Viral Video: ফুচকার দোকানেও QR কোড, স্ক্যান করলেই বেরোচ্ছে ফুচকা, পছন্দসই টকজলও, ‘অবাক’ মেশিন দেখে নেটপাড়ায় হাসাহাসি!
Gol Gappa: দোকানের ফুচকার স্বাদ কিছুতেই বাড়ির বানানো ফুচকায় আসে না। তবে এবার যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফুচকা খান ভেন্ডিং মেশিন থেকেই
আমাদের দেশের অন্যতম জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড হল ফুচকা। কেউ তাকে আদর করে ডাকে গোলগাপ্পা, কেউ আবার বলে পানিপুরি। কিন্তু সর্বত্র এর স্বাদ যে সমান তা একেবারেই নয়। আর এই ফুচকা খেতে সকলেই ভালবাসেন। তরকারিতে সামান্তম ঝালও যে খেতে পারে না সেও কিন্তু পাতা হাতে দাঁড়িয়ে গপগপিয়ে খান পাঁচেক ফুচকা খেয়ে ফেলে। এই ফুচকার থেকে লোভ সামলানো কিন্তু খুবই কঠিন।
তবে লকডাউন আর করোনার আবহে খানিক ভাঁটা পড়েছে ফুচকা বিক্রিতে। রাস্তার খোলা খাবার অনেকেই এড়িয়ে চলছেন। তেমনই বহু মানষখ আছেন যাঁরা বাড়িতেই বানিয়ে নিচ্ছেন ফুচকা। তবে এবার ফুচকা খেতে আর লাইনে দাঁড়াতে হবে না কিংবা পাতা হাতে অপেক্ষাও করতে হবে না।
টকজল খাবেন নাকি মিঠা জলের ফুচকা, অপশনে বোতাম টিপলেই মেশিন থেকে বেরিয়ে আসবে ফুচকা। তবে থাকবে না কোনও ফুচকাকাকুও! অবাক হচ্ছেন? তবে এমনটাই ঘটেছে দিল্বিতে। দিল্লির এক ব্যক্তি বানিয়ে ফেলেছেন কনট্যাক্টলেস এই ফুচকার ভেন্ডিং মেশিনটি। আর যে মেশিন দেখে রীতিমত হতবাক সোশ্যাল মিডিয়া। সবারই ছোটবেলার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ফুচকা খাওয়ার নানা গল্প।
তবে গোলগাপ্পা বা ফুচকা তৈরি করার পর কিন্তু তা বেশিক্ষণ কিন্তু ফেলে রাখা যায় না। সঙ্গে সঙ্গেই খেতে হয়। যেহেতু কোভিড পরবর্তী সময়ে সকলেই খাদ্য এবং সুরক্ষার বিষয়ে অধিক নজর দিয়েছেন তাই অন্যের হাতে মাখা ফুচকা চট করে খেতে চাইছেন না। কারণ এতে সংক্রমণ ছড়ানোর সুযোগ বেশি থাকে। এর আগে এমন অভিযোগও এসেছে যে কোনও এক ফুচকাওয়ালার হাত ধরেই বিশেষ কোনও অঞ্চলে ছড়িয়েছে কোভিডের সংক্রমণ। আর ফুচকার জল থেকে পেটের সমস্যার অভিযোগ আগেও এসেছে। কিন্তু পছন্দের এই খাবারটি থেকে কতদিনই বা দূরে থাকা যায়। অনেকেই লকডাউনে বাড়িতে ফুচকা বানিয়েছেন। কিন্তু দোকানে বানানো ফুচকা আর বাড়ির ফুচকার মধ্যে থাকে অনেক ফারাক।
আদরের পানিপুরি সকলে যাতে নির্ভয়ে খেতে পারেন তার জন্যই এই ভেন্ডিং মেশিনটি বানিয়েছেন দিল্লির এই ব্যক্তি। সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় এই মেশিন থেকে ফুচকা পেতে রকয়েকটি স্টেপ আপনাকে মেনে চলতে হবে। প্রথমে একটি QR কোড আসবে, সেই কোড স্ক্যান করলেই পাবেন একটি ফুচকার প্যাকেট। সঙ্গে থাকবে সেদ্ধ আলু, মশলা, আর তেঁতুল জলের জন্য আলাদা গ্লাস। মেশিনটিতে চার রকমের জল পাওয়া যায়। তেঁতুল জল, টক জল, টক-মিষ্টি আর মিষ্টি জল। যে রকম জল চান সেই অপশনের সামনে গ্লাস ধরলেই পেয়ে যাবেন। এক প্যাকেট ফুচকার দাম পড়বে ২০ টাকা। তবে প্রতি প্যাকেটে কটা করে ফুচকা থাকবে তা অবশ্য জানা যায়নি।
এই ভিডিয়ো দেখার পর সকলেই অভিভূত। এক ফুচকা প্রেমী ব্যক্তিই এই মেশিনটি বানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, রোবটিক্স আর বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়েই এমন অসাধ্যসাধন সম্ভব হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৭ লক্ষেরও বেশি মানুষ এই ভিডিয়োটি দেখেছেন।
আরও পড়ুন: Viral Video: ফের ভাইরাল রানু মন্ডল! এবার নীল নাইটির সঙ্গে লাল গামছা পরে কোমর দুলিয়ে নাচলেন তিনি…