারের সাথে৷ প্রথমবার ভিন রাজ্যে গিয়ে এমন ঘটনা চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এদিকে ঠিকাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা বলছেন দু একদিনের মধ্যে খোঁজ পাওয়া যাবে। চিন্তার কিছু নেই। এদিকে নিখোঁজের খবর জানার পর দিন থেকেই বালুরঘাট থাবার দ্বারস্থ হয়েছেন পরিবার। নিখোঁজ না অন্য কিছু কিছু বুঝতে পারছেন না পরিবার।
এবিষয়ে যুবকের বাবা শৈলেন সরকার বলেন, এবারই প্রথম সে বাইরে কাজ করতে গেছিল। যাওয়ার কথা ছিল সেকেন্দ্রাবাদে। কিন্তু তার আগের স্টেশনেই সে নিখোঁজ হয়ে যায়। যে ঠিকাদার নিয়ে গেছে সেই ফোন করে ছেলের নিখোঁজের বিষয়টি জানায়৷ এরপর আমি বালুরঘাট থানায় নিখোঁজ অভিযোগ দিয়েছি৷ কিন্তু এখনো ছেলের কোন খোঁজ পাইনি। ঠিকাদারকে ফোন করলে সে বলছে কয়েকদিনের মধ্যেই পাওয়া যাবে তাকে। এবিষয়ে যুবকের পিসি জয়া সূত্রধর বলেন, ভাইপো গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর আগেই নিখোঁজ হয়েছে। কি করে এটা সম্ভব। ভাইপোর জুতা থেকে শুরু করে সবই অন্য সহকর্মীদের কাছে রয়েছে। আমরা থানায় মিসিং অভিযোগ দিয়েছি। চার দিন পার হলেও এখনো ছেলেটার কোন খোঁজ খবর পাইনি। অন্যদিকে বালুরঘাট থানার তরফে জানানো হয়েছে, নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।