AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Attack on TMC councilor: কেন নিশানায় সুশান্ত? কসবার মাটিতেই লুকিয়ে রহস্য?

Attack on TMC councilor: কেন নিশানায় সুশান্ত? কসবার মাটিতেই লুকিয়ে রহস্য?

সঞ্জয় পাইকার

|

Updated on: Nov 16, 2024 | 10:45 PM

Share

Attack on TMC councilor: নিশানায় সেই সুশান্ত ঘোষ। এবার এক্কেবারে প্রাণঘাতী হামলার ছক! পিস্তল লক হয়ে যাওয়ায় কপাল জোরে বেঁচে যান কলকাতা পুরসভার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা ১২ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান। বাড়ির সামনে বসেছিলেন ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর। স্কুটারে করে আসে হামলাকারী।

কলকাতা: গ্রামের চেয়ে বড়। কিন্তু শহরের থেকে ছোট বসতি। নাম তার কসবা। যার আরও একটা অর্থ আছে, তা হল সমৃদ্ধ গ্রাম। বাস্তবের কসবার সমৃদ্ধির কী পরিচয়? নিত্য হানাহানি আর অশান্তি! সেই কসবা আবার উত্তপ্ত। টার্গেট সেই তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। ১২ নম্বর বরোর চেয়ারম্যানের মুখে কেন কসবায় ‘বহিরাগত মৌমাছি’ ? গুলির পিছনে ডাকাবুকো নেতা বড় মাথার কথা বলছেন। কে তিনি? কলকাতার মধ্যে শুধু কসবাতেই কেন এতবার শাসকের দ্বন্দ্ব? প্রশ্নই উঠেছে শাসক দলের কাউন্সিলরই যদি নিজের বাড়ির সামনেই হামলার মুখে পড়েন, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? কসবায় গুলি কাণ্ডেও কেন উঠে আসছে বিহার যোগের কথা?

নিশানায় সেই সুশান্ত ঘোষ। এবার এক্কেবারে প্রাণঘাতী হামলার ছক! পিস্তল লক হয়ে যাওয়ায় কপাল জোরে বেঁচে যান কলকাতা পুরসভার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা ১২ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান। বাড়ির সামনে বসেছিলেন ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর। স্কুটারে করে আসে হামলাকারী। স্কুটার থেকে নেমে অপারেশন। গুলি করে খুনের চেষ্টা। কিন্তু হামলার সময় গুলি না বেরোনোয় বেঁচে যান কসবার শাসক দলের নেতা।

এযাত্রায় রেহাই পেয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলর। তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও হামলা হয়েছে তাঁর উপর। ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর তপসিয়ায় জাভেদ খানের ‘অনুগামী’দের হাতে আক্রান্ত সুশান্ত। ২০২৩ সালের ৭ অগস্ট সুশান্ত ঘোষকে খুনের ‘হুমকি’ দিয়ে গ্রেফতার হন ২ অভিযুক্ত।

তাত্‍পর্যপূর্ণ বিষয় হল, তাঁর উপর হামলা নিয়ে কিন্তু বিরোধীদের দিকে আঙুল তোলেননি সুশান্ত ঘোষ। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছেন দলের একাংশ জড়িত। রাখঢাক না রেখে সুশান্তর ইঙ্গিত হামলার পিছনে আছে বড় মাথা!

আসলে গত কয়েক বছরে নিজের দলের নেতাদের সঙ্গেই যেন লড়তে হচ্ছে সুশান্তকে। তিনি যখন গতবার বরো চেয়ারম্যান হন, তখন সেদিন দেখা যায়নি কয়েকজন তৃণমূল কাউন্সিলরকে। আর পাশের ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর লিপিকা মান্নার সঙ্গে তাঁর কোন্দল তো সর্বজনবিদিত।

২০১০ ও ২০১৫: ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত
২০২১: সংরক্ষণের জন্য় ১০৭ থেকে সুশান্তকে সরতে হয় ১০৮-এ
২০২১: ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত লিপিকা মান্না
২০২১: ১০৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী সুশান্ত ঘোষ
২০২১: কলকাতা পুরসভার ১২ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান নির্বাচিত সুশান্ত
১০৭ ও ১০৮ নম্বর বারবার সুশান্ত ও লিপিকার অনুগামীদের সংঘাত

শুক্রবারের হামলার নেপথ্যে দলীয়ে কোন্দলের কথা উড়িয়ে দিলেও, নাম না করে লিপিকার প্রোমোটিং যোগের ইঙ্গিত করেছেন সুশান্ত। তবে লিপিকা অবশ্য বিতর্ক থেকে দূরে।

দুই কাউন্সিলর তাঁদের এলাকা ছেড়ে অন্যের ওয়ার্ডে হস্তক্ষেপ করায় এই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই আবহে দলীয় নেতৃত্ব নাকি সুশান্তকে পাশের ওয়ার্ডে যেতে বারণ করে। লক্ষ্মণরেখা টেনে দেন! হামলার পরই কার্যত নেতৃত্বের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন সুশান্ত ঘোষ।