Latest Viral Video: জাপানের সেই টোকোর কথা মনে আছে? জীবনে কুকুর হওয়ার বড় সাধ ছিল যাঁর। প্রায় 12 লাখ টাকারও বেশি খরচ করে মানুষ থেকে চারপেয়ে কুকুরেও রূপান্তরিত করেছিলেন নিজেকে। সেই টোকোর এখন একটি ইউটিউব চ্যানেলও রয়েছে। সেখানে নিয়মিত তিনি তার সাবস্ক্রাইবারদের সঙ্গে বিভিন্ন আপডেট শেয়ার করতে থাকেন। চ্যানেলের নাম, ‘আমি একটি পশু হতে চাই।’ বাড়ি থেকে রাস্তায় বেরিয়ে চারপায়ে হাঁটাচলা করে কীরকম লাগে, মানুষ থেকে কুকুরে রূপান্তরিত হয়ে মানুষেরই আজ্ঞাবহ বন্ধু হিসেবে চারপাশের দুনিয়াটা দেখতে কেমন লাগে, টোকো তার ইউটিউব চ্যানেল থেকে সেরকমই একটা ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন।
জনসমক্ষে প্রথম হাঁটাচলা
টোকোর প্রথম বার পথে হাঁটার অভিজ্ঞতা ফুটে উঠেছে সদ্য ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়োতে। এক মহিলার সঙ্গে পার্কে হাঁটতে বেরিয়ে অন্যান্য কুকুরদের গন্ধ শুঁকে আর পাঁচটা সারমেয়র মতোই সাধারণ ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে তাকে। সেই পার্কে অন্যান্য যে সব মানুষজন হাঁটতে এসেছিলেন, তাঁরাও টোকোর চেহারা, হাঁটার আদপ-কায়দা দেখে কৌতূহলী হয়ে ওঠেন। ঠিক সেরকমই কৌতূহল দেখা যায় পার্কে আগত অন্যান্য কুকুরদের মধ্যেও। হাঁটার সময় প্রাথমিক ভাবে টোকোকে সামান্য কিছুটা নার্ভাস দেখালেও স্বপ্ন পূরণের দৃঢ় সংকল্প যেন তার চোখে জ্বলজ্বল করে ওঠে। ভিডিয়োর শুরুতে লেখা হয়েছে, ‘ছোটবেলা থেকে আমি পশু হওয়ার স্বপ্নপূরণের চেষ্টায় অবশেষে একটি কোলি (একটি কুকুরের প্রজাতি) হতে পেরেছি।’
রিয়্যালিস্টিক অর্থাৎ এক্কেবারে বাস্তবসম্মত কুকুরের পোশাক পরেছে টোকো। আর সেই পোশাক যে তাকে কতটা বাস্তবসম্মত রূপ দিয়েছে, তা সত্যিই নেটিজ়েনদের নজর কেড়ে নিয়েছে। ভিডিয়োতে তাকে কুকুরের মতোই হাঁটতে দেখা গিয়েছে। তবে হাঁটাচলায় যে একটু জড়োসড়ো ভাব রয়েছে, তা-ও বোঝা গিয়েছে ভিডিয়োতে। তার পাশ দিয়ে যে কুকুরগুলো যাচ্ছিল, তারাও গন্ধ শুঁকেই বুঝতে পারছিল এটি তাদের মতো সাধারণ কুকুর নয়। বহু মানুষ সেখানে এসে টোকোর ছবিও তুলছিলেন।
মানব পরিচিতি লুকিয়ে রাখা
মানুষ পয়সা খরচ করে কুকুর হলে তা মানুষের চোখে মোটেই ভাল ঠেকবে না। সেই সব জাজমেন্টাল মানুষজনকে পাশ কাটাতে টোকো মানুষ হিসেবে তার পরিচিতি লুকিয়ে রাখে। কারণ সে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন এই ভেবে যে, কুকুর হওয়ার এহেন ইচ্ছা অনেকের কাছেই অদ্ভুত হিসেবে দেখা দিতে পারে। নিজের ইউটিউব চ্যানেলেই টোকো সকলের সঙ্গে শেয়ার করে নিয়েছেন, তিনি ছোটবেলা থেকেই একটি পশু হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। টোকের এহেন আত্মপ্রকাশ তথা গ্র্যান্ড ডেবিউ ভিডিয়োটি রেকর্ড করা হয়েছে একটি জার্মান টেলিভিশন স্টেশনের জন্য।
জাপানি কোম্পানি Zeppet এর সৌজন্যে টোকোর এহেন 12 লাখ টাকার পোশাকটি তৈরি হয়েছে। অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে ডিজ়াইন করা হয়েছে পোশাকটি, যাতে টোকোকে বাস্তবের চারপেয়ে কোলি ডগের মতোই লাগে। গত বছর টোকো সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের সঙ্গে কথা বলে জানিয়েছিল, কেন সে একটা হিউম্যান ডগ হতে চায়।
মানুষ থেকে কুকুর হওয়ার পর টোকো কী বলছে
ডেইলি মেইলের কাছে টোকো বলেছিল, “আমি চাই না যে, আমার শখগুলি সকলের কাছে পরিচিত হোক, বিশেষ করে যাদের সঙ্গে আমি কাজ করি তাদের কাছে। আমি কুকুর হতে চাই, এটা তাঁদের কাছে অদ্ভুত। সেই কারণেই আমি আর কাউকে আমার আসল চেহারা দেখাতে চাই না। বিষয়টা নিয়ে আমি আর আমার বন্ধুবান্ধবের সঙ্গেও কথা বলি না, কারণ তারা সবাই আমাকে অদ্ভুত ভাববে। আমি একটা কুকুর হতে পেরেছি, জানার পরে আমার বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের মানুষজনও খুব অবাক হয়েছিল।”
Latest Viral Video: জাপানের সেই টোকোর কথা মনে আছে? জীবনে কুকুর হওয়ার বড় সাধ ছিল যাঁর। প্রায় 12 লাখ টাকারও বেশি খরচ করে মানুষ থেকে চারপেয়ে কুকুরেও রূপান্তরিত করেছিলেন নিজেকে। সেই টোকোর এখন একটি ইউটিউব চ্যানেলও রয়েছে। সেখানে নিয়মিত তিনি তার সাবস্ক্রাইবারদের সঙ্গে বিভিন্ন আপডেট শেয়ার করতে থাকেন। চ্যানেলের নাম, ‘আমি একটি পশু হতে চাই।’ বাড়ি থেকে রাস্তায় বেরিয়ে চারপায়ে হাঁটাচলা করে কীরকম লাগে, মানুষ থেকে কুকুরে রূপান্তরিত হয়ে মানুষেরই আজ্ঞাবহ বন্ধু হিসেবে চারপাশের দুনিয়াটা দেখতে কেমন লাগে, টোকো তার ইউটিউব চ্যানেল থেকে সেরকমই একটা ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন।
জনসমক্ষে প্রথম হাঁটাচলা
টোকোর প্রথম বার পথে হাঁটার অভিজ্ঞতা ফুটে উঠেছে সদ্য ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়োতে। এক মহিলার সঙ্গে পার্কে হাঁটতে বেরিয়ে অন্যান্য কুকুরদের গন্ধ শুঁকে আর পাঁচটা সারমেয়র মতোই সাধারণ ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে তাকে। সেই পার্কে অন্যান্য যে সব মানুষজন হাঁটতে এসেছিলেন, তাঁরাও টোকোর চেহারা, হাঁটার আদপ-কায়দা দেখে কৌতূহলী হয়ে ওঠেন। ঠিক সেরকমই কৌতূহল দেখা যায় পার্কে আগত অন্যান্য কুকুরদের মধ্যেও। হাঁটার সময় প্রাথমিক ভাবে টোকোকে সামান্য কিছুটা নার্ভাস দেখালেও স্বপ্ন পূরণের দৃঢ় সংকল্প যেন তার চোখে জ্বলজ্বল করে ওঠে। ভিডিয়োর শুরুতে লেখা হয়েছে, ‘ছোটবেলা থেকে আমি পশু হওয়ার স্বপ্নপূরণের চেষ্টায় অবশেষে একটি কোলি (একটি কুকুরের প্রজাতি) হতে পেরেছি।’
রিয়্যালিস্টিক অর্থাৎ এক্কেবারে বাস্তবসম্মত কুকুরের পোশাক পরেছে টোকো। আর সেই পোশাক যে তাকে কতটা বাস্তবসম্মত রূপ দিয়েছে, তা সত্যিই নেটিজ়েনদের নজর কেড়ে নিয়েছে। ভিডিয়োতে তাকে কুকুরের মতোই হাঁটতে দেখা গিয়েছে। তবে হাঁটাচলায় যে একটু জড়োসড়ো ভাব রয়েছে, তা-ও বোঝা গিয়েছে ভিডিয়োতে। তার পাশ দিয়ে যে কুকুরগুলো যাচ্ছিল, তারাও গন্ধ শুঁকেই বুঝতে পারছিল এটি তাদের মতো সাধারণ কুকুর নয়। বহু মানুষ সেখানে এসে টোকোর ছবিও তুলছিলেন।
মানব পরিচিতি লুকিয়ে রাখা
মানুষ পয়সা খরচ করে কুকুর হলে তা মানুষের চোখে মোটেই ভাল ঠেকবে না। সেই সব জাজমেন্টাল মানুষজনকে পাশ কাটাতে টোকো মানুষ হিসেবে তার পরিচিতি লুকিয়ে রাখে। কারণ সে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন এই ভেবে যে, কুকুর হওয়ার এহেন ইচ্ছা অনেকের কাছেই অদ্ভুত হিসেবে দেখা দিতে পারে। নিজের ইউটিউব চ্যানেলেই টোকো সকলের সঙ্গে শেয়ার করে নিয়েছেন, তিনি ছোটবেলা থেকেই একটি পশু হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। টোকের এহেন আত্মপ্রকাশ তথা গ্র্যান্ড ডেবিউ ভিডিয়োটি রেকর্ড করা হয়েছে একটি জার্মান টেলিভিশন স্টেশনের জন্য।
জাপানি কোম্পানি Zeppet এর সৌজন্যে টোকোর এহেন 12 লাখ টাকার পোশাকটি তৈরি হয়েছে। অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে ডিজ়াইন করা হয়েছে পোশাকটি, যাতে টোকোকে বাস্তবের চারপেয়ে কোলি ডগের মতোই লাগে। গত বছর টোকো সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের সঙ্গে কথা বলে জানিয়েছিল, কেন সে একটা হিউম্যান ডগ হতে চায়।
মানুষ থেকে কুকুর হওয়ার পর টোকো কী বলছে
ডেইলি মেইলের কাছে টোকো বলেছিল, “আমি চাই না যে, আমার শখগুলি সকলের কাছে পরিচিত হোক, বিশেষ করে যাদের সঙ্গে আমি কাজ করি তাদের কাছে। আমি কুকুর হতে চাই, এটা তাঁদের কাছে অদ্ভুত। সেই কারণেই আমি আর কাউকে আমার আসল চেহারা দেখাতে চাই না। বিষয়টা নিয়ে আমি আর আমার বন্ধুবান্ধবের সঙ্গেও কথা বলি না, কারণ তারা সবাই আমাকে অদ্ভুত ভাববে। আমি একটা কুকুর হতে পেরেছি, জানার পরে আমার বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের মানুষজনও খুব অবাক হয়েছিল।”