Basirhat Puppetry: পুতুল নাচ আজও
মোবাইল ফোনে ইউটিউব-ফেসবুকে বুঁদ হয়ে থাকা প্রজন্ম পুতুল নাচের অভিনবত্বের ছোঁয়া পেয়ে মোহিত হলো। এক সময় পুতুল নাচ বাংলার মানুষের মননে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে আধুনিক সভ্যতার মাঝে কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছে বাংলার এই প্রাচীন সংস্কৃতি।
মোবাইল ফোনে ইউটিউব-ফেসবুকে বুঁদ হয়ে থাকা প্রজন্ম পুতুল নাচের অভিনবত্বের ছোঁয়া পেয়ে মোহিত হলো। এক সময় পুতুল নাচ বাংলার মানুষের মননে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে আধুনিক সভ্যতার মাঝে কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছে বাংলার এই প্রাচীন সংস্কৃতি। তাই জগদ্ধাত্রী পুজোকে সামনে রেখে গ্রামে আসর বসলো পুতুল নাচের।
বসিরহাটের সুন্দরবনের সন্দেশখালি ১নং ব্লকের সরবেড়িয়া-আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ নলকরা গ্রামে জগদ্ধাত্রী পূজার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বসলো পুতুল নাচের আসর। যেখানে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে কচিকাঁচা থেকে শুরু করে সুন্দরবনের প্রান্তিক মানুষরা এই পুতুল নাচ উপভোগ করেন। সুন্দরবন স্পোর্টিং ক্লাবের উদ্যোগে নবদ্বীপের গিরিধারী পুতুল নাচ রাজা হরিশচন্দ্র পালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর এই উপলক্ষে গ্রামে মেলা বসেছে। অনেক বছর পর ছোটবেলাকে ফিরে পেয়ে খুশি এলাকার বয়স্করাও। রংবেরঙের পুতুলের নাচ, সেইসঙ্গে নানান বাদ্যযন্ত্রের শব্দ ও রংবেরঙের আলোর ঝলকানিতে নলকরা গ্রাম হয়ে উঠেছে পুতুল নাচের কেন্দ্রবিন্দু। আর তা দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন সুন্দরবনের বিভিন্ন দীপের মানুষজন। আসর হয়ে উঠছে জমজমাট।
ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা অভিনব পুতুল নাচ দেখে রীতিমতো উচ্ছ্বাসিত। তারা জানাচ্ছেন আমরা এর আগে কখনো এই ধরনের পুতুল নাচ দেখিনি। আধুনিক সভ্যতায় সোশ্যাল মিডিয়া গিলে খাচ্ছে বাচ্চাদের। তাই চোখের সামনে পুতুল নাচ দু’চোখ ভরে উপভোগ করছে ৮ থেকে ৮০। নতুন প্রজন্মের কাছে পুতুল নাচ একেবারে অভিনব। উত্তর ২৪ পরগণা যুক্তিবাদী বিজ্ঞান মঞ্চের সম্পাদক প্রদীপ্ত সরকার বলেন, “এখনো শিল্পীরা জীবন-জীবিকা ও রুজি-রোজগারের টানে এই শিল্পটাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। আমরা চাই গ্রামবাংলায় পুতুল নাচ আগের মতো ফিরে আসুক। মানুষের মননে শিশু মনের বিকাশ ঘটাতে এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।” একদিকে সামাজিক শিক্ষা অন্যদিকে শিশু মনের বিকাশ ঘটাতে পুতুল নাচ অনবদ্য ভূমিকা পালন করলো সুন্দরবনের প্রান্তিক মানুষের মননে।