South 24 Parganas: পুকুরের মাছেও তোলা!
সরকারি পুকুরের মাছ বিক্রির টাকার 'অর্ধেক' ভাগ দিতে হবে তৃণমূলকে। কিন্তু এলাকাবাসী রাজি হয়নি। যার জেরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি বিধানসভার নগেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব শ্রীধরপুরের একটি সরকারি পুকুরের দখল নিল তৃণমূল।
সরকারি পুকুরের মাছ বিক্রির টাকার ‘অর্ধেক’ ভাগ দিতে হবে তৃণমূলকে। কিন্তু এলাকাবাসী রাজি হয়নি। যার জেরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি বিধানসভার নগেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব শ্রীধরপুরের একটি সরকারি পুকুরের দখল নিল তৃণমূল। ওই এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত শুক্রবার পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা রাজকৃষ্ণ বৈরাগী দলবল নিয়ে এসে ব্যাপক বোমাবাজি শুরু করেন। পরে ওই পুকুরের চারপাশে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে দেয়। পাশাপাশি ওই পুকুরে নামলে মারধর করার হুমকি দিয়ে যায় তৃণমূলের নেতা ও তার দলবলেরা। গত তিন দিন ধরে ওই পুকুরে ব্যবহার করতে না পারায় সমস্যায় পড়েছেন ওই এলাকার ২০ থেকে ২২টি পরিবারের শতাধিক বাসিন্দা। এই এলাকাটি সুন্দরবনের নদী তীরবর্তী গ্রাম হওয়ায় মিষ্টি জলের আকাল রয়েছে। সেজন্য গত ১৫ বছর আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি বিধানসভার নগেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে সরকারি জমিতে একটি বিশালাকার পুকুর কাটা হয়েছিল। ওই এলাকার বাসিন্দাদের স্নান, রান্না সহ গেরস্থালির জলের একমাত্র ভরসা এই পুকুর। অন্যদিকে এই পুকুরে মাছ চাষের টাকা ব্যয় করা হত এলাকার পুজার্চনায়। পুকুরের জল ব্যবহার করতে না দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা রাজকৃষ্ণ বৈরাগী বলেন, ‘এখন তৃণমূল ক্ষমতায়। তাই ওই পুকুরের মাছ বিক্রির টাকার অর্ধেক ভাগ তৃণমূলকে দিতে হবে। ওই গ্রামের লোক রাজি না হওয়ায় মাছ ধরা বন্ধ করে দিয়েছি। আগে বোঝাবুঝি হোক।’ তবে তিনি বোমাবাজি ও পতাকা লাগানোর কথাও অস্বীকার করেন। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসায় শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। বিজেপি নেতা পলাশ রানার অভিযোগ, ‘সব কিছু দখল করে নিতে চায় তৃণমূল। সেজন্য সরকারি পুকুরে পতাকা লাগিয়ে দখল করেছে। মানুষকে ব্যবহারও করতে দিচ্ছে না। এর বিরুদ্ধে আগামী দিনে এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলবে।’ তবে অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি বাপি হালদার অবশ্য বলেছেন, ‘কেউ পতাকা লাগালে তা দলের সম্পত্তি হয়ে যায় না। ওই এলাকার মানুষের সমস্যা হলে প্রশাসনের দারস্থ হোক।’