বয়স হয়নি বলা যাবে না, উনষাট হয়ে গেছে। পৃথিবী থেকে রওনা হওয়ার সময় ওজন ছিল তেষট্টি কেজি। কিন্তু এখন একি দশা! চোয়াল ভাঙা, শরীর শীর্ণকায়। দেখে যেন মনে হচ্ছে কঙ্কালসার। তাহলে কি তিনি ভালো নেই? তিনি কি অসুস্থ? গত কয়েকদিনে নেট দুনিয়ায় এরকম সব নানা প্রশ্ন ঘুরছে। কেউ কেউ সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, এতো দেখছি হাড় আর চামড়া ছাড়া কিছুই নেই। সুনীতা উইলিয়মসের যে ছবি দেখা যাচ্ছে তা বহু মানুষের মনে আশঙ্কা তৈরি করেছে।
৫ জুন ফ্লোরিডা থেকে সুনীতা ও তাঁর সঙ্গী নভোশ্চর বুচ উইলমোরকে নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল বোয়িং স্টারলাইনার। মিশন ছিল আট দিনের। কিন্তু, স্পেসশিপ খারাপ হয়ে যাওয়ায় প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে দু-জন আটকে রয়েছেন। থাকতে হবে আরও বেশ কিছুদিন। সেই ফেব্রুয়ারি মাসে পৃথিবী থেকে ইলন মাস্কের স্পেস এক্সের রকেট গিয়ে সুনীতাদের ফিরিয়ে আনবে। ফলে, প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে যে, স্পেস স্টেশনে পর্যাপ্ত খাবার ও জল আছে তো। খাবারের অভাবে সুনীতা রোগা হয়ে যাচ্ছেন না তো। এইসব প্রশ্নের মুখে পড়ে নাসা দাবি করেছে সুনীতা পুরোপুরি সুস্থ আছেন। পৃথিবী থেকেই রোজ ডাক্তাররা তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, সুনীতা ও বুচ রোজ কমপক্ষে আট ঘণ্টা ঘুমোচ্ছেন। তাঁদের ওজন যাতে কমে না যায় সেজন্য স্পেস স্টেশনে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার ও পানীয়ের ব্যবস্থা করা আছে। খাবারের তালিকায় রয়েছে পিৎজা, মুরগির রোস্ট, চিংড়ি ও টুনা মাছ এবং শস্যদানা জাতীয় খাবার ও নানারকমের স্যুপ। এইসব খাবার আমেরিকার হিউস্টনের জনসন স্পেস সেন্টারের স্পেস ফুড সিস্টেম ল্যাবরেটরিতে তৈরি করা হয়েছিল। সবকিছু নিখুঁতভাবে পরীক্ষা করার পরই স্পেসশিপে খাবার তোলা হয়।
এখানে হয়তো কেউ কেউ বলবেন মহাকাশে পিৎজা?
ইসরোর এক প্রাক্তন বিজ্ঞানীর জানিয়েছেন, মহাকাশে খাওয়ার জন্য পিৎজা এমনভাবে তৈরি করা হয় যাতে রুটির গুঁড়ো না থাকে। কারণ রুটির গুঁড়ো থাকলে তা মহাকাশে ভেসে বেড়াবে। সেই গুঁড়ো মহাকাশচারীদের নাকে মুখে ঢুকে বিপত্তি বাধাতে পারে। একই কারণে, স্পেস স্টেশনের ফুড মেনুতে নুন, গোলমরিচও বাদ থাকে।
নাসা জানিয়েছে সুনীতাদের জন্য রোজ মাথাপিছু ১ কেজি ৭০০ গ্রাম খাবার ধরা আছে। মহাকাশচারীদের প্রত্যেকের দিনে এক গ্যালন জল লাগে। ৫৩০ গ্যালন জলের ট্যাঙ্ক রয়েছে মহাকাশ স্টেশনে। ফলে, জল-খাবার, কোনও কিছুরই অভাব নেই। অন্যদিকে, মহাকাশ থেকে সুনীতা নিজেই জানান যে তিনি ভাল আছেন, সুস্থ এবং স্বাভাবিক রয়েছেন। চিন্তার কোনও কারণ নেই। দীর্ঘদিন মহাকাশে থাকায় বডি ফ্লুইড সব মাথায় গিয়ে জমেছে। ফলে, শরীরের তুলনায় মাথা বড় দেখাচ্ছে। সে কারণেই আমাকে দেখে রোগা লাগছে।
সুনীতা বলেছেন, তাঁর ওজন কমেনি, বরং বেড়েছে। যদিও, নাসার সোর্সকে কোট করে নিউইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, সুনীতা উইলিয়মসের ওজন কমে গেছে। সোভিয়েত ভাঙার সময়ে কাজাখস্তানের বৈকানুর থেকে মহাকাশে গিয়ে আটকে পড়েন সের্গেই ক্রিকালেভ। প্রায় ১ বছর পর পৃথিবীতে ফিরেছিলেন তিনি। ক্রিকালেভের গল্প প্রায় মিথ হয়ে গেছে। এখন তাঁর সঙ্গেই সুনীতাদের তুলনা টানছেন নেটিজেনরা।
বয়স হয়নি বলা যাবে না, উনষাট হয়ে গেছে। পৃথিবী থেকে রওনা হওয়ার সময় ওজন ছিল তেষট্টি কেজি। কিন্তু এখন একি দশা! চোয়াল ভাঙা, শরীর শীর্ণকায়। দেখে যেন মনে হচ্ছে কঙ্কালসার। তাহলে কি তিনি ভালো নেই? তিনি কি অসুস্থ? গত কয়েকদিনে নেট দুনিয়ায় এরকম সব নানা প্রশ্ন ঘুরছে। কেউ কেউ সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, এতো দেখছি হাড় আর চামড়া ছাড়া কিছুই নেই। সুনীতা উইলিয়মসের যে ছবি দেখা যাচ্ছে তা বহু মানুষের মনে আশঙ্কা তৈরি করেছে।
৫ জুন ফ্লোরিডা থেকে সুনীতা ও তাঁর সঙ্গী নভোশ্চর বুচ উইলমোরকে নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল বোয়িং স্টারলাইনার। মিশন ছিল আট দিনের। কিন্তু, স্পেসশিপ খারাপ হয়ে যাওয়ায় প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে দু-জন আটকে রয়েছেন। থাকতে হবে আরও বেশ কিছুদিন। সেই ফেব্রুয়ারি মাসে পৃথিবী থেকে ইলন মাস্কের স্পেস এক্সের রকেট গিয়ে সুনীতাদের ফিরিয়ে আনবে। ফলে, প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে যে, স্পেস স্টেশনে পর্যাপ্ত খাবার ও জল আছে তো। খাবারের অভাবে সুনীতা রোগা হয়ে যাচ্ছেন না তো। এইসব প্রশ্নের মুখে পড়ে নাসা দাবি করেছে সুনীতা পুরোপুরি সুস্থ আছেন। পৃথিবী থেকেই রোজ ডাক্তাররা তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, সুনীতা ও বুচ রোজ কমপক্ষে আট ঘণ্টা ঘুমোচ্ছেন। তাঁদের ওজন যাতে কমে না যায় সেজন্য স্পেস স্টেশনে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার ও পানীয়ের ব্যবস্থা করা আছে। খাবারের তালিকায় রয়েছে পিৎজা, মুরগির রোস্ট, চিংড়ি ও টুনা মাছ এবং শস্যদানা জাতীয় খাবার ও নানারকমের স্যুপ। এইসব খাবার আমেরিকার হিউস্টনের জনসন স্পেস সেন্টারের স্পেস ফুড সিস্টেম ল্যাবরেটরিতে তৈরি করা হয়েছিল। সবকিছু নিখুঁতভাবে পরীক্ষা করার পরই স্পেসশিপে খাবার তোলা হয়।
এখানে হয়তো কেউ কেউ বলবেন মহাকাশে পিৎজা?
ইসরোর এক প্রাক্তন বিজ্ঞানীর জানিয়েছেন, মহাকাশে খাওয়ার জন্য পিৎজা এমনভাবে তৈরি করা হয় যাতে রুটির গুঁড়ো না থাকে। কারণ রুটির গুঁড়ো থাকলে তা মহাকাশে ভেসে বেড়াবে। সেই গুঁড়ো মহাকাশচারীদের নাকে মুখে ঢুকে বিপত্তি বাধাতে পারে। একই কারণে, স্পেস স্টেশনের ফুড মেনুতে নুন, গোলমরিচও বাদ থাকে।
নাসা জানিয়েছে সুনীতাদের জন্য রোজ মাথাপিছু ১ কেজি ৭০০ গ্রাম খাবার ধরা আছে। মহাকাশচারীদের প্রত্যেকের দিনে এক গ্যালন জল লাগে। ৫৩০ গ্যালন জলের ট্যাঙ্ক রয়েছে মহাকাশ স্টেশনে। ফলে, জল-খাবার, কোনও কিছুরই অভাব নেই। অন্যদিকে, মহাকাশ থেকে সুনীতা নিজেই জানান যে তিনি ভাল আছেন, সুস্থ এবং স্বাভাবিক রয়েছেন। চিন্তার কোনও কারণ নেই। দীর্ঘদিন মহাকাশে থাকায় বডি ফ্লুইড সব মাথায় গিয়ে জমেছে। ফলে, শরীরের তুলনায় মাথা বড় দেখাচ্ছে। সে কারণেই আমাকে দেখে রোগা লাগছে।
সুনীতা বলেছেন, তাঁর ওজন কমেনি, বরং বেড়েছে। যদিও, নাসার সোর্সকে কোট করে নিউইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, সুনীতা উইলিয়মসের ওজন কমে গেছে। সোভিয়েত ভাঙার সময়ে কাজাখস্তানের বৈকানুর থেকে মহাকাশে গিয়ে আটকে পড়েন সের্গেই ক্রিকালেভ। প্রায় ১ বছর পর পৃথিবীতে ফিরেছিলেন তিনি। ক্রিকালেভের গল্প প্রায় মিথ হয়ে গেছে। এখন তাঁর সঙ্গেই সুনীতাদের তুলনা টানছেন নেটিজেনরা।