৫০ বছর ধরে ভাঙ্গা ঘরে বসবাস, সামান্য হাওয়া এলেই বাড়ি ছেড়ে পালাতে হয়। একটি পাকা ঘর করার আশায় ছেলে ব্যাঙ্গালোরে কাছে গিয়েছিল। বাড়ি আসার পথে করমন্ডল এক্সপ্রেস এর দুর্ঘটনায় বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে সে। সরকারি ঘর পেলে আজকের দিনটা দেখতে হতো না, চোখে জল নিয়ে আক্ষেপ পরিবারের। তাদের পরিবার সম্পর্কে কিছুই জানেন না স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা। নদীয়ার শান্তিপুর থানার গয়েশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা সুজয় সিংহ রায়। দিনআনা দিন খাওয়া সংসারে একমাত্র উপার্জন করার মানুষ তার বাবা। কোনরকম ভাবে আধ পেটা খেয়ে সংসার চলে তার ওপর পড়াশুনার খরচ চালাবেন কি করে। বাধ্য হয়ে মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করে কাজের পথ বেছে নিতে হয়েছে সুজয় কে। দেড় বছর ধরে ব্যাঙ্গালোরের একটি হোটেলে দিনমজুরের কাজ করত সে। দিন কয়েক ধরে তার শারীরিক সমস্যা হচ্ছিল, সে কারণে ওখানকার একাধিক ডাক্তার কেউ দেখিয়েছিলেন। শরীর সুস্থ না হওয়ায় সে বাড়ি ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। গতকাল বাড়ি ফেরার সময় উড়িষ্যার বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। গুরুতর জখম অবস্থায় অন্য একটি মোবাইল থেকে সে বাড়িতে ফোন করে এবং নিজের পরিস্থিতির কথা জানায়। বাড়িতে খবর আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার। সুজয়ের বোন রুপসা সিংহ রায় বলেন, আমি প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিলাম হঠাৎ একটি নাম্বার থেকে আমাকে ফোন করা হয়। আমি ফোনটা ধরার পর দাদা নিজেই বলে আমি অ্যাক্সিডেন্ট করে পড়ে রয়েছি। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে আছি। এটুকুই কথা হয় দাদার সঙ্গে। তিনি বলেন প্রথমে ভেবেছিলাম আমার দাদা হয়তো মিথ্যা কথা বলছে। কিন্তু পরবর্তীকালে জানতে পারি সত্যিই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। সুজয়ের মা সুজাতা সিংহ রায় বলেন, আমার মেয়ে পড়তে গেছিল প্রথমেই পড়ার থেকে এসে আমাকে বলে দাদা এক্সিডেন্ট করেছে। তিনি আরো বলেন, সংসারের অর্থনৈতিক দিক থেকে হাল ফেরত এবং ঘরটা পাকাপোক্ত করতেই ছেলে বছর ধরেই ব্যাঙ্গালোরে একটি হোটেলে কাজ করে। বেশ কয়েকদিন ধরে পেটে ব্যথার কারণে ও বাড়িতে আসছিল। আমরা চাই প্রশাসন যত দ্রুত সম্ভব আমার ছেলেকে সুস্থ ভাবে ফিরিয়ে আনুক। সুজয়ের বাবা সারদা সিংহ রায় দাবী করেন, কোনরকম ভাবে আমার একার উপার্জন এই সংসার চলত। তার ওপর ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে ৫০ বছর ধরে এই ভাঙ্গা ঘরে বসবাস করছি। একাধিক বার পঞ্চায়েত মেম্বার থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত অফিসে কাগজপত্র জমা দিয়েছি। কিন্তু কোনরকম সরকারি পরিষেবা পায়নি। ঝড় বৃষ্টির মধ্যে চরম আতঙ্কে থাকি আমরা। একটু জোরে হাওয়া দিলেই নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্যের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয়। শুধুমাত্র একটি ঘরের জন্য আমার ছেলেকে ভিন রাজ্যে যেতে হয়েছে। আর যদি পঞ্চায়েতের মাধ্যমে সরকারি ঘরটা পেতাম তাহলে এই দিনটি দেখতে হতো না। তবে এ বিষয়ে চাঞ্চল্যকর দাবী করেছেন ওই এলাকার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা পূজা ঘোষ। তিনি জানেন না তার এলাকায় সুজয় নামে একটি ছেলে ট্রেন দুর্ঘটনা কবলে পড়েছেন। কেন ঘর পাইনি সেই প্রশ্ন করতে তিনি বলেন, আমি নামমাত্র পঞ্চায়েত সদস্য। কাজ করে ওই এলাকার অন্যান্য তৃণমূল মাতব্বররা। আমাকে কিছুই করতে দেয় না। আমি নিজেই কোন পরিষেবা পাই না। পঞ্চায়েত ভোটেও দাঁড়াতে আমি রাজি ছিলাম না আমাকে জোর করে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
৫০ বছর ধরে ভাঙ্গা ঘরে বসবাস, সামান্য হাওয়া এলেই বাড়ি ছেড়ে পালাতে হয়। একটি পাকা ঘর করার আশায় ছেলে ব্যাঙ্গালোরে কাছে গিয়েছিল। বাড়ি আসার পথে করমন্ডল এক্সপ্রেস এর দুর্ঘটনায় বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে সে। সরকারি ঘর পেলে আজকের দিনটা দেখতে হতো না, চোখে জল নিয়ে আক্ষেপ পরিবারের। তাদের পরিবার সম্পর্কে কিছুই জানেন না স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা। নদীয়ার শান্তিপুর থানার গয়েশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা সুজয় সিংহ রায়। দিনআনা দিন খাওয়া সংসারে একমাত্র উপার্জন করার মানুষ তার বাবা। কোনরকম ভাবে আধ পেটা খেয়ে সংসার চলে তার ওপর পড়াশুনার খরচ চালাবেন কি করে। বাধ্য হয়ে মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করে কাজের পথ বেছে নিতে হয়েছে সুজয় কে। দেড় বছর ধরে ব্যাঙ্গালোরের একটি হোটেলে দিনমজুরের কাজ করত সে। দিন কয়েক ধরে তার শারীরিক সমস্যা হচ্ছিল, সে কারণে ওখানকার একাধিক ডাক্তার কেউ দেখিয়েছিলেন। শরীর সুস্থ না হওয়ায় সে বাড়ি ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। গতকাল বাড়ি ফেরার সময় উড়িষ্যার বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। গুরুতর জখম অবস্থায় অন্য একটি মোবাইল থেকে সে বাড়িতে ফোন করে এবং নিজের পরিস্থিতির কথা জানায়। বাড়িতে খবর আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার। সুজয়ের বোন রুপসা সিংহ রায় বলেন, আমি প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিলাম হঠাৎ একটি নাম্বার থেকে আমাকে ফোন করা হয়। আমি ফোনটা ধরার পর দাদা নিজেই বলে আমি অ্যাক্সিডেন্ট করে পড়ে রয়েছি। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে আছি। এটুকুই কথা হয় দাদার সঙ্গে। তিনি বলেন প্রথমে ভেবেছিলাম আমার দাদা হয়তো মিথ্যা কথা বলছে। কিন্তু পরবর্তীকালে জানতে পারি সত্যিই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। সুজয়ের মা সুজাতা সিংহ রায় বলেন, আমার মেয়ে পড়তে গেছিল প্রথমেই পড়ার থেকে এসে আমাকে বলে দাদা এক্সিডেন্ট করেছে। তিনি আরো বলেন, সংসারের অর্থনৈতিক দিক থেকে হাল ফেরত এবং ঘরটা পাকাপোক্ত করতেই ছেলে বছর ধরেই ব্যাঙ্গালোরে একটি হোটেলে কাজ করে। বেশ কয়েকদিন ধরে পেটে ব্যথার কারণে ও বাড়িতে আসছিল। আমরা চাই প্রশাসন যত দ্রুত সম্ভব আমার ছেলেকে সুস্থ ভাবে ফিরিয়ে আনুক। সুজয়ের বাবা সারদা সিংহ রায় দাবী করেন, কোনরকম ভাবে আমার একার উপার্জন এই সংসার চলত। তার ওপর ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে ৫০ বছর ধরে এই ভাঙ্গা ঘরে বসবাস করছি। একাধিক বার পঞ্চায়েত মেম্বার থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত অফিসে কাগজপত্র জমা দিয়েছি। কিন্তু কোনরকম সরকারি পরিষেবা পায়নি। ঝড় বৃষ্টির মধ্যে চরম আতঙ্কে থাকি আমরা। একটু জোরে হাওয়া দিলেই নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্যের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয়। শুধুমাত্র একটি ঘরের জন্য আমার ছেলেকে ভিন রাজ্যে যেতে হয়েছে। আর যদি পঞ্চায়েতের মাধ্যমে সরকারি ঘরটা পেতাম তাহলে এই দিনটি দেখতে হতো না। তবে এ বিষয়ে চাঞ্চল্যকর দাবী করেছেন ওই এলাকার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা পূজা ঘোষ। তিনি জানেন না তার এলাকায় সুজয় নামে একটি ছেলে ট্রেন দুর্ঘটনা কবলে পড়েছেন। কেন ঘর পাইনি সেই প্রশ্ন করতে তিনি বলেন, আমি নামমাত্র পঞ্চায়েত সদস্য। কাজ করে ওই এলাকার অন্যান্য তৃণমূল মাতব্বররা। আমাকে কিছুই করতে দেয় না। আমি নিজেই কোন পরিষেবা পাই না। পঞ্চায়েত ভোটেও দাঁড়াতে আমি রাজি ছিলাম না আমাকে জোর করে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে।