Weather Update, Thunderstorm Death: বাড়ছে বজ্রপাতে মৃতের সংখ্যা, মৃত্যু কমানোর উপায় কী?
Lightning Death: বিদ্যুতের ঝলক দেখার তিরিশ সেকেন্ডের মধ্যে বাজের শব্দ পেলে আগামী ৩০ মিনিট বাইরে না বেরোনই ভাল। পাশাপাশি, বজ্রপাতের সময় গাছের নিচে, খোলা আকাশের নিচে, পাহাড়ে বা সৈকতে না থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ।
গত কয়েক দিনে আমাদের রাজ্যে বজ্রপাতে কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে সেই তথ্য দেখেছেন? সংখ্যাটা শুনলে চমকে যাবেন আপনিও। এক জন বা দু’জন নয়। গতকাল, শুধু গতকাল ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরেই এই রাজ্যে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে বজ্রপাতে। ফেব্রুয়ারি মাসের ২ তারিখ ২ জন, মার্চের প্রথম দিন ১ জন। এপ্রিলের ৪ তারিখ ৪ জন। মে মাসের ৬ তারিখ ৯ জন, মে মাসের ১৪ তারিখ ১ জন এবং মে মাসের ১৬ অর্থাত্ গতকাল ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বাজ পড়ে। হাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, প্রতি বছর বজ্রপাতের সংখ্যা বাড়ছে আমাদের দেশে এবং আমাদের রাজ্যে। এবং তার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ব্রজপাতে মৃতের সংখ্যা। ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট অবজারভিং সিস্টেম প্রোমোশন কাউন্সিলের দাবি, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য এই শতাব্দীতে ৫০ শতাংশ বাড়তে পারে বজ্রপাত। এখন দেশের অন্যতম বজ্রপাত প্রবণ রাজ্য হল পশ্চিমবঙ্গ। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য প্রতিবছর ৩৫ শতাংশ বজ্রপাত বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গেও।
আবহাওয়া নিয়ে গবেষণা বলছে গোটা বিশ্বে ব্রজপাত বাড়বে। আমাদের রাজ্যও ছাড় পাবে না। আর ভয়টা এখানেই। বজ্রপাত বাড়লে মৃত্যুও কী বাড়বে? কোনও উপায় নেই এই মৃত্যু আটকানোর? আছে। একটাই উপায় আছে মৃত্যুর সংখ্যা কমানোর। আর সেটা সঠিক সচেতনতা। আবহবিদরা সাধারণ মানুষের জন্য কয়েকটা উপায়ের কথা বলছেন। বিদ্যুতের ঝলক দেখার তিরিশ সেকেন্ডের মধ্যে বাজের শব্দ পেলে আগামী ৩০ মিনিট বাইরে না বেরোনই ভাল। পাশাপাশি, বজ্রপাতের সময় গাছের নিচে, খোলা আকাশের নিচে, পাহাড়ে বা সৈকতে না থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ। এই সময় কংক্রিটের ছাদের নীচে থাকাটাই সব থেকে সুরক্ষিত বলা যায়। কিন্তু সেখানেও কিছু বিষয়ে নজর রাখা খুব জরুরি। যেমন জানালার পাশে না থাকা, ইলেকট্রনিক ডিভাইস কম ব্যবহার কারা বাঞ্ছনীয়।