Latest Viral Video: ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। ডাক্তাররা বলে থাকেন, এমনকি সিগারেট বা বিড়ির প্যাকেটে পর্যন্ত লেখা থাকে। কিন্তু তারপরেও মানুষ ধূমপান করেন। সিগারেটের থেকেও আরও কয়েক গুণ বেশি ক্ষতিকারক হল গাঁজা। গঞ্জিকা সেবন মানুষকে আরও ভয়ঙ্কর পরিণতির দিকে ঠেলে দিতে পারে। কারণ, এটি একটি সাইকোঅ্যাক্টিভ ড্রাগ, যা মস্তিষ্ককে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। যদিও কিছু ওষুধ তৈরি করতেও গাঁজা ব্যবহৃত হয়। গাঁজা ব্যবহার করে ক্যানসারের মতো মারণ রোগও সেরে যেতে পারে বলে একাধিক গবেষণা থেকেও জানা গিয়েছে। কিন্তু সে যাই হোক না কেন, গাঁজার আসক্তি মানুষের মধ্যে মানসিক ব্যাধির সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু আজকাল কম বয়সীদের মধ্যে গঞ্জিকা সেবনের প্রবণতা অত্যন্ত বেশি। সম্প্রতি একটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, গাঁজার নেশায় আসক্ত একটি ছেলে বাড়িতে ধরা পড়ার পর তাঁর মা কী করলেন!
টুইটারে একটি ভিডিয়ো খুব ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, ইলেকট্রিক পোলে বাঁধা রয়েছে একটি ছেলেকে। আর সে চিৎকার করতে-করতে অঝোর কান্না কেঁদে চলেছে। এক মহিলাকেও দেখা গিয়েছে, ছেলেটির হাতে কিছু একটা ধরিয়ে চিৎকার করে বকুনি দিতে। তারপর ওই মহিলা তাঁর ছেলের মুখে কিছু একটা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন এবং ছেলেটি তাঁর মাকে আটকানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে।
এরপরই সেখানে আর একটি মেয়ে আসে। সে তখন ছেলেটির হাত দুটো চেপে ধরে এবং মহিলা তার ছেলের চোখে-মুখে লঙ্কার গুঁড়ো মাখাতে থাকেন। ছেলেটি কাঁদতেই থাকে। কিন্তু ওই মহিলা ও মেয়েটি তার প্রতি বিন্দুমাত্রও দয়া দেখায় না।
What happened when a mother found out that her 15-yr-old son was becoming a ganja addict? She came up with a unique treatment. Tie him to a pole & rub mirchi powder in his eyes & not untie him until he promises to quit. Incident in Kodad, #Suryapet dt, #Telangana. pic.twitter.com/Kw8FXaqtz7
— Krishnamurthy (@krishna0302) April 4, 2022
টুইটারের পোস্টটি থেকেই জানা গিয়েছে, তেলঙ্গানার কোদাদ এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছিল। ওই মহিলা আসলে ছেলেটির মা। আর মেয়েটি তার দিদি। এই কাণ্ড ঘটানোর আগে মহিলা জানতে পেরেছিলেন যে, তাঁর পুত্র গাঁজার নেশায় আসক্ত। সেই নেশা ছাড়াতেই তিনি ছেলেকে সবক শেখান— পেটের সন্তানকে ইলেকট্রিক পোলে বেঁধে তার চোখে ও মুখে লঙ্কার গুঁড়ো ঘষে দিয়ে। যতক্ষণ না ছেলে তার মা’কে কথা দেয় যে, সে জীবনে আর কখনও গাঁজা খাবে না, ততক্ষণ সে ওই অবস্থাতেই ইলেকট্রিক পোলে বাঁধা ছিল।
2022 সালের এপ্রিলে এই ভিডিয়োটি টুইটারে শেয়ার করা হয়েছিল। নতুন করে ঘটনাটি আবারও ভাইরাল হয়েছে। প্রতিবেদনটি লেখার সময় ভিডিয়োর ভিউ 434.1K। বহু মানুষ শেখানে মন্তব্য করেছেন। কেউ লিখেছেন, “এভাবে কখনও কারও নেশা ছাড়ানো যায় না।” কেউ আবার বলেছেন, “পেটের সন্তানের প্রতি কেউ এত নির্মম কীভাবে হতে পারে কে জানে!” শশাঙ্ক শেখর ঝাঁ নামের এক আইনজীবী সরাসরি NCPCR-কে ট্যাগ করে লিখেছেন, এই মহিলাদের বিরুদ্ধে কঠোরতম পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।