WOW Momo: মাত্র ৩০হাজার থেকে কয়েক হাজার কোটির সম্পত্তি কীভাবে ওয়াও মোমোর?

TV9 Bangla Digital | Edited By: Nandan Paul

Jan 11, 2024 | 8:30 PM

WOW Momo: মাত্র ১৫ বছরে কলকাতার ৪ বাঙালি তৈরি করল ভারতের অন্যতম সেরা ব্র্যান্ড। মাত্র ৩০হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে শুরু করে আজ কত টাকার সম্পত্তি জানেন ওয়াও মোমোর?

Follow Us

মোমো খাইয়ে কোটিপতি। পাহাড়ি খাবার আজ হয়ে উঠল ভারতের অন্যতম প্রিয় খাবার।আর মোমো যেই সংস্থার মাধ্যমে ভারতে এত জনপ্রিয়, তা অবশ্যই মোমো। ফ্রায়েড মোমো, স্টিমড মোমো, প্যান ফ্রায়েড মোমো। মোমোর এত রকমারি। সেই রকমারির এত স্বাদ। আসমুদ্রহিমাচলে চেনাল এই ওয়াও মোমো সংস্থা। কীভাবে শুরু হল তাঁদের এই জয়যাত্রা? তার আগে জেনে নেব মোমোর কথা।

মোমো মানে কী?

মাংসে ভরা ভাপা ময়দার পুডিং। যা তিব্বতের একটি খাবার। বর্তমানে তিব্বত ছাড়িয়ে নেপাল ও ভারতে তুমুল জনপ্রিয়। শুরুতে চমরি গাইয়ের মাংস দিয়ে তৈরি হত মোমো। তবে ভারতে মোমোর পুর হিসেবে দেওয়া হয় চিকেন। এছাড়াও রয়েছে ভেজ মোমো। নেপালে আবার মোষের মাংস সহজলভ্য। তাই সেখানে মোষের মাংসের কিমা দিয়ে তৈরি মোমো মেলে। তবে নেপালের ব্রাক্ষণ ও ছেত্রী সম্প্রদায়ের কাছে একেবারে নিষিদ্ধ ছিল।

নয়ের দশের গোড়াতে নেপালে জন আন্দোলনের পরপরই নেওয়া সম্প্রদায়ের কাছে এই মোমো হয়ে ওঠে তুমুল জনপ্রিয়। কারণ খুবই সহজ। সস্তায় পুষ্টিকর। বানাতেও তেমন ঝকমারি নেই। পরবর্তীকালে একবিংশ শতকের গোড়ার দিকে কাঠমান্ডু থেকে বহু মানুষ আসতে থাকে এদেশে। তাঁদের সাথে আসতে থাকে মোমো। ভারতের প্রতিটি কোনায়, প্রতিটি প্রান্তে মোমো হয়ে ওঠে জনপ্রিয়। আজ যা জনপ্রিয়তার শিখরে। আর এই দেশব্যাপী ওয়াও মোমোর সফর শুরু হয়েছিল এই বাংলা থেকে। এই কলকাতা থেকে।

ওয়াও মোমোর পথ চলা শুরু হয় ২০০৮ সালে। ২০২১ এর ডিসেম্বরে ভারতের ১৯টি শহরে ৪২৫টি আউটলেট ওয়াও মোমোর। বর্তমানে এই সংস্থার ৩টি ব্র্যান্ড- ওয়াও মোমো, ওয়াও চায়না ও ওয়াও চিকেন।

ওয়াও মোমোর বং কানেকশন

২০০৮ সালে কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের দুই প্রাক্তনী সাগর দারইয়ানি ও বিনোদ হোমাগাই নতুন ব্যবসার কথা ভাবতে শুরু করেন। তখনই মাথায় আসে ওয়াও মোমোর কথা। দুই বন্ধু সাগর ও বিনোদের মোলাকাত হয় স্নাতক পড়ার সময়। ২০০৮ সাল। তখন তাঁদের বয়স মাত্র ২১। পকেটে পুঁজি বলতে মাত্র ৩০ হাজার টাকা! সেই শুরু ওয়াও মোমোর পথ চলা।

ওয়াও মোমোর প্রথম দোকান

একটি শপিংমলে ৬ফুট বাইট ৬ফুট দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা শুরু ওয়াও মোমোর। সাগর দারয়ানির লক্ষ্য ছিল মার্কেটিং ও ব্র্যান্ডের প্রসারের দিকে। বিনোদ হোমাগাইয়ের লক্ষ্য ছিল খাবারের মান অটুট রাখা। এরপরে এই দুই বন্ধুর সঙ্গে হাত মেলালেন আরও এক সেন্ট জেভিয়ার্সের প্রাক্তনী শাহ মিফতৌর রহমান। যাঁর দায়িত্ব ছিল আয়-ব্যয়ের সঠিক ব্যালেন্স। এরপর ২০১৮ সালে যোগ দিলেন তাঁদের কলেজের আরও এক প্রাক্তনী মুরলিকৃষ্ণান। যাঁর দায়িত্ব ছিল মার্কেটিং, ব্র্যান্ড বিল্ডিং। ৪ বন্ধুর মিলল হাত। ওয়াও মোমো ছড়াল ব্র্যান্ড।

আজকে দাঁড়িয়ে তাঁদের লাভের অঙ্ক জানেন? 

২০২১ সালে তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১২২৫ কোটি টাকা। শুধু ২০২৩ সালের শেষপর্যন্ত উপার্জন ৪৫০ কোটি। কে বলে কলকাতা তথা বাংলা ব্যবসার কথা ভাবতে পারে না! এ কলকাতার ৪ যুবক মিলে ভারতের ফুড ইন্ডাস্ট্রিতে তোলপাড় তুললেন মাত্র ১৫ বছরে,তাতে তো নতুন করে ভাবতে শুরু করতেই পারে এ বাংলার নয়া প্রজন্ম।

মোমো খাইয়ে কোটিপতি। পাহাড়ি খাবার আজ হয়ে উঠল ভারতের অন্যতম প্রিয় খাবার।আর মোমো যেই সংস্থার মাধ্যমে ভারতে এত জনপ্রিয়, তা অবশ্যই মোমো। ফ্রায়েড মোমো, স্টিমড মোমো, প্যান ফ্রায়েড মোমো। মোমোর এত রকমারি। সেই রকমারির এত স্বাদ। আসমুদ্রহিমাচলে চেনাল এই ওয়াও মোমো সংস্থা। কীভাবে শুরু হল তাঁদের এই জয়যাত্রা? তার আগে জেনে নেব মোমোর কথা।

মোমো মানে কী?

মাংসে ভরা ভাপা ময়দার পুডিং। যা তিব্বতের একটি খাবার। বর্তমানে তিব্বত ছাড়িয়ে নেপাল ও ভারতে তুমুল জনপ্রিয়। শুরুতে চমরি গাইয়ের মাংস দিয়ে তৈরি হত মোমো। তবে ভারতে মোমোর পুর হিসেবে দেওয়া হয় চিকেন। এছাড়াও রয়েছে ভেজ মোমো। নেপালে আবার মোষের মাংস সহজলভ্য। তাই সেখানে মোষের মাংসের কিমা দিয়ে তৈরি মোমো মেলে। তবে নেপালের ব্রাক্ষণ ও ছেত্রী সম্প্রদায়ের কাছে একেবারে নিষিদ্ধ ছিল।

নয়ের দশের গোড়াতে নেপালে জন আন্দোলনের পরপরই নেওয়া সম্প্রদায়ের কাছে এই মোমো হয়ে ওঠে তুমুল জনপ্রিয়। কারণ খুবই সহজ। সস্তায় পুষ্টিকর। বানাতেও তেমন ঝকমারি নেই। পরবর্তীকালে একবিংশ শতকের গোড়ার দিকে কাঠমান্ডু থেকে বহু মানুষ আসতে থাকে এদেশে। তাঁদের সাথে আসতে থাকে মোমো। ভারতের প্রতিটি কোনায়, প্রতিটি প্রান্তে মোমো হয়ে ওঠে জনপ্রিয়। আজ যা জনপ্রিয়তার শিখরে। আর এই দেশব্যাপী ওয়াও মোমোর সফর শুরু হয়েছিল এই বাংলা থেকে। এই কলকাতা থেকে।

ওয়াও মোমোর পথ চলা শুরু হয় ২০০৮ সালে। ২০২১ এর ডিসেম্বরে ভারতের ১৯টি শহরে ৪২৫টি আউটলেট ওয়াও মোমোর। বর্তমানে এই সংস্থার ৩টি ব্র্যান্ড- ওয়াও মোমো, ওয়াও চায়না ও ওয়াও চিকেন।

ওয়াও মোমোর বং কানেকশন

২০০৮ সালে কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের দুই প্রাক্তনী সাগর দারইয়ানি ও বিনোদ হোমাগাই নতুন ব্যবসার কথা ভাবতে শুরু করেন। তখনই মাথায় আসে ওয়াও মোমোর কথা। দুই বন্ধু সাগর ও বিনোদের মোলাকাত হয় স্নাতক পড়ার সময়। ২০০৮ সাল। তখন তাঁদের বয়স মাত্র ২১। পকেটে পুঁজি বলতে মাত্র ৩০ হাজার টাকা! সেই শুরু ওয়াও মোমোর পথ চলা।

ওয়াও মোমোর প্রথম দোকান

একটি শপিংমলে ৬ফুট বাইট ৬ফুট দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা শুরু ওয়াও মোমোর। সাগর দারয়ানির লক্ষ্য ছিল মার্কেটিং ও ব্র্যান্ডের প্রসারের দিকে। বিনোদ হোমাগাইয়ের লক্ষ্য ছিল খাবারের মান অটুট রাখা। এরপরে এই দুই বন্ধুর সঙ্গে হাত মেলালেন আরও এক সেন্ট জেভিয়ার্সের প্রাক্তনী শাহ মিফতৌর রহমান। যাঁর দায়িত্ব ছিল আয়-ব্যয়ের সঠিক ব্যালেন্স। এরপর ২০১৮ সালে যোগ দিলেন তাঁদের কলেজের আরও এক প্রাক্তনী মুরলিকৃষ্ণান। যাঁর দায়িত্ব ছিল মার্কেটিং, ব্র্যান্ড বিল্ডিং। ৪ বন্ধুর মিলল হাত। ওয়াও মোমো ছড়াল ব্র্যান্ড।

আজকে দাঁড়িয়ে তাঁদের লাভের অঙ্ক জানেন? 

২০২১ সালে তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১২২৫ কোটি টাকা। শুধু ২০২৩ সালের শেষপর্যন্ত উপার্জন ৪৫০ কোটি। কে বলে কলকাতা তথা বাংলা ব্যবসার কথা ভাবতে পারে না! এ কলকাতার ৪ যুবক মিলে ভারতের ফুড ইন্ডাস্ট্রিতে তোলপাড় তুললেন মাত্র ১৫ বছরে,তাতে তো নতুন করে ভাবতে শুরু করতেই পারে এ বাংলার নয়া প্রজন্ম।

Next Video