Sheikh Hasina, Bangladesh: বাংলাদেশ থেকে হাসিনা একা ভারতে আসেননি, নিয়ে এসেছেন বেশ কতগুলো সমস্যাও!

TV9 Bangla Digital | Edited By: সুপ্রিয় ঘোষ

Aug 06, 2024 | 11:05 PM

হাসিনা দেশ থেকে ভারতে একা আসেননি। সঙ্গে এনেছেন ভারতের জন্য একাধিক সমস্যা, একাধিক চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের সঙ্গে নানা সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নাইট ভিশন গ্লাস, এক্সটারনাল লুকিং ডিভাইস নিয়ে চলছে নজরদারি। ভারত-বাংলাদেশের ৯০০ কিলোমিটারের বেশি এলাকায় কোনও কাঁটাতার নেই। এই ৯০০ কিলোমিটার নিয়ে তাই আশঙ্কাও বেশি।

Follow Us

ভারতের মিশন ইমপসিবল টু পয়েন্ট ও। বাংলদেশে যা, যা হচ্ছে বা হতে চলেছে, ভারতের উপর তার কতটা প্রভাব পড়বে? ভারতই বা কতটা, কী করার মতো জায়গায় আছে? এসব নিয়ে ভাবতে গিয়েই নামটা মাথায় এল। প্রথমটা ১৯৭১ সালে। ইন্দিরা গান্ধী কার্যত অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন। এবার সেই একই দিক থেকে অন্যরকম চ্যালেঞ্জ।

কেন মিশন ইমপসিবল?

প্রথমত, হাসিনা দেশ থেকে ভারতে একা আসেননি। সঙ্গে এনেছেন ভারতের জন্য একাধিক সমস্যা, একাধিক চ্যালেঞ্জ। প্রথম চ্যালেঞ্জ – বাংলাদেশে জামাত ও কট্টরপন্থীদের রমরমা। যা ভারতের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড়সড় বিপদ। দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ – বাংলাদেশে একাধিক পরিকাঠামো প্রকল্পে ভারতের লগ্নি রয়েছে। সেগুলোর ভবিষ্যত নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। দ্বিতীয়ত, পাশের দেশে যদি ভারত বিরোধী সরকার থাকে, তা হলে সেটা বেশ সমস্যার। আর তিন নম্বর বিষয়টা তো আরও জটিল। ভারতপন্থী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বারবার শেখ হাসিনাকে আক্রমণ করেছে জামাতের মতো দল। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার মুখে একাধিকবার এই অভিযোগ শোনা গিয়েছে। হাসিনা এখন ভারতে, ভারত সরকারের আশ্রয়ে। বাংলাদেশের সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কি ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইবেন? যদি চান তাহলে ভারতের বিপদ বাড়বে বই কমবে না। ব্রিটেন এদিনই জানিয়ে দিয়েছে এখনই হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। ব্রিটিশ বিদেশ দফতরের বক্তব্য তাদের আইনে আশ্রয়প্রার্থীকে প্রথমে নিকটবর্তী দেশে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করতে হয়। হাসিনা দূর দেশে রয়েছেন। এই অবস্থায় ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয়ের প্রশ্ন উঠছে না। এখানে ভারত বা শেখ হাসিনা, কারও নাম করা হয়নি। তবে যা বলার তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, ইউরোপের আরও দুটি দেশে যেতেও হাসিনা রাজি ছিলেন। কিন্তু তাদের তরফেও ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। এমনকি আমেরিকাও এদিন সন্ধেয় রাতারাতি হাসিনার ডিপ্লোম্যাটিক ভিসা বাতিল করে দেয়। মানে রাতারাতি নাটকীয় কিছু না হলে ভারত থেকে অন্য দেশে হাসিনার আশ্রয় পাওয়া এখনও অনিশ্চিত।

বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে তাকালে দেখা যাবে, সেখানে ভয়ঙ্কর অবস্থা। সোশাল মিডিয়া, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে যে খবর, ছবি উঠে আসছে, সেগুলো শিউরে ওঠার মতো। মঙ্গলবারও পুলিশ পেটানো, বাড়িতে আগুন দেওয়া, আওয়ামী লিগ নেতাদের উপর হামলা চলেছে। আর তাই আরও একটা বড় আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। ভারতের জন্য, আমাদের জন্য। ওদেশ থেকে নিরাপত্তার অভাবে মানুষ ভারতে ঢোকার চেষ্টা করলে কী হবে? আরও, আরও শরণার্থী এলে আমরা কীভাবে সামাল দেব?

বাংলাদেশের সঙ্গে নানা সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নাইট ভিশন গ্লাস, এক্সটারনাল লুকিং ডিভাইস নিয়ে চলছে নজরদারি। ভারত-বাংলাদেশের ৯০০ কিলোমিটারের বেশি এলাকায় কোনও কাঁটাতার নেই। এই ৯০০ কিলোমিটার নিয়ে তাই আশঙ্কাও বেশি। অনেক মানুষই ১৯৭১-এর পর আবার শরণার্থী ঢলের আশঙ্কা করছেন। তাঁদের মধ্যে মিশে ভারত বিরোধী শক্তিগুলোও যে এদেশে ঢুকে পড়বে না, তারই বা নিশ্চয়তা কোথায়? আমার কাছে এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এবং যথারীতি এই প্রশ্নের কোনও উত্তর নেই। সেনাপ্রধানের কথামতো বাংলাদেশে কাল থেকে অন্তবর্তী সরকার গঠনের কাজ শুরু হচ্ছে। রাষ্ট্রপতির নির্দেশে এদিনই মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। তিনি কি অন্তবর্তী সরকারে যোগ দেবেন? নাকি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বেই কাজ শুরু করবে অন্তবর্তী সরকার? সেজন্য আরও কিছুটা অপেক্ষা।

ভারতের মিশন ইমপসিবল টু পয়েন্ট ও। বাংলদেশে যা, যা হচ্ছে বা হতে চলেছে, ভারতের উপর তার কতটা প্রভাব পড়বে? ভারতই বা কতটা, কী করার মতো জায়গায় আছে? এসব নিয়ে ভাবতে গিয়েই নামটা মাথায় এল। প্রথমটা ১৯৭১ সালে। ইন্দিরা গান্ধী কার্যত অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন। এবার সেই একই দিক থেকে অন্যরকম চ্যালেঞ্জ।

কেন মিশন ইমপসিবল?

প্রথমত, হাসিনা দেশ থেকে ভারতে একা আসেননি। সঙ্গে এনেছেন ভারতের জন্য একাধিক সমস্যা, একাধিক চ্যালেঞ্জ। প্রথম চ্যালেঞ্জ – বাংলাদেশে জামাত ও কট্টরপন্থীদের রমরমা। যা ভারতের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড়সড় বিপদ। দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ – বাংলাদেশে একাধিক পরিকাঠামো প্রকল্পে ভারতের লগ্নি রয়েছে। সেগুলোর ভবিষ্যত নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। দ্বিতীয়ত, পাশের দেশে যদি ভারত বিরোধী সরকার থাকে, তা হলে সেটা বেশ সমস্যার। আর তিন নম্বর বিষয়টা তো আরও জটিল। ভারতপন্থী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বারবার শেখ হাসিনাকে আক্রমণ করেছে জামাতের মতো দল। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার মুখে একাধিকবার এই অভিযোগ শোনা গিয়েছে। হাসিনা এখন ভারতে, ভারত সরকারের আশ্রয়ে। বাংলাদেশের সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কি ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইবেন? যদি চান তাহলে ভারতের বিপদ বাড়বে বই কমবে না। ব্রিটেন এদিনই জানিয়ে দিয়েছে এখনই হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। ব্রিটিশ বিদেশ দফতরের বক্তব্য তাদের আইনে আশ্রয়প্রার্থীকে প্রথমে নিকটবর্তী দেশে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করতে হয়। হাসিনা দূর দেশে রয়েছেন। এই অবস্থায় ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয়ের প্রশ্ন উঠছে না। এখানে ভারত বা শেখ হাসিনা, কারও নাম করা হয়নি। তবে যা বলার তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, ইউরোপের আরও দুটি দেশে যেতেও হাসিনা রাজি ছিলেন। কিন্তু তাদের তরফেও ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। এমনকি আমেরিকাও এদিন সন্ধেয় রাতারাতি হাসিনার ডিপ্লোম্যাটিক ভিসা বাতিল করে দেয়। মানে রাতারাতি নাটকীয় কিছু না হলে ভারত থেকে অন্য দেশে হাসিনার আশ্রয় পাওয়া এখনও অনিশ্চিত।

বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে তাকালে দেখা যাবে, সেখানে ভয়ঙ্কর অবস্থা। সোশাল মিডিয়া, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে যে খবর, ছবি উঠে আসছে, সেগুলো শিউরে ওঠার মতো। মঙ্গলবারও পুলিশ পেটানো, বাড়িতে আগুন দেওয়া, আওয়ামী লিগ নেতাদের উপর হামলা চলেছে। আর তাই আরও একটা বড় আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। ভারতের জন্য, আমাদের জন্য। ওদেশ থেকে নিরাপত্তার অভাবে মানুষ ভারতে ঢোকার চেষ্টা করলে কী হবে? আরও, আরও শরণার্থী এলে আমরা কীভাবে সামাল দেব?

বাংলাদেশের সঙ্গে নানা সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নাইট ভিশন গ্লাস, এক্সটারনাল লুকিং ডিভাইস নিয়ে চলছে নজরদারি। ভারত-বাংলাদেশের ৯০০ কিলোমিটারের বেশি এলাকায় কোনও কাঁটাতার নেই। এই ৯০০ কিলোমিটার নিয়ে তাই আশঙ্কাও বেশি। অনেক মানুষই ১৯৭১-এর পর আবার শরণার্থী ঢলের আশঙ্কা করছেন। তাঁদের মধ্যে মিশে ভারত বিরোধী শক্তিগুলোও যে এদেশে ঢুকে পড়বে না, তারই বা নিশ্চয়তা কোথায়? আমার কাছে এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এবং যথারীতি এই প্রশ্নের কোনও উত্তর নেই। সেনাপ্রধানের কথামতো বাংলাদেশে কাল থেকে অন্তবর্তী সরকার গঠনের কাজ শুরু হচ্ছে। রাষ্ট্রপতির নির্দেশে এদিনই মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। তিনি কি অন্তবর্তী সরকারে যোগ দেবেন? নাকি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বেই কাজ শুরু করবে অন্তবর্তী সরকার? সেজন্য আরও কিছুটা অপেক্ষা।

Next Video