Russia Navy Drill: তিন সাগরে পুতিনের ‘জুলাই র্স্টম’ কেড়ে নিল ইউরোপের ঘুম, তারপরই…

| Edited By: সোমনাথ মিত্র

Jul 25, 2025 | 7:00 PM

‘পুতিন সব সমুদ্রে নিজের নৌবহর পাঠিয়েছে দিয়েছেন। জুলাই র্স্টম সম্পর্কে আমরা শুধু এটুকুই জানি।’ আজ সকালে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সিকিউরিটি কমিটির প্রধান যখন এই বিবৃতি দিচ্ছেন, তখনও তার জানা নেই যে কিছুক্ষণ পর আরও একটা সারপ্রাইজ দিতে চলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। পুতিনের ঘোষণা, তেল- গ্যাস বিক্রি নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি নতুন নীতি ঘোষণা করবে রাশিয়া। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার নামে […]

‘পুতিন সব সমুদ্রে নিজের নৌবহর পাঠিয়েছে দিয়েছেন। জুলাই র্স্টম সম্পর্কে আমরা শুধু এটুকুই জানি।’ আজ সকালে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সিকিউরিটি কমিটির প্রধান যখন এই বিবৃতি দিচ্ছেন, তখনও তার জানা নেই যে কিছুক্ষণ পর আরও একটা সারপ্রাইজ দিতে চলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। পুতিনের ঘোষণা, তেল- গ্যাস বিক্রি নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি নতুন নীতি ঘোষণা করবে রাশিয়া। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার নামে যে খেলা চলছে, এবার তার পাল্টা দেওয়ার সময় এসেছে।

রুশ অর্থমন্ত্রক এদিন জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে ডলারের তুলনায় রুশ মুদ্রা রুবলের দাম ৪৫ শতাংশ বেড়েছে। যে কোনও দেশের তুলনায় সর্বোচ্চ বৃদ্ধি। এরপরেই সম্ভবত তেল-গ্যাস নিয়ে ইউরোপকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন পুতিন। এমনিতেই গতকাল ভোরে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রক ঘোষণা করে, প্রশান্ত মহাসাগর, আর্কটিক এবং বাল্টিক সাগরে নৌ-মহড়া শুরু করেছে রুশ নৌ-সেনা। পোশাকি নাম জুলাই র্স্টম। এবং সেই মহড়া অনির্দিষ্ট কাল চলবে। ১৫০ যুদ্ধজাহাজ, ১৫ হাজার নৌ সেনা নিয়ে এতবড় মহড়া ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে হয়নি। ৪০ ঘণ্টা পর, এখনও তিন সাগর দাপিয়ে মহড়া চলছে। ইউরোপা ডট ইনের প্রতিবেদনে দাবি, মিসাইল সজ্জিত হয়ে এইভাবে নৌ-মহড়া আসলে পুতিনের বহু পুরনো পরিকল্পনারই অংশ। তিন সাগরের প্রবেশ পথগুলির উপর নিরঙ্কুশ ক্ষমতা চাইছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। সেই সঙ্গে ইউরোপ ও আমেরিকাকে বুঝিয়ে দিচ্ছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতি হলেও রাশিয়া শক্তিহীন হয়ে পড়েনি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাশিয়ার থেকে তেল কেনা বন্ধ না করায় ভারতের একটি তেল শোধনাগারের উপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন। রাশিয়ার তেল ব্যবসার উপরও সাড়ে তিন বছর ধরে নিষেধাজ্ঞা ঝুলছে। তার পরেও ভারত- চিন- ব্রাজিলের মতো দেশ রুশ তেল কেনা বন্ধ করেনি। এমনকি সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞা চাপার পরেও ভারত রুশ নিয়ে পিছু হঠতে নারাজ। ভারতের পরিকল্পনা, প্রচলিত অয়েল রুটে তেল আমদানিতে জটিলতা হলে নতুন রুটে তেল ব্যবসা চলবে।