Loading video

Pakistan Economy: গাধার পিঠে চড়েই আর্থিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে পাকিস্তান

Jul 05, 2024 | 10:34 PM

Pakistan: চিনে গাধা হত্যা করলে কড়া শাস্তি। তাই আফ্রিকা থেকে চোরাপথে চিনে পৌঁছে যাচ্ছে গাধার মাংস ও হাড়। আর তাতে আফ্রিকার গরিব দেশগুলোর মানুষের কষ্ট বাড়ছে। আফ্রিকার অনেক দেশেই, বিশেষত গ্রামের দিকে গাধাই মানুষের প্রধান ভরসা। ওসব দেশে গরু কেনার কথা সাধারণ মানুষ ভাবতেও পারেন না।

জিনিসের দামের সঙ্গেই আরেকটা জিনিস বাড়ছে। পাকিস্তানে বাড়ছে গাধার সংখ্যা। আমার কথার অন্য মানে করবেন না যেন। আমি একদম নিরীহ চতুষ্পদের কথাই বলছি। গত ৪ বছরে প্রতিবছর পাকিস্তানে লাখখানেক করে গাধার সংখ্যা বেড়েছে। আর তাই গাধার পিঠে চড়েই আর্থিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে পাকিস্তান। আপনাদের মনে থাকার কথা, আমি আগে স্ট্রেট কাটে বলেছিলাম, ওষুধ তৈরির জন্য চিনে গাধার চাহিদা প্রচুর। কিন্তু, চিনে গাধা হত্যা করলে কড়া শাস্তি। তাই আফ্রিকা থেকে চোরাপথে চিনে পৌঁছে যাচ্ছে গাধার মাংস ও হাড়। আর তাতে আফ্রিকার গরিব দেশগুলোর মানুষের কষ্ট বাড়ছে। আফ্রিকার অনেক দেশেই, বিশেষত গ্রামের দিকে গাধাই মানুষের প্রধান ভরসা। ওসব দেশে গরু কেনার কথা সাধারণ মানুষ ভাবতেও পারেন না। গাধার দুধ ওখানকার শিশুদের পুষ্টি দেয়। মালপত্র পরিবহণের জন্যও গাধাই ভরসা। চাষের কাজে, এমনকি অসুস্থ মানুষকে হাসপাতালে পৌঁছে দিতেও অনেক এলাকায় গাধা ছাড়া গতি নেই। এমন একটা প্রাণীর সংখ্যা কমতে থাকায় প্রভাব পড়ছে আফ্রিকার অর্থনীতিতে। আর তাই জিনপিংকে কড়া চিঠি দিয়েছেন আফ্রিকান ইউনিয়নের সেক্রেটারি জেনারেল। এরকম একটা অবস্থায় পাকিস্তানের গাধার দিকে তাকাচ্ছে চিন। আর তাতেই টানাটানির সংসারে লক্ষ্মীলাভের আশা করছে পাক সরকার।

ইসলামাবাদ সবচেয়ে সস্তা শহর, একটু আগে শুনলেন। তবে সস্তা কি দামি, সেটা নির্ভর করবে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ওপর। যেটার বড় অভাব পাকিস্তানে। একটা উদাহরণ দিই। ওদেশে মানুষ এখন দুধ কিনতে ভয় পাচ্ছেন। ইনফ্যাক্ট, দুধ কিনতেই পারছেন না। কয়েকদিন আগেই নতুন পাক সরকার বাজেট পেশ করেছে। সেখানে দুধের ওপর ১৮ শতাংশ ট্যাক্স বসানো হয়েছে। যার ফলে দুধের দাম ২০ শতাংশ বেড়ে গেছে। পাকিস্তানের বড় শহরগুলোয় এখন দুধের দাম কত শুনবেন। ৩৭০ টাকা লিটার। ইউরোপের ধনী দেশগুলো। যেখানে মানুষের পারচেসিং পাওয়ার অনেক বেশি। সেইসব দেশের বড় শহরগুলোর চেয়েও এখন পাকিস্তানে দুধের দাম বেশি। চিন্তা করে দেখুন। পাকিস্তানের ৪০ শতাংশ মানুষ নিদারুণ দারিদ্র্যের মধ্যে দিন কাটান। ৫ বছরের নীচে বয়স এমন ৬০ শতাংশ শিশু অ্যানিমিয়ায় ভোগে। ৪০ শতাংশ শিশুর ওজন কম। সেখানে দুধটুকুও যদি মানুষের নাগালের বাইরে চলে যায়, তাহলে কী হতে পারে। এ অবস্থা কিন্তু আগে ছিল না। দুধ করমুক্তই ছিল। আইএমএফের চাপে পাক সরকার এখন ট্যাক্স কালেকশন ৪০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। ফলে দুধের ওপরও চেপে গেছে চড়া কর। উপায়ও তো নেই। আইএমএফ লোন না দিলে দেশটাই তো দেউলিয়া হয়ে যাবে।