Mumbai: পায়রা উড়বে না আর গেটওয়ে-র আকাশে? মুম্বই থেকে উধাও কবুতরখানা!
দুনিয়ার যে কোনও বড় শহরেরই একটা করে পরিচিতি থাকে। কলকাতার যেমন হাওড়া ব্রিজ। হায়দরাবাদের চারমিনার। দিল্লির ইন্ডিয়া গেট। লন্ডনের টেমস ব্রিজ। প্যারিসের আইফেল টাওয়ার। তেমনই মুম্বইয়ের গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া। ভেবে দেখুন তো গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ার সামনে ঝাঁকে ঝাঁকে পায়রাগুলোকে বাদ দিয়ে কি মুম্বই শহরকে কল্পনা করা যায়? পিছনে আরব সাগর। তার সামনে গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া। […]
দুনিয়ার যে কোনও বড় শহরেরই একটা করে পরিচিতি থাকে। কলকাতার যেমন হাওড়া ব্রিজ। হায়দরাবাদের চারমিনার। দিল্লির ইন্ডিয়া গেট। লন্ডনের টেমস ব্রিজ। প্যারিসের আইফেল টাওয়ার। তেমনই মুম্বইয়ের গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া। ভেবে দেখুন তো গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ার সামনে ঝাঁকে ঝাঁকে পায়রাগুলোকে বাদ দিয়ে কি মুম্বই শহরকে কল্পনা করা যায়? পিছনে আরব সাগর। তার সামনে গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া। আর তার সামনে উড়ন্ত পায়রার ঝাঁক। এ ছবিটাই তো মুম্বই। কত লক্ষ ক্যামেরায় কত লক্ষবার তোলা হয়েছে। তবে কী জানেন, আর কিছুদিন পর যদি আমি-আপনারা মুম্বই যাই, তাহলে হয়ত এই পায়রাদের আর দেখতে পাবো না। কারণ, সারা মুম্বই শহরের একান্নটা কবুতর খানা বন্ধ করে দিচ্ছে মহারাষ্ট্র
সরকার।
আইনসভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। তারপর বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কাছে নির্দেশও চলে গেছে। মুম্বই শহরে আর একটাও কবুতর খানা বা পায়রাদের খাওয়ানোর জায়গা থাকবে না। কারণ হল, পায়রারা আগে খবর বয়ে আনত। মর্ডান মেডিক্যাল স্টাডি বলছে, পায়রারা এখন বয়ে আনছে অসুখ। সম্প্রতি Indian Journal of Allergy, Asthma and Immunology-তে এনিয়ে লেখা বেরোয়। যাতে বলা হয়েছে পায়রাদের দেহরস, পালক ও তাদের গায়ে থাকা নানারকম পোকামাকড় মানুষকে অসুস্থ করে দিচ্ছে। ফুসফুসের রোগ হচ্ছে। পায়রার সংস্পর্শে এসে মানুষ অ্যাভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হচ্ছেন। পায়রার বিষ্ঠা খাবারে মিশে গিয়ে পেটের রোগ হচ্ছে। এমনকি পায়রার মলের অ্যাসিডিক কনন্টেন্ট বড় বড় বাড়ির লোহার কাঠামোকেও দুর্বল করে দিচ্ছে। ফলে, মুম্বইয়ে পায়রাদের খাওয়ানো বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মুম্বইয়ে যেসব জায়গায় পায়রাদের খাওয়ানো হয়, তার মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো দাদার কবুতর খানা। ১৯৩৩ সালে বাসস্ট্যান্ডের পাশে Valamji Ratanshi Vora নামে এক ব্যক্তি পায়রাদের খাওয়ানো শুরু করেন। কাছেই হিন্দু মন্দির, জৈন মন্দির এবং মসজিদ থাকায় ভক্তদের কাছে পায়রাকে খাওয়ানোটা পূণ্যলাভের
সঙ্গে জুড়ে যায়। দাদার কবুতর খানায় এতো পায়রা থাকে যে এখন ৬টা ট্রাস্ট তাদের জন্য রোজকার খাবারের ব্যবস্থা করে। পরবর্তীকালে পুরসভার ছাড়পত্র নিয়ে মুম্বই শহরে আরও অনেক পিজিয়ন ফিডিং স্পট তৈরি হয়। তবে, এখন মোট যে ৫১টা এরকম জায়গা আছে, তার অনেকগুলোই বেআইনি। সরকার বলে দিয়েছে, আইনি-বেআইনি সব পিজিয়ন ফিডিং স্পটই বন্ধ। চিকিত্সকরা এই নির্দেশকে স্বাগত জানাচ্ছেন। পায়রার অত্যাচারে অতিষ্ঠ মুম্বইবাসীর একাংশও খুশি। তথ্য বলছে, কবুতর খানার দৌলতে মুম্বই শহরে পায়রাদের সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েছে। কয়েক লক্ষ তো বটেই। এত পায়রা একসঙ্গে হঠাত খাবার না পেলে কী হবে, সে প্রশ্নও কিন্তু অনেকে তুলছেন। জনস্বাস্থ্য রক্ষার সঙ্গে একটা শহরের মানুষের সংস্কৃতির সংঘাত। কী আর করা যাবে বলুন। প্রথমটাকেই তো গুরুত্ব দিতে হবে। তবে, সবাই চাইছেন, পায়রার দৌরাত্ম্য একটু কমুক। কিন্তু, তাই বলে মুম্বইয়ের আকাশে পাখির উড়ান যেন বন্ধ হয়ে না যায়।
লোকে মেসিকে দেখতে গিয়েছিল, মেসির এক মাসিকে দেখে ফিরে এসেছে: সজল
'উপমুখ্যমন্ত্রী হবে হুমায়ুন...', ভোটের আগেই 'ফলাফল ঘোষণা' সজলের
খসড়া তালিকায় নাম আছে কি না, ওয়েবসাইটে খুঁজে না পেলে কীভাবে জানবেন
অপেক্ষা শুধু আজ রাতের, মঙ্গলেই দেখতে পাবেন আপনার নাম তালিকায় উঠল কি না

