Smart Meter News: পুজোর পরেই স্মার্ট মিটার!
পুজোর পরেই বদলে যাচ্ছে বিদ্যুতের মিটার। ডিজিটাল মিটারের বদলে গ্রাহকের বাড়িতে বসতে চলেছে স্মার্ট মিটার। ইতিমধ্যেই জরিপ করার কাজ শেষ হয়েছে। একই সঙ্গে বদলে যাবে বিদ্যুৎ এর ট্যারিফ।
পুজোর পরেই বদলে যাচ্ছে বিদ্যুতের মিটার , ডিজিটাল মিটারের বদলে গ্রাহকের বাড়িতে বসতে চলেছে স্মার্ট মিটার। ইতিমধ্যেই জরিপ করার কাজ শেষ হয়েছে।একই সঙ্গে বদলে যাবে বিদ্যুৎ এর ট্যারিফ,আর এরই প্রতিবাদে বৈঁচি বিদ্যুৎ দপ্তরে আধিকারিকের কাছে ডেপুটেশন দিল সারা বাংলা বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতির বৈঁচি শাখা। সল্টলেক, রাজারহাট, গড়িয়া ও শ্রীরামপুর ডিভিশনের বেশকিছু জায়গায় স্মার্ট মিটার বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। পুজোর পরেই হুগলি জেলার বিভিন্ন এলাকায় বসতে চলেছে এই স্মার্ট মিটার। স্মার্ট মিটার চালু হলে গ্রাহকদের অসুবিধার মধ্যে পড়তে হবে বলে মনে করেন আন্দোলনকারীরা। তাদের মতে , স্মার্ট মিটার চালু হবার ফলে একজন গ্রাহকের বিদ্যুতের বিল কত পরিমাণ এসেছে, সেটা দেখে পরের মাসে বিদ্যুতের বিল জমা দেওয়া হয়। কিন্তু প্রিপেইড মিটার চালু হলে আগে দিতে হবে টাকা। সেই টাকা কবে বা কিভাবে শেষ হবে একজন গ্রাহক সেটি জানতে পারবেন না ।কারণ সে কোন মিটার রিডিং দেখতে পাবে না। যদিও তার এক সপ্তাহ আগে মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে জানতে পারবেন যে আপনার পয়সা শেষ হয়ে আসছে ,পয়সা জমা দিতে হবে। অথবা যদি রাত বারোটার পর টাকা শেষ হয়ে যায় সেক্ষেত্রে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। তার জন্য আগাম কোন নোটিশ বা বাড়ি গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে না। অর্থাৎ রিচার্জ শেষ হলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবে। আবার এর ফলে বিদ্যুৎ দপ্তরের অনেক কর্মী কর্মসংস্থান হারাবে।সেই সব পরিবারগুলিও সমস্যার মধ্যে পড়বে।বিদ্যুৎ বিলের যে ট্যারিফ রয়েছে তার পরিবর্তন হবে বলে জানানো হয়েছে।নতুন ট্যারিফে বোঝা চাপবে সাধারণ মানুষের উপর।এতদিন ফিক্সড চার্জ প্রতি কেভিএ র প্রতিমাসে ছিল ১৫ টাকা সেটা বেরে হবে ৩০ টাকা।মিনিমাম চার্জ এতদিন ছিল ২৮ টাকা সেটা বেরে হবে ৭৫ টাকা।এই ট্যারিফ গৃহস্তের জন্য ধার্য করা হয়েছে। তারই প্রতিবাদে ডেপুটেশন দেওয়া হয় বলে জানান হুগলি জেলা কমিটির সহ-সম্পাদক স্বপন দাস। তিনি আরো বলেন , আগামী দিনে সারা বাংলার ৪২৮ জন এসএম কাছে ডি এম ,আর এম সহ প্রত্যেককে জানাবো এবং সেপ্টেম্বরের মধ্যেই রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রীর কাছে এর প্রতিবাদ জানাবো। এ প্রসঙ্গে বৈঁচি বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিক পার্থ দত্ত বলেন, সটলেক গোরিয়া রাজারহাট শ্রীরামপুর ডিভিশনের বেশ কিছু জায়গায় স্মার্ট মিটার বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। বৈঁচি এলাকাতেও জরিপের কাজ শেষ হয়েছে । পুজো মিটলেই অর্থাৎ ডিসেম্বরের পর থেকেই কাজ শুরু হবে । স্মার্ট মিটার চালু হলে গ্রাহকদের বেশ কিছুটা সুবিধা হবে কতটা ইউনিট প্রতিদিন বিদ্যুৎ পুড়ছে কতটা বিল উঠছে সেটা তারা জানতে পারবে । অবৈধভাবে কেউ কিছু করছে কিনা সঙ্গে সঙ্গে তার ফোনে মেসেজ যাবে । সবটাই ডিজিটাল। অ্যাডভান্স টেকনোলজি দিয়ে তৈরি এই মিটার । তবে গ্রাহকদের কোন অসুবিধার মধ্যে পড়তে হবে না। এতে পরিষেবা অনেকটাই সুবিধা হবে। বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেই সেটি বিদ্যুৎ দপ্তরের কন্ট্রোলরুমের কাছে সঙ্গে সঙ্গে মেসেজ যাবে। এমনকি বাড়িতে কেউ না থাকলেও বাড়ির বিদ্যুতে কোন সমস্যা হলে সেটি বাড়ির গৃহকর্তার কাছে মেসেজ যাবে।।