R G Kar Case Verdict: ঘরেই ছিলেন, ছেলের যাবজ্জীবনের সাজা শুনে দোর আটকেই রইলেন সঞ্জয়ের মা
সঞ্জয়ের কী শাস্তি হয় তা নিয়ে আজ সকাল থেকেই চড়ছিল পারদ। দোষীর সর্বোচ্চ সাজা মানে ফাঁসি চেয়েছিল আপামর বাঙালি। কিন্তু আরজি কর মামলাকে বিরলতম অপরাধ মনে না করায়, সঞ্জয়কে যাবজ্জীবনের সাজাই দেন বিচারক। ছেলের মৃত্যুদণ্ড হয়নি ঠিকই, কিন্তু ছেলের তো আর বাড়ি ফেরাও হবে না। বিচারকের নির্দেশে শেষ শ্বাস পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ডই ভোগ করতে হবে সঞ্জয়কে
শম্ভুনাথ পণ্ডিত স্ট্রিটের ছাপোষা বাড়ি। যদিও আজ সেই বাড়ির বাইরে ভিড় থিকথিক করছে। এটাই সঞ্জয়ের বাড়ি,সঞ্জয় রাইয়ের। আরজি করে চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ-খুন মামলায় যাকে কিচ্ছুক্ষণ আগেই আমৃত্যু কারাদণ্ড শুনিয়েছেন বিচারক অনির্বাণ দাস। সঞ্জয়ের বাড়ির উঠোন পেরোনো গেলেও বাড়িতে দেখা মিলল না কারও। গ্রিল আটকানো। আজ হাজারবার ডেকেও ভেতর থেকে সাড়া দিচ্ছে না কেউ। দুদিন আগেই এই ঘরে দাঁড়িয়েই সঞ্জয়ের মা বলেছিলেন, ছেলের সাজা হোক কোন মা চায়?
সঞ্জয়ের কী শাস্তি হয় তা নিয়ে আজ সকাল থেকেই চড়ছিল পারদ। দোষীর সর্বোচ্চ সাজা মানে ফাঁসি চেয়েছিল আপামর বাঙালি। কিন্তু আরজি কর মামলাকে বিরলতম অপরাধ মনে না করায়, সঞ্জয়কে যাবজ্জীবনের সাজাই দেন বিচারক। ছেলের মৃত্যুদণ্ড হয়নি ঠিকই, কিন্তু ছেলের তো আর বাড়ি ফেরাও হবে না। বিচারকের নির্দেশে শেষ শ্বাস পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ডই ভোগ করতে হবে সঞ্জয়কে। একজন মা হিসেবে এও কী কম কষ্টের…
ভেজানো গ্রিলের ওপার থেকে কোনও সাড়া নেই। গোটা বাড়িটাতেই আজ যেন প্রাণ নেই। অথচ, পাড়া প্রতিবেশীর কথায় ঘরের ভেতরেই আছেন সঞ্জয়ের মা। তিনি আজ সম্পূর্ণ চুপ। ঘরের বাইরের ছোট্ট দালানের দেওয়ালে টাঙানো একটা ক্যালেন্ডার। যেখানে দিন পাল্টালেও ছেলের আর ঘরে ফেরা হবে না। ঘরের ভেতরে সঞ্জয়ের মা এখন কীসের প্রার্থনায় কে জানে…।