পুরুলিয়া: চোখের সামনে বাবার বাটালির আঘাতে ‘খুন’ হয়েছিল মা। ছেলের সাক্ষ্যে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল বাবার। দীর্ঘ দিন ধরে চলা এই মামলায় বাবার শাস্তির খবর শুনে খুশি ছেলে। ঘটনাটি পুরুলিয়ার। শনিবার পুরুলিয়া জেলা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (প্রথম কোর্ট) অর্চিতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরুলিয়ার কেন্দা থানার ভাদশা গ্রামের চিত্তরঞ্জন মাহাতকে এই সাজা দেন। এতে প্রধান সাক্ষী ছিলেন চিত্তরঞ্জনের ছেলে মৃগাঙ্ক মাহাত। এদিন চিত্তরঞ্জন মাহাত-র বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার পর ছেলে মৃগাঙ্ক মাহাত জানায়, তাঁর বাবা যে অপরাধ করেছে তাতে সে এই শাস্তি পাওয়ারই যোগ্য।
মৃতার নাম অষ্টমী মাহাত। অষ্টমী ও চিত্তরঞ্জনের বৈবাহিক সম্পর্ক যে সুখকর ছিল না তা জানিয়েছে তাদেরই বড় ছেলে মৃগাঙ্ক মাহাত। মৃগাঙ্ক আরও জানায় যে তার মা-বাবার মধ্যে প্রায়শই অশান্তি লেগে থাকত। ২০১৮ সালে মনসা পুজোর দিন বাড়ির লোকের অলক্ষ্যে স্ত্রীকে বাটালি দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করে চিত্তরঞ্জন। স্ত্রীর বুকের ওপর বসে বাটালি দিয়ে কোপানোর সময় চিত্তরঞ্জনকে দেখে ফেলে ছেলে মৃগাঙ্ক। এদিন ঘটনার সাক্ষ্যও দেন মৃগাঙ্ক মাহাত।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে সরকারি পক্ষের আইনজীবী পার্থ সারথী রায় জানান, ২০১৮ সালের ১৭ অগস্ট মনসা পুজোর দিন নিজের স্ত্রীকে বাটালি দিয়ে কুপিয়ে খুন করে চিত্তরঞ্জন মাহাত। আইনজীবী আরও জানিয়েছেন, এই নৃশংস ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন তাদেরই বড় ছেলে মৃগাঙ্ক। তদন্তকারী অফিসার এস আই বাপন চন্দ্র মণ্ডলের তৎপরতায় দোষীর সাজা হয়েছে।
এদিন মৃগাঙ্ক আদালতে জানায়, তাঁর মা-বাবার মধ্যে সম্পর্ক ভাল ছিল না। সেদিন মায়ের বুকের উপর বসে বাটালি দিয়ে কোপাতে শুরু করে তার বাবা। এই সময় মৃগাঙ্ক ঘরে ঢুকে ঠেলে সরিয়ে দেয় তার বাবাকে। গুরুতর আহত অবস্থায় অষ্টমীকে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো যায়নি। ঘটনার পর পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে।
দীর্ঘ দিন ধরে এই ঘটনা নিয়ে মামলা চলছিল। শনিবার পুরুলিয়া জেলা আদালতে অভিযুক্তের যাবজ্জীবন ঘোষণা করেন বিচারক। এছাড়াও চিত্তরঞ্জন মাহাতকে দিতে হবে ১০,০০০ টাকা জরিমানা। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ আদালতের।
পুরুলিয়া: চোখের সামনে বাবার বাটালির আঘাতে ‘খুন’ হয়েছিল মা। ছেলের সাক্ষ্যে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল বাবার। দীর্ঘ দিন ধরে চলা এই মামলায় বাবার শাস্তির খবর শুনে খুশি ছেলে। ঘটনাটি পুরুলিয়ার। শনিবার পুরুলিয়া জেলা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (প্রথম কোর্ট) অর্চিতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরুলিয়ার কেন্দা থানার ভাদশা গ্রামের চিত্তরঞ্জন মাহাতকে এই সাজা দেন। এতে প্রধান সাক্ষী ছিলেন চিত্তরঞ্জনের ছেলে মৃগাঙ্ক মাহাত। এদিন চিত্তরঞ্জন মাহাত-র বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার পর ছেলে মৃগাঙ্ক মাহাত জানায়, তাঁর বাবা যে অপরাধ করেছে তাতে সে এই শাস্তি পাওয়ারই যোগ্য।
মৃতার নাম অষ্টমী মাহাত। অষ্টমী ও চিত্তরঞ্জনের বৈবাহিক সম্পর্ক যে সুখকর ছিল না তা জানিয়েছে তাদেরই বড় ছেলে মৃগাঙ্ক মাহাত। মৃগাঙ্ক আরও জানায় যে তার মা-বাবার মধ্যে প্রায়শই অশান্তি লেগে থাকত। ২০১৮ সালে মনসা পুজোর দিন বাড়ির লোকের অলক্ষ্যে স্ত্রীকে বাটালি দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করে চিত্তরঞ্জন। স্ত্রীর বুকের ওপর বসে বাটালি দিয়ে কোপানোর সময় চিত্তরঞ্জনকে দেখে ফেলে ছেলে মৃগাঙ্ক। এদিন ঘটনার সাক্ষ্যও দেন মৃগাঙ্ক মাহাত।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে সরকারি পক্ষের আইনজীবী পার্থ সারথী রায় জানান, ২০১৮ সালের ১৭ অগস্ট মনসা পুজোর দিন নিজের স্ত্রীকে বাটালি দিয়ে কুপিয়ে খুন করে চিত্তরঞ্জন মাহাত। আইনজীবী আরও জানিয়েছেন, এই নৃশংস ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন তাদেরই বড় ছেলে মৃগাঙ্ক। তদন্তকারী অফিসার এস আই বাপন চন্দ্র মণ্ডলের তৎপরতায় দোষীর সাজা হয়েছে।
এদিন মৃগাঙ্ক আদালতে জানায়, তাঁর মা-বাবার মধ্যে সম্পর্ক ভাল ছিল না। সেদিন মায়ের বুকের উপর বসে বাটালি দিয়ে কোপাতে শুরু করে তার বাবা। এই সময় মৃগাঙ্ক ঘরে ঢুকে ঠেলে সরিয়ে দেয় তার বাবাকে। গুরুতর আহত অবস্থায় অষ্টমীকে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো যায়নি। ঘটনার পর পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে।
দীর্ঘ দিন ধরে এই ঘটনা নিয়ে মামলা চলছিল। শনিবার পুরুলিয়া জেলা আদালতে অভিযুক্তের যাবজ্জীবন ঘোষণা করেন বিচারক। এছাড়াও চিত্তরঞ্জন মাহাতকে দিতে হবে ১০,০০০ টাকা জরিমানা। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ আদালতের।