Raiganj News: এখনও স্বাস্থ্যসাথীতে মেলে না পরিষেবা!
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশই সার। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের পরিষেবা পেতে গিয়ে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগী সহ রোগীর আত্মীয়রা। উল্টে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসা পরিষেবা না দিয়েই চার হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠলো রায়গঞ্জের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। স্বাস্থ্য দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের রোগির পরিবারের।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশই সার। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের পরিষেবা পেতে গিয়ে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগী সহ রোগীর আত্মীয়রা। উল্টে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসা পরিষেবা না দিয়েই চার হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠলো রায়গঞ্জের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। স্বাস্থ্য দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের রোগির পরিবারের সাথে আছে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড। কিন্তু সেই কার্ডের সুবিধা নিতে গেলে অপেক্ষা করতে হবে বেশ খানিকটা সময়। তাই দ্রুত চিকিৎসা করাতে গেলে দিতে হবে মোটা টাকা। আর সেই টাকা দিতে না পারায় ইটাহারের বাসিন্দা বছর ১৮-র সাথী সরকারকে চিকিৎসা না করিয়ে ফেলে রাখার অভিযোগ উঠলো রায়গঞ্জে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। সাথী সরকারের বাবা সুভাষ সরকারের অভিযোগ গত ১৬ আগষ্ট তাঁর মেয়ের ডান হাত ভেঙে যায় এরপরই রায়গঞ্জের ওই বেসরকারি নার্সিংহোমে অর্থপেডিক চিকিৎসক সুবোধ বিশ্বাসকে দেখালে তারই নিজস্ব নার্সিংহোমে ভর্তি করান ও অপারেশনের কথা জানান। অপারেশন বাবদ ৩০ হাজার টাকা চাওয়া হয়। কিন্তু পেশায় কৃষক সুভাষ সরকারের পক্ষে সেই টাকা দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে আসেন। কিন্তু ভর্তি করিয়েই চিকিৎসা না করে এক দিন তাঁর মেয়েকে বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখে। এরপরই নার্সিংহোম থেকে জানানো হয় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলে ৮ হাজার টাকায় অপারেশন হয়ে যাবে। তারজন্য আগেভাবে ৪ হাজার টাকা জমা করেন সুভাষ সরকার। এরপরও ওই নার্সিংহোমে চিকিৎসায় ক্ষেত্রে নানা রকম টালবাহানা করায় অন্য নার্সিংহোমে ভর্তি করা ওই রোগীকে। এরপর ওই নার্সিংহোম ও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতি ও বিনা চিকিৎসায় টাকা নেওয়ার অভিযোগও জমা দায়ের করেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে। যদিও এই অভিযোগ সমস্তটাই মিথ্যে বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক সুবোধ বিশ্বাস। তিনি বলেন,ওই রোগী ভর্তির পর অপারেশনের কথা রোগীর আত্মীয়দের জানানো হয়।অপারেশনের জন্য প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ হতে পারে আর স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকলে বিনামূল্যে পরিষেবা মিলবে। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথীর পরিষেবা পেতে হলে আগে কার্ডের অনুমোদন প্রয়োজন আর তারজন্য সময়ের দরকার। আমাদের এখানে ইন্টারনেট না থাকায় সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু রোগীর আত্মীয় জানান তাদের রোগীর দ্রুত চিকিৎসা করাতে হবে।সেইমত চার হাজার টাকা জমা করে।তবে চিকিৎসা না করিয়ে রোগীকে ফেলে রাখার অভিযোগ সমস্তাই ভিত্তিহীন বলে তিনি জানান। আর এই ঘটনার পরই প্রশ্ন উঠছে, রাজ্য সরকারের যে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রয়েছে সেই কার্ডে জরুরী পরিষেবা নিয়ে।রোগী ভর্তির পর আগে কার্ডের অনুমোদন নিতে হয় সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোমকে তারপর অনুমোদন পেলে চিকিৎসা শুরু হয় রোগীর।যার জেরে বেশির ভাগ মানুষই এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ব্যবহার না করেই মোটা টাকার বিনিময়ে করাচ্ছেন চিকিৎসা।তাই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ব্যহারের ক্ষেত্রে নিয়মে বদল আনা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।