Watch Video: শাড়ি পরে পুত্রবধূর সঙ্গে জিমে ওয়ার্ক আউট ৫৬ বছরের শাশুড়ির, ‘অনুপ্রেরণা’ বলল ইন্টারনেট

Viral Video Today: বয়স তার ৫৬। তাতে কী, ওয়ার্ক আউট থেমে নেই। শাড়ি পরে পুত্রবধূকে সঙ্গে নিয়েই জিমে গিয়ে পুশআপ দিচ্ছেন, করছেন ওয়েট লিফ্টিংও।

Watch Video: শাড়ি পরে পুত্রবধূর সঙ্গে জিমে ওয়ার্ক আউট ৫৬ বছরের শাশুড়ির, অনুপ্রেরণা বলল ইন্টারনেট
অনুপ্রেরণা ছাড়া আর কী-ই বা বলা যায়।

| Edited By: সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়

Nov 21, 2022 | 7:52 PM

Latest Viral Video: শেখার কোনও বয়স নেই। শেখার জন্য অসময় বলেও কিছু হয় না। সেই কথাটাই অক্ষরে-অক্ষরে মেলালেন ৫৬ বছর বয়সী এক মহিলা। চেন্নাইয়ের ওই মহিলার ভিডিয়ো সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ভাইরাল হয়েছে। মহিলাকে দেখা গিয়েছে জিমে ওয়ার্ক আউট করতে। বৌমার সঙ্গেই তিনি রোজ জিমে আসেন এবং নিয়মিত ওয়ার্ক আউট করেন। ওয়ার্ক আউট মানে সে যা-খুশি ওয়ার্ক আউট নয়! তিনি রীতিমতো ওয়েট লিফ্টিংও করেন। জীবনে একাধিক চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও ফিট থাকার অনুপ্রেরণামূলক গল্পটি শেয়ার করেছেন ওই মহিলা। ভিডিয়োতেই দেখা গিয়েছে, তাঁর পুত্রবধূও সঙ্গে ওয়ার্ক আউট করছেন।

ইনস্টাগ্রামে ‘হিউম্যানস অফ ম্যাড্রাস’ নামক একটি পেজ থেকে ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয়েছে। ক্লিপটিতে ওই ৫৬ বছর বয়সী মহিলাকে ওয়ার্ক আউট করতে দেখা গিয়েছে। গত চার বছর ধরে তিনি জিমে ওয়ার্ক আউট করছেন বলে জানিয়েছেন। কারণ, তাঁর হাঁটুতে অনেক দিন ধরে ব্যথা হচ্ছিল। ছেলেকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, সমাধান কোন পথে? ছেলে জানায়, প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে।


তারপরই তিনি জিমে নাম লেখান, ৫২ বছর বয়সেই। পাওয়ারলিফ্ট, স্কোয়াট ইত্যাদি শুরু করেন। তাঁর এই জিম যাত্রা এবং প্রতিদিনের ব্যায়ামে সব সময় সঙ্গে দিয়ে এসেথেন পুত্রবধূ। তবে এই জিমটির মালিক তাঁরই পুত্র। তবে ভিডিয়োতে যে বিষয়টা নজর ঘোরাবে তা হল, মহিলা শাড়ি পরেই জিম করছেন।

ভিডিয়োর ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “মহিলার বয়স ৫৬। কিন্তু তাতে কী? তিনি শাড়ি পরেই পাওয়ারলিফ্ট করেন, পুশআপও দেন। বয়স কেবলই একটা সংখ্যামাত্র- এই ভিডিয়ো যেন তাই-ই প্রমাণ করল, প্রমাণ করলেন এক শাশুড়ি, যিনি সর্বক্ষণ সাহায্য পেয়ে গেলেন তাঁর পুত্রবধূর কাছ থেকে। একেই একসঙ্গে বড় হয়ে ওঠা বলে না?”

এক মিলিয়নেরও বেশি ভিউ হয়েছে এই ভিডিয়োর। ভিডিয়োটি দেখে নেটিজ়েনরা অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তার প্রমাণ মিলেছে ভিডিয়োর কমেন্ট সেকশনেই।

একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “এর থেকে বড় অনুপ্রেরণা আর কিছু হতে পারে না। শুধু অনুপ্রেরণাদায়কই নয়। প্রতিটা মহিলার স্টিরিওটাইপ ভেঙে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। তাই তো বলি, কখনও কোনও বই তার মলাট দেখে বিচার করবেন না।”

আর একজন যোগ করলেন, “খুব সম্প্রতি এর থেকে ভাল গল্প আমি শুনিনি।”