Pakistan News: নওয়াজ শরিফ স্বীকার করলেন একতরফা লাহোর চুক্তি ভেঙেছিল পাকিস্তানই

TV9 Bangla Digital | Edited By: সুপ্রিয় ঘোষ

May 30, 2024 | 12:10 AM

২৫ বছর সময় লাগল। অবশেষে সত্যি কথাটা মেনেই নিল পাকিস্তান। পাকিস্তানের ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ স্বীকার করলেন যে একতরফা লাহোর চুক্তি ভেঙেছিলেন তাঁরা। আর সেজন্যই কার্গিল যুদ্ধ বাধে। বললেন ভুল আমাদের। তা মানতেই হবে।

Follow Us

২৫ বছর সময় লাগল। অবশেষে সত্যি কথাটা মেনেই নিল পাকিস্তান। পাকিস্তানের ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ স্বীকার করলেন যে একতরফা লাহোর চুক্তি ভেঙেছিলেন তাঁরা। আর সেজন্যই কার্গিল যুদ্ধ বাধে। বললেন ভুল আমাদের। তা মানতেই হবে।

পাকিস্তানের শাসকদল পিএমএলএনের সভাপতি পদে পুনর্নিবাচিত হওয়ার পর বক্তব্য রাখছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথা শুনে দলের নেতারা হয়তো চমকে উঠেছিলেন। পরে পাক সংবাদপত্র দ্য ডনকে নওয়াজ বলেছেন, আমার মুখে এমন কথা অনেকেই হয়ত আশা করেননি। কিন্তু সত্যিটা বলতেই হতো।

নওয়াজ যখন সত্যিটা বলেই দিলেন, তখন চলুন সেই ঘটনাটা একবার ফিরে দেখা যাক। ১৯৯৮ সালের ১১ মে ও ১৩ মে পোখরানে পরমাণু বোমা পরীক্ষা করে ভারত। ২ সপ্তাহ পর ২৮ মে পাকিস্তানও পরমাণু বোমা পরীক্ষা করে। দুই দেশের সম্পর্ক তখন খোলামুখ আগ্নেয়গিরির মতো। উত্তেজনা কমাতে উদ্যোগী হয় ভারতই। পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে বাসে চড়ে লাহোরে গিয়ে নওয়াজ শরিফের সঙ্গে চুক্তি করেন অটলবিহারি বাজপেয়ী। সেই ঘটনার উল্লেখ করেই নওয়াজ বললেন, বাজপেয়ী সাহেব পরমাণু অস্ত্র প্রতিযোগিতা এড়াতে চেয়েছিলেন। উনি পাকিস্তানে এসে লাহোর চুক্তি করেন। আমরা এই চুক্তি ভেঙেছিলাম। দেখুন লাহোর চুক্তির ৩ মাসের মধ্যে শুরু হয় কার্গিল যুদ্ধ।

নওয়াজ তাঁর বক্তব্যে একবারও কার্গিলে নিজের ভূমিকার কথা বলেননি। কূটনীতিবিদদের মতে কার্গিলের দায় পারভেজ মুশারফের ঘাড়েই চাপালেন তিনি। ভারতের তত্‍কালীন নিরাপত্তা উপদেষ্টা ব্রজেশ মিশ্রর এক সাক্ষাত্‍কারের কথা আমার মনে পড়ে গেল। ব্রজেশ বলেছিলেন, বাজপেয়ীর বিশ্বাস ছিল, লাহোর চুক্তির হাত ধরে ভারত-পাক সম্পর্কে নতুন মাত্রা আসবে। আপনাদের একটু মনে করাই সেই চুক্তিতে ছিল মূলত তিনটে কথা। এক, বিতর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে ধাপে ধাপে, আলোচনার ভিত্তিতে সহমতে পৌঁছনোর চেষ্টা হবে। দুই, উপ-মহাদেশে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে কাজ করবে দুই দেশ। তিন, পরমাণু অস্ত্রের বিপদ কমাতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা হবে। এক দেশ অন্য দেশের জাতীয় নিরাপত্তা বিরোধী কোনও কাজ করবে না বলেও অঙ্গীকার ছিল চুক্তিপত্রে। কয়েকমাসের মধ্যে এই চুক্তিকে ছেঁড়া কাগজ বানিয়ে দেন তত্‍কালীন পাক সেনাপ্রধান পারভেজ মুশারফ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তিনি নিজে কী করেছিলেন? অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই প্রশ্নটা নওয়াজ এড়িয়ে গেছেন। অনেকেই বলছেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল করতেই হয়ত লাহোর চুক্তি নিয়ে তাঁর ভুল স্বীকার। তবে আমার এখনই অতটা মনে হচ্ছে না। কারণ শরিফ ওই সভায় আরও একটা দাবি করেছেন। বলেছেন পাকিস্তানের পরমাণু বোমা পরীক্ষা আটকাতে ৫০০ কোটি ডলার অনুদানের টোপ দিয়েছিলেন তত্‍কালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন। তবে তিনি পাকিস্তানের স্বার্থে সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে পরমাণু পরীক্ষার পথেই হাঁটেন। তখন ইমরান খান গদিতে থাকলে আমেরিকার চাপের কাছে মাথা নোয়াতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি।

২৫ বছর সময় লাগল। অবশেষে সত্যি কথাটা মেনেই নিল পাকিস্তান। পাকিস্তানের ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ স্বীকার করলেন যে একতরফা লাহোর চুক্তি ভেঙেছিলেন তাঁরা। আর সেজন্যই কার্গিল যুদ্ধ বাধে। বললেন ভুল আমাদের। তা মানতেই হবে।

পাকিস্তানের শাসকদল পিএমএলএনের সভাপতি পদে পুনর্নিবাচিত হওয়ার পর বক্তব্য রাখছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথা শুনে দলের নেতারা হয়তো চমকে উঠেছিলেন। পরে পাক সংবাদপত্র দ্য ডনকে নওয়াজ বলেছেন, আমার মুখে এমন কথা অনেকেই হয়ত আশা করেননি। কিন্তু সত্যিটা বলতেই হতো।

নওয়াজ যখন সত্যিটা বলেই দিলেন, তখন চলুন সেই ঘটনাটা একবার ফিরে দেখা যাক। ১৯৯৮ সালের ১১ মে ও ১৩ মে পোখরানে পরমাণু বোমা পরীক্ষা করে ভারত। ২ সপ্তাহ পর ২৮ মে পাকিস্তানও পরমাণু বোমা পরীক্ষা করে। দুই দেশের সম্পর্ক তখন খোলামুখ আগ্নেয়গিরির মতো। উত্তেজনা কমাতে উদ্যোগী হয় ভারতই। পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে বাসে চড়ে লাহোরে গিয়ে নওয়াজ শরিফের সঙ্গে চুক্তি করেন অটলবিহারি বাজপেয়ী। সেই ঘটনার উল্লেখ করেই নওয়াজ বললেন, বাজপেয়ী সাহেব পরমাণু অস্ত্র প্রতিযোগিতা এড়াতে চেয়েছিলেন। উনি পাকিস্তানে এসে লাহোর চুক্তি করেন। আমরা এই চুক্তি ভেঙেছিলাম। দেখুন লাহোর চুক্তির ৩ মাসের মধ্যে শুরু হয় কার্গিল যুদ্ধ।

নওয়াজ তাঁর বক্তব্যে একবারও কার্গিলে নিজের ভূমিকার কথা বলেননি। কূটনীতিবিদদের মতে কার্গিলের দায় পারভেজ মুশারফের ঘাড়েই চাপালেন তিনি। ভারতের তত্‍কালীন নিরাপত্তা উপদেষ্টা ব্রজেশ মিশ্রর এক সাক্ষাত্‍কারের কথা আমার মনে পড়ে গেল। ব্রজেশ বলেছিলেন, বাজপেয়ীর বিশ্বাস ছিল, লাহোর চুক্তির হাত ধরে ভারত-পাক সম্পর্কে নতুন মাত্রা আসবে। আপনাদের একটু মনে করাই সেই চুক্তিতে ছিল মূলত তিনটে কথা। এক, বিতর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে ধাপে ধাপে, আলোচনার ভিত্তিতে সহমতে পৌঁছনোর চেষ্টা হবে। দুই, উপ-মহাদেশে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে কাজ করবে দুই দেশ। তিন, পরমাণু অস্ত্রের বিপদ কমাতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা হবে। এক দেশ অন্য দেশের জাতীয় নিরাপত্তা বিরোধী কোনও কাজ করবে না বলেও অঙ্গীকার ছিল চুক্তিপত্রে। কয়েকমাসের মধ্যে এই চুক্তিকে ছেঁড়া কাগজ বানিয়ে দেন তত্‍কালীন পাক সেনাপ্রধান পারভেজ মুশারফ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তিনি নিজে কী করেছিলেন? অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই প্রশ্নটা নওয়াজ এড়িয়ে গেছেন। অনেকেই বলছেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল করতেই হয়ত লাহোর চুক্তি নিয়ে তাঁর ভুল স্বীকার। তবে আমার এখনই অতটা মনে হচ্ছে না। কারণ শরিফ ওই সভায় আরও একটা দাবি করেছেন। বলেছেন পাকিস্তানের পরমাণু বোমা পরীক্ষা আটকাতে ৫০০ কোটি ডলার অনুদানের টোপ দিয়েছিলেন তত্‍কালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন। তবে তিনি পাকিস্তানের স্বার্থে সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে পরমাণু পরীক্ষার পথেই হাঁটেন। তখন ইমরান খান গদিতে থাকলে আমেরিকার চাপের কাছে মাথা নোয়াতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি।

Next Video