FIFA World Cup 2022: লেওয়ানডস্কিদের সমর্থনে ২ দেশ
লেওয়ানডস্কিরা শুধু নিজেদের দেশের সমর্থন পাচ্ছেন না। তাঁরাই বোধহয় এই বিশ্বকাপে একমাত্র দেশ, যাঁরা পাচ্ছেন দুটো দেশের জোরালো সমর্থন।
এ বারের কাতার বিশ্বকাপ ইউক্রেনবাসীর কাছে শান্তির বার্তা এনে দিয়েছে। ক্রমাগত বিমান হামলার সাইরেন, রাশিয়ানদের ক্ষেপনাস্ত্র হামলা থেকে কদিন নিজেদের ভুলিয়ে রাখতে পারবেন তারা। কঠোর বাস্তবতাকে ভুলে বিশ্বকাপকে স্বাগত জানাবেন তাঁরা। দেশের যা পরিস্থিতি, তাতে এবারের বিশ্বকাপ নিয়ে আগ্রহ কম ইউক্রেনে। তার উপর নিজেদের দেশ নেই এই বিশ্বকাপে রাশিয়ার জন্য ইউক্রেন কি আদৌ বিশ্বকাপ দেখতে পাবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। কেন?
রাশিয়া ইউক্রেনের বিদুৎ সরবরাহতেও সমস্য়া সৃষ্টি করেছে। বিদ্য়ুৎ ঘাটতি এবং ব্ল্য়াকআউটেরও সমস্য়ার সৃষ্টি হয়েছে দেশজুড়ে। তাই বিশ্বকাপ কতটা দেখতে পাবেন ইউক্রেনবাসী, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। ২৬ বছরের ম্য়ানচেস্টার সিটির ভক্ত ভলোদিমির ম্য়াকলিয়ভ। যিনি মূলত খারকিভের বাসিন্দা। এখন পশ্চিম ইউক্রেনে বসবাস করছেন। তিনি বলছেন, বিশ্বকাপে যদি ইউক্রেন থাকত, তবে দেশকেই সমর্থন করতেন। এখন নেই, তার সমর্থন যাবে পোল্য়ান্ড এবং ইংল্য়ান্ডের দিকে। কেন পোল্যান্ডকে সমর্থন করছেন ম্যাকলিয়ভের মত হাজার হাজার ইউক্রেনবাসী? প্রসঙ্গত, ২৪শে ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের উপর আক্রমণ হানে রাশিয়া। সেই সময় পোল্য়ান্ড প্রায় ১.৫ মিলিয়ন ইউক্রেনীয় শরণার্থীকে জায়গা দিয়েছিল সেদেশে। সঙ্গে ইউক্রেনকে স্বাভাবিকজীবনে ফিরিয়ে আনতে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার সহায়তা করেছিল। যুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা পরিবারকে সাহায্য় করেছিল পোল্যান্ড। তাই কিয়েভের বাসিন্দা এরফান কুদুসভ সমর্থন করবেন পোল্য়ান্ডকেই।
শুধু ইউক্রেনের সাধারণ মানুষই নন, প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রাক্তন উপদেষ্টা ইগর নোভিকভও সমর্থন করছেন পোল্যান্ডকে।”পোল্য়ান্ডকেই সমর্থন করব।” সর্ব সমক্ষে জানিয়েছেন তিনি।
লেওয়ানডস্কিরা শুধু নিজেদের দেশের সমর্থন পাচ্ছেন না। তাঁরাই বোধহয় এই বিশ্বকাপে একমাত্র দেশ, যাঁরা পাচ্ছেন দুটো দেশের জোরালো সমর্থন। যুদ্ধ কত কিছু বদলে দেয়, তাই না!