১৯৭০ সালে রিলিজ করেছিল ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’। ছবির শেষ সিনটা মনে আছে? গাড়ির জানলার ধারে বসে একগাল হাসি নিয়ে রবি ঘোষ, মানে ছবিতে শেখর, বলে ওঠে ডিম মাইরি। সত্যজিত্ রায় যতোই ডিম নিয়ে এক বাঙালি যুবকের উচ্ছ্বাস দেখান না কেন। ওই সময়ে সারা দেশে কিন্তু ডিম খাওয়ার লোক ছিল না। ডিমের চাহিদাই ছিল না। ফলে, পোলট্রি ফার্মাররা পড়েছিলেন সমস্যায়। আরেকটা সমস্যা ছিল তাঁরা বাজারে গিয়ে ভালো দামে ডিম বিক্রি করতে পারতেন না। কারণ, তখন দেশের সর্বত্র ছিল ডিম মাফিয়াদের দাপট। তারা কার্যত গায়ের জোরে অনেক কম দামে পোলট্রি থেকে ডিম তুলে নিত। এই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেন হায়দরাবাদের কৃষি বিজ্ঞানী ডক্টর বিভি রাও। যাঁকে বলা হয় father of poultry industry in India. চাষিরা যাতে ডিমের নায্য দাম পান সেজন্য তিনি দেশজুড়ে তৈরি করেন সমবায় নেটওয়ার্ক। যার নাম National Egg Coordination Committee. এরপর ডক্টর রাও ডিমের বিক্রি বাড়ানোর ওপর জোর দেন। দূরদর্শনে আমরা দেখেছিলাম সেই বিজ্ঞাপন। Sunday ho ya Monday, Roz khao ande. দেশের ইতিহাসে অন্যতম সফল এই বিজ্ঞাপন। যে বিজ্ঞাপন দেখে বহু মানুষ ডিম খাওয়া শুরু করেন।
এক বিজ্ঞাপনে দেশজুড়ে বেড়ে যায় ডিমের বিক্রি। ভারতবাসীর রোজকার খাদ্যতালিকায় ঢুকে পড়ে ডিম। ভাবছেন তো এতকিছু থাকতে হঠাত্ ডিম নিয়ে পড়লাম কেন? পড়লাম এই কারণে, যে অলিম্পিকে গিয়ে আমাদের অ্যাথলিটরা ঠিকমতো ডিম খেতে পারছেন না। গেমস ভিলেজে পাঁচরকম কুইজিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভারতীয় খেলোয়াড়রা যেখানে থাকছেন সেখান থেকে এশিয়ান কুইজিনের জায়গাটা অনেক দূরে। এটা একটা সমস্যা। আরেকটা সমস্যা খাবারও ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না। বক্সার অমিত পাঙ্ঘাল, শাটলার তানিশা ক্রেস্টোরা তো সরাসরি অভিযোগই জানিয়েছেন। আর সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়েছে ডিম নিয়ে। সব দেশের খেলোয়াড়েরাই অভিযোগে ফেটে পড়েছেন। গেমস ভিলেজে ডিম পাওয়া যাচ্ছে না। ব্রেকফাস্টে তো ডিমে রেশনিং করে দেওয়া হয়েছে। খেলোয়াড়রা যদি ডিমের মতো একটা পুষ্টিকর খাবার থেকে বঞ্চিত হন, তাহলে রাগ তো হবেই। অলিম্পিকের কর্মকর্তারা কেটারারদের ওপর দায় চাপিয়েছেন। কেটারাররা বলছেন গেমস ভিলেজে রোজ প্রায় ২০৮টা দেশের ১৫ হাজার খেলোয়াড় ও তাঁদের সাপোর্ট স্টাফদের পাত পড়ছে। কিন্তু, সবাই যে সব খাবার ছেড়ে ডিমের পিছনে ছুটবেন, এটা আমরা আগে বুঝতে পারিনি। আমরা সাপ্লাই বাড়াচ্ছি। খুব দ্রুত সবাই পেটভরে ডিম খেতে পাবেন। ডক্টর রাও আজ বেঁচে থাকলে খবরটা শুনলে নিশ্চই খুশি হতেন।
১৯৭০ সালে রিলিজ করেছিল ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’। ছবির শেষ সিনটা মনে আছে? গাড়ির জানলার ধারে বসে একগাল হাসি নিয়ে রবি ঘোষ, মানে ছবিতে শেখর, বলে ওঠে ডিম মাইরি। সত্যজিত্ রায় যতোই ডিম নিয়ে এক বাঙালি যুবকের উচ্ছ্বাস দেখান না কেন। ওই সময়ে সারা দেশে কিন্তু ডিম খাওয়ার লোক ছিল না। ডিমের চাহিদাই ছিল না। ফলে, পোলট্রি ফার্মাররা পড়েছিলেন সমস্যায়। আরেকটা সমস্যা ছিল তাঁরা বাজারে গিয়ে ভালো দামে ডিম বিক্রি করতে পারতেন না। কারণ, তখন দেশের সর্বত্র ছিল ডিম মাফিয়াদের দাপট। তারা কার্যত গায়ের জোরে অনেক কম দামে পোলট্রি থেকে ডিম তুলে নিত। এই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেন হায়দরাবাদের কৃষি বিজ্ঞানী ডক্টর বিভি রাও। যাঁকে বলা হয় father of poultry industry in India. চাষিরা যাতে ডিমের নায্য দাম পান সেজন্য তিনি দেশজুড়ে তৈরি করেন সমবায় নেটওয়ার্ক। যার নাম National Egg Coordination Committee. এরপর ডক্টর রাও ডিমের বিক্রি বাড়ানোর ওপর জোর দেন। দূরদর্শনে আমরা দেখেছিলাম সেই বিজ্ঞাপন। Sunday ho ya Monday, Roz khao ande. দেশের ইতিহাসে অন্যতম সফল এই বিজ্ঞাপন। যে বিজ্ঞাপন দেখে বহু মানুষ ডিম খাওয়া শুরু করেন।
এক বিজ্ঞাপনে দেশজুড়ে বেড়ে যায় ডিমের বিক্রি। ভারতবাসীর রোজকার খাদ্যতালিকায় ঢুকে পড়ে ডিম। ভাবছেন তো এতকিছু থাকতে হঠাত্ ডিম নিয়ে পড়লাম কেন? পড়লাম এই কারণে, যে অলিম্পিকে গিয়ে আমাদের অ্যাথলিটরা ঠিকমতো ডিম খেতে পারছেন না। গেমস ভিলেজে পাঁচরকম কুইজিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভারতীয় খেলোয়াড়রা যেখানে থাকছেন সেখান থেকে এশিয়ান কুইজিনের জায়গাটা অনেক দূরে। এটা একটা সমস্যা। আরেকটা সমস্যা খাবারও ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না। বক্সার অমিত পাঙ্ঘাল, শাটলার তানিশা ক্রেস্টোরা তো সরাসরি অভিযোগই জানিয়েছেন। আর সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়েছে ডিম নিয়ে। সব দেশের খেলোয়াড়েরাই অভিযোগে ফেটে পড়েছেন। গেমস ভিলেজে ডিম পাওয়া যাচ্ছে না। ব্রেকফাস্টে তো ডিমে রেশনিং করে দেওয়া হয়েছে। খেলোয়াড়রা যদি ডিমের মতো একটা পুষ্টিকর খাবার থেকে বঞ্চিত হন, তাহলে রাগ তো হবেই। অলিম্পিকের কর্মকর্তারা কেটারারদের ওপর দায় চাপিয়েছেন। কেটারাররা বলছেন গেমস ভিলেজে রোজ প্রায় ২০৮টা দেশের ১৫ হাজার খেলোয়াড় ও তাঁদের সাপোর্ট স্টাফদের পাত পড়ছে। কিন্তু, সবাই যে সব খাবার ছেড়ে ডিমের পিছনে ছুটবেন, এটা আমরা আগে বুঝতে পারিনি। আমরা সাপ্লাই বাড়াচ্ছি। খুব দ্রুত সবাই পেটভরে ডিম খেতে পাবেন। ডক্টর রাও আজ বেঁচে থাকলে খবরটা শুনলে নিশ্চই খুশি হতেন।